পোশাক কারখানা অনিরাপদের দায় সরকারেরওঃ ফারুক খান
৩০ বছর পরও তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলো শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ না থাকার দায় সরকারের ওপরও বর্তায় বলে স্বীকার করলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
শনিবার রাজধানীর হোটেল ৠাডিসনে বাংলাদেশ তৈরিপোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের দায়ভারের কথা অকপটে স্বীকার করেন তিনি।
মুক্ত আলোচনায় শ্রমিক নেত্রী শামীমা আকতার এক প্রশ্নে মন্ত্রীকে বলেন, তৈরি পোশাক খাতের ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও কারখানাগুলো আজও শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ নয়। এর দায় সরকার কিংবা রাষ্ট্রের ওপর বর্তায় কিনা।
বিজিএমই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বের “তৈরি পোশাক খাতকে পরিবেশ বান্ধব” শীর্ষক সেমিনারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আইনুন নিশাতসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এতে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের সহযোগি পরিচালনা কর্মকর্তা নওরীন চৌধুরি, জিআইজির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক এলকি রেসটা।
ওই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ফারুক খান বলেন, আমি মনে করি তৈরি পোশাক কারখানাগুলো আজও নিরাপদ না থাকার দায় সরকারকে নিতে হবে। কারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে সার্বিকভাবে এর দায় সবাইকে বহন করতে হবে। সবাইকে এর দায়িত্ব নিতে হবে।
অপর এক শ্রমিক নেতা জানতে চান, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারখানায় দূর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কোন কারখানার মালিকের সাজা হয়নি। তাদেরকে কেন বিচারের আওতায় আনা হয়না, বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচারের দায়িত্ব সরকারের নয়, আদালতের।তবে সব ঘটনায় মামলা হয়েছে। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া যাতে দীর্ঘ না হয় সে ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে।
তাজরীনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে লজ্জাজনক উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য কাজ করতে হবে। বিজিএমইএর সদস্যদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় আইনুন নিশাত বলেন, আমাদের সামর্থ্য আছে। কিন্তু আমরা সর্তক নই। কেন বাইরের ক্রেতারা এসে আমাদের ধমক দিবে। কেন তারা বলবে, মান নিশ্চিত না করলে, গ্রীণ শিল্প না করলে অন্য দেশে চলে যাবো। কেনই বা তারা চলে যাবে। তাই আমাদের আগে থেকে সর্তক হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে শুধু সুবিধা চায়। এটা স্বচ্ছ নয়।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী ২/৩ বছর পরে বিদেশিরা আমাদের দেশ থেকে আর চামড়ার পণ্য কিনবে না। কারণ পৃথিবী টেকসই উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই বাইরের চাপের জন্য বসে থাকলে হবে না। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি আছে। সেগুলো ব্যবহার করে সমাধানে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ ক্রেতা চায় কম মূল্য। তাদের কাছে মূল্য এবং বিনিয়োগ বড় বিষয়। আমাদের সেসব বিবেচনা করে ব্যবসা করতে হয়। তাই গ্রীন আরএমজি করতে সবার যৌথ উদ্যোগ দরকার। তা না হলে সম্ভব হবেনা।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, আমাদের পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে অনেক। তবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সহ জ্বালানী সংকট দূর হলে এই খাত আরো অনেক দূর যাবে। একই সঙ্গে এসব ব্যবহারে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। বের করতে হবে বিকল্প উৎস।
বিজিএমই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বের “তৈরি পোশাক খাতকে পরিবেশ বান্ধব” শীর্ষক সেমিনারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আইনুন নিশাতসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এতে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের সহযোগি পরিচালনা কর্মকর্তা নওরীন চৌধুরি, জিআইজির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক এলকি রেসটা।
ওই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ফারুক খান বলেন, আমি মনে করি তৈরি পোশাক কারখানাগুলো আজও নিরাপদ না থাকার দায় সরকারকে নিতে হবে। কারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে সার্বিকভাবে এর দায় সবাইকে বহন করতে হবে। সবাইকে এর দায়িত্ব নিতে হবে।
অপর এক শ্রমিক নেতা জানতে চান, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারখানায় দূর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কোন কারখানার মালিকের সাজা হয়নি। তাদেরকে কেন বিচারের আওতায় আনা হয়না, বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচারের দায়িত্ব সরকারের নয়, আদালতের।তবে সব ঘটনায় মামলা হয়েছে। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া যাতে দীর্ঘ না হয় সে ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে।
তাজরীনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে লজ্জাজনক উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য কাজ করতে হবে। বিজিএমইএর সদস্যদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় আইনুন নিশাত বলেন, আমাদের সামর্থ্য আছে। কিন্তু আমরা সর্তক নই। কেন বাইরের ক্রেতারা এসে আমাদের ধমক দিবে। কেন তারা বলবে, মান নিশ্চিত না করলে, গ্রীণ শিল্প না করলে অন্য দেশে চলে যাবো। কেনই বা তারা চলে যাবে। তাই আমাদের আগে থেকে সর্তক হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে শুধু সুবিধা চায়। এটা স্বচ্ছ নয়।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী ২/৩ বছর পরে বিদেশিরা আমাদের দেশ থেকে আর চামড়ার পণ্য কিনবে না। কারণ পৃথিবী টেকসই উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই বাইরের চাপের জন্য বসে থাকলে হবে না। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি আছে। সেগুলো ব্যবহার করে সমাধানে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ ক্রেতা চায় কম মূল্য। তাদের কাছে মূল্য এবং বিনিয়োগ বড় বিষয়। আমাদের সেসব বিবেচনা করে ব্যবসা করতে হয়। তাই গ্রীন আরএমজি করতে সবার যৌথ উদ্যোগ দরকার। তা না হলে সম্ভব হবেনা।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, আমাদের পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে অনেক। তবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সহ জ্বালানী সংকট দূর হলে এই খাত আরো অনেক দূর যাবে। একই সঙ্গে এসব ব্যবহারে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। বের করতে হবে বিকল্প উৎস।
No comments