সিরাজগঞ্জে ঘুষের টাকাসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক আটক
ঘুষ ও নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগে শুক্রবার মধ্যরাতে ডিবি পুলিশের একটি দল সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক্ষক রেজাউল ইসলাম (৪২) কে সদর হাসপাতাল সংলগ্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের কোয়ার্টার থেকে আটক করেছে।
শনিবার বিকেলে দুপুরে পৌর এলাকার স্টেডিয়াম রোডের নিবাসী গোবিন্দ কুমারের স্ত্রী লক্ষী রানী বাদী হয়ে রেজাউলের বিরুদ্ধে সদর থানায় ৩ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণে প্রতারণার মামলা করলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠায়।
পুলিশি অভিযানে রেজাউলের বাড়ি থেকে লক্ষাধিক ঘুষের টাকা ও নিয়োগ বাণিজ্যের গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ ৩০টি নিয়োগ পত্রাদেশ জব্দ করে।
অন্যদিকে, পৌর এলাকার জানপুর ব্যাংক কোয়াটারে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টি নিয়োগ পত্রাদেশ জব্দ করলেও সে পালিয়ে যায়।
জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ন কবীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই সিভিল সার্জনের হিসাবরক্ষককে আটক করা হয়েছে।
ডিবির ওসি মোঃ জিয়া লুৎফুল ইসলাম বলেন, হিসাব রক্ষক রেজাউল পুলিশের কাছে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহকারী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদেরকেও খুঁজছে পুলিশ।
এদিকে, নিয়োগ ফলাফল প্রকাশ নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে শুরু হয়েছে নানা নাটক। নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হবার পরও স্থানীয় পত্রিকায় ফলাফল প্রকাশ বা অফিসের টানিয়ে না দেওয়ায় চাকরি প্রত্যাশিদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।
চাকরি প্রত্যাশীরা সিভিল সার্জন অফিসে ভিড় জমিয়েও নিয়োগের ফলাফল জানতে না পেরে অনেকেই হতাশ হয়েছেন।
চাকুরী প্রত্যাশীদের অভিযোগ, নিয়োগ বোর্ডকে ম্যানেজ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন, অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম ও হিসাবরক্ষক রেজাউল ইসলামকে দিয়ে সিভিল সার্জন নিজেই নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।
ওই চক্র লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের পছন্দের লোকজনকে ঢাকা থেকে ডাকযোগে নিয়োগপত্র পাঠিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে সংঘর্ষ ও সংঘাত এড়াতে ফলাফল প্রকাশ না করে গত এক সপ্তাহ হলো সিভিল সার্জনসহ তার নিয়োগ বাণিজ্যের হোতাদের অনেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে সরকারি ক্ষমতাসীন দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ কেএম হোসেন আলী হাসানও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করেন।
বিএমএ’র জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ জহুরুল হক রাজা বলেন, আমার কাছেও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এসেছে।আর সিভিল সার্জন বেশ কিছু দিন ধরে গায়েব।
স্বাচিপের জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক আলম বলেন, আমরা আগে থেকেই টের পেয়েছিলাম সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ নিয়ে এমন সমস্যা হবে। সদর হাসপাতালে যারা ৭/৮ বছর থেকে ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে, তাদের চাকরি হয়নি। চাকরি হয়েছে যারা টাকা দিতে পেরেছে, ঠিক তাদেরই।
স্থানীয়ভাবে আরো জানা গেছে, বিগত সিভিল সার্জনের সময় নানাবিধ অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ায় তাকে বদলি করা হয়। কিন্তু, তিনি উচ্চ আদালতে রিট করে সিরাজগঞ্জে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
এদিকে, গত ৮/১০ দিন হলো সিভিল সার্জন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন। মোবাইল ফোনে বার বার রিং হবার পরও মুক্তার হোসেন রিসিভ করেননি।
হিসাবরক্ষক সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা বা দেওয়ালে টানিয়ে দেবার বিধান রয়েছে। কিন্তু তা না করে সিভিল সার্জন স্যার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা অন্যত্র দূরে সরে থাকায় গোটা অফিসের স্টাফরাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।
সিভিল সার্জন মোবাইলে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাতদিন পরিশ্রম করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমি বাড়িতে আছি। কোন ধরনের কারচুপি বা নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি। যারা মূলত নিয়োগ পেয়েছে, তাদের যোগদান পত্র ডাকযোগে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে যাবে।
প্রসঙ্গত: সিরাজগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের ১’শ ৮৩ জন সুইপার, আয়া, পিয়ন, বাবুর্চী, মালি, গার্ড, পরিসংখ্যাবিদ, পরিসংখ্যান সহকারী, টেকনিশিয়ান এবং স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের জন্য সিভিল সার্জন অফিস থেকে সম্প্রতি সার্কুলার দেয়া হয়। শুরু থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে নানা ধরনের রহস্য তৈরি হয়।
গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় খাতা কাটাকাটি করে জালিয়াতির অভিযোগও উঠে। এমনকি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য-মহাপরিচালকের কাছে ওই সময় অভিযোগ যাওয়ায় তাদের প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জে উপস্থিত থেকে লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখারও সিদ্ধান্ত হলেও তাও পরবর্তীতে মানা হয়নি।
রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ও উপ-পরিচালক বা তাদের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিয়োগ বোর্ডে থাকলেও মূলত সিভিল সার্জন ও স্থানীয় অফিসের কর্মচারীরাই নিজেদের পছন্দের লোকজনকে বাছাই করে তাদের নিয়োগ দিতে তৎপর হয়ে উঠেন, এমন অভিযোগও রয়েছে চাকরি প্রত্যাশীদের।
এদিকে, চিকিৎসক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সিরাজগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের সচেতন মহল সিভিল সার্জন অফিসের এ ধরনের রহস্যজনক নিয়োগ বাণিজ্যের বিপরীতে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও দুদকসহ সরকারের উচ্চতর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
অন্যদিকে, পৌর এলাকার জানপুর ব্যাংক কোয়াটারে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টি নিয়োগ পত্রাদেশ জব্দ করলেও সে পালিয়ে যায়।
জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ন কবীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই সিভিল সার্জনের হিসাবরক্ষককে আটক করা হয়েছে।
ডিবির ওসি মোঃ জিয়া লুৎফুল ইসলাম বলেন, হিসাব রক্ষক রেজাউল পুলিশের কাছে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহকারী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদেরকেও খুঁজছে পুলিশ।
এদিকে, নিয়োগ ফলাফল প্রকাশ নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে শুরু হয়েছে নানা নাটক। নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হবার পরও স্থানীয় পত্রিকায় ফলাফল প্রকাশ বা অফিসের টানিয়ে না দেওয়ায় চাকরি প্রত্যাশিদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।
চাকরি প্রত্যাশীরা সিভিল সার্জন অফিসে ভিড় জমিয়েও নিয়োগের ফলাফল জানতে না পেরে অনেকেই হতাশ হয়েছেন।
চাকুরী প্রত্যাশীদের অভিযোগ, নিয়োগ বোর্ডকে ম্যানেজ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন, অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম ও হিসাবরক্ষক রেজাউল ইসলামকে দিয়ে সিভিল সার্জন নিজেই নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।
ওই চক্র লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের পছন্দের লোকজনকে ঢাকা থেকে ডাকযোগে নিয়োগপত্র পাঠিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে সংঘর্ষ ও সংঘাত এড়াতে ফলাফল প্রকাশ না করে গত এক সপ্তাহ হলো সিভিল সার্জনসহ তার নিয়োগ বাণিজ্যের হোতাদের অনেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে সরকারি ক্ষমতাসীন দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ কেএম হোসেন আলী হাসানও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করেন।
বিএমএ’র জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ জহুরুল হক রাজা বলেন, আমার কাছেও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এসেছে।আর সিভিল সার্জন বেশ কিছু দিন ধরে গায়েব।
স্বাচিপের জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক আলম বলেন, আমরা আগে থেকেই টের পেয়েছিলাম সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ নিয়ে এমন সমস্যা হবে। সদর হাসপাতালে যারা ৭/৮ বছর থেকে ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে, তাদের চাকরি হয়নি। চাকরি হয়েছে যারা টাকা দিতে পেরেছে, ঠিক তাদেরই।
স্থানীয়ভাবে আরো জানা গেছে, বিগত সিভিল সার্জনের সময় নানাবিধ অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ায় তাকে বদলি করা হয়। কিন্তু, তিনি উচ্চ আদালতে রিট করে সিরাজগঞ্জে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
এদিকে, গত ৮/১০ দিন হলো সিভিল সার্জন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন। মোবাইল ফোনে বার বার রিং হবার পরও মুক্তার হোসেন রিসিভ করেননি।
হিসাবরক্ষক সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা বা দেওয়ালে টানিয়ে দেবার বিধান রয়েছে। কিন্তু তা না করে সিভিল সার্জন স্যার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা অন্যত্র দূরে সরে থাকায় গোটা অফিসের স্টাফরাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।
সিভিল সার্জন মোবাইলে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাতদিন পরিশ্রম করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমি বাড়িতে আছি। কোন ধরনের কারচুপি বা নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি। যারা মূলত নিয়োগ পেয়েছে, তাদের যোগদান পত্র ডাকযোগে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে যাবে।
প্রসঙ্গত: সিরাজগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের ১’শ ৮৩ জন সুইপার, আয়া, পিয়ন, বাবুর্চী, মালি, গার্ড, পরিসংখ্যাবিদ, পরিসংখ্যান সহকারী, টেকনিশিয়ান এবং স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের জন্য সিভিল সার্জন অফিস থেকে সম্প্রতি সার্কুলার দেয়া হয়। শুরু থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে নানা ধরনের রহস্য তৈরি হয়।
গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় খাতা কাটাকাটি করে জালিয়াতির অভিযোগও উঠে। এমনকি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য-মহাপরিচালকের কাছে ওই সময় অভিযোগ যাওয়ায় তাদের প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জে উপস্থিত থেকে লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখারও সিদ্ধান্ত হলেও তাও পরবর্তীতে মানা হয়নি।
রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ও উপ-পরিচালক বা তাদের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিয়োগ বোর্ডে থাকলেও মূলত সিভিল সার্জন ও স্থানীয় অফিসের কর্মচারীরাই নিজেদের পছন্দের লোকজনকে বাছাই করে তাদের নিয়োগ দিতে তৎপর হয়ে উঠেন, এমন অভিযোগও রয়েছে চাকরি প্রত্যাশীদের।
এদিকে, চিকিৎসক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সিরাজগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের সচেতন মহল সিভিল সার্জন অফিসের এ ধরনের রহস্যজনক নিয়োগ বাণিজ্যের বিপরীতে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও দুদকসহ সরকারের উচ্চতর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
No comments