প্রশ্নের মুখে চিনের এক সন্তান নীতি
চীনের এক সন্তান নীতি আবারও তাদের নিজের দেশেই প্রশ্নবিদ্ধ। খোদ চীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীরই এক অংশ এর বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। তারা দাবি করছেন, ২০১৫ সালের মধ্যেই এক সন্তান নীতি থেকে সরে এসে প্রতি পরিবারের জন্যে দুই সন্তান গ্রহণের অনুমতি দয়া হোক।
ইতিমধ্যেই চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন সরকারের কাছে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বেঁধে দেয়া এ সময়কে কোনো কোনো জনসংখ্যাতাত্ত্বিক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিপক্ষে নেয়া একটা দৃঢ় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। অনেকে এমনটাও মনে করছেন এক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করলে চীনে কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে যে ক্ষতি ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে, তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ফাউন্ডেশন সুপারিশ করেছে কিছু কিছু প্রদেশে দুই সন্তান নীতি এ বছরই গ্রহণ করা হোক। আর সারা দেশে ২০১৫ সালের মধ্যে।
তাদের পেশ করা ঐ সুপারিশের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানায়, ইতিমধ্যেই এক সন্তান নীতির কারণে চীনকে বিশাল সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যয় বহন করতে হয়েছে। এর ফলে সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে, প্রশাসনিক ব্যয় বেড়েছে এবং জাতি এক দীর্ঘমেয়াদি লিঙ্গ-অসমতার মধ্যে পড়েছে।
তবে এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে চীনা নেতৃবৃন্দের মনোভাব এখনো জানা যায়নি। বুধবার পর্যন্ত চীনের জাতীয় জনসংখ্যা এবং পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে এই সুপারিশের ব্যাপারে কোনো মতামত জানানো হয়নি।
চীনে যা এক সন্তান নীতি বলে পরিচিত, এর আইনটা যথেষ্ট জটিল। এই আইনে সরকারের পক্ষ থেকে শহরাঞ্চলে দম্পতিদের এক সন্তান নিতে বাধ্য করা হয়। অথচ গ্রাম এলাকায় যদি কোনো দম্পতির প্রথম সন্তান মেয়ে হয় তবে তাদের জন্য দ্বিতীয় সন্তান গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া আরো কয়েক রকমের ব্যতিক্রমও রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ছাড় রয়েছে। আবার বাবা-মায়ের যদি কোনো ভাইবোন না থেকে থাকে তাহলে সেই দম্পতিরও দুই সন্তান গ্রহণের সুযোগ আছে।
চীনের জনগণের মধ্যে এই নীতি নিয়ে প্রথম থেকেই দ্বিধা ছিল। তবে কিছু দিন আগে এর প্রতিবাদ জানানোর সাহস না করলেও এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। অনেক সংস্থার পক্ষ থেকেই জন্মদানের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেবার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। সিবিসি নিউজ
তাদের পেশ করা ঐ সুপারিশের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানায়, ইতিমধ্যেই এক সন্তান নীতির কারণে চীনকে বিশাল সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যয় বহন করতে হয়েছে। এর ফলে সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে, প্রশাসনিক ব্যয় বেড়েছে এবং জাতি এক দীর্ঘমেয়াদি লিঙ্গ-অসমতার মধ্যে পড়েছে।
তবে এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে চীনা নেতৃবৃন্দের মনোভাব এখনো জানা যায়নি। বুধবার পর্যন্ত চীনের জাতীয় জনসংখ্যা এবং পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে এই সুপারিশের ব্যাপারে কোনো মতামত জানানো হয়নি।
চীনে যা এক সন্তান নীতি বলে পরিচিত, এর আইনটা যথেষ্ট জটিল। এই আইনে সরকারের পক্ষ থেকে শহরাঞ্চলে দম্পতিদের এক সন্তান নিতে বাধ্য করা হয়। অথচ গ্রাম এলাকায় যদি কোনো দম্পতির প্রথম সন্তান মেয়ে হয় তবে তাদের জন্য দ্বিতীয় সন্তান গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া আরো কয়েক রকমের ব্যতিক্রমও রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ছাড় রয়েছে। আবার বাবা-মায়ের যদি কোনো ভাইবোন না থেকে থাকে তাহলে সেই দম্পতিরও দুই সন্তান গ্রহণের সুযোগ আছে।
চীনের জনগণের মধ্যে এই নীতি নিয়ে প্রথম থেকেই দ্বিধা ছিল। তবে কিছু দিন আগে এর প্রতিবাদ জানানোর সাহস না করলেও এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। অনেক সংস্থার পক্ষ থেকেই জন্মদানের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেবার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। সিবিসি নিউজ
No comments