জন্মদিনে ফরাসি উপাধিতে সিক্ত ঐশ্বর্য by কামরুজ্জামান মিলু
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ৩৯ পেরিয়ে ৪০
শুরু হলো আজ। মা হিসেবে এটাই তার প্রথম জন্মদিন। ১৯৭৩ সালের এই দিনে
ভারতের কর্নাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালোরে কৃষ্ণরাজ রাই এবং বৃন্দা রাইয়ের ঘরে
জন্ম নেন ঐশ্বরিয়া।
আর এ শুভ দিনটিতেই তিনি পেলেন ফরাসি সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক উপাধি ‘অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস’।
মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে এ সম্মাননা গ্রহণ করবেন ঐশ্বরিয়া।
অ্যাশ যখন ক্ল্যাশ নাইনের ছাত্রী, নিতান্ত শখের বশে তখন মডেলিংয়ে আসেন। ক্যামেলিন ইন্ড্রাস্ট্রির একটি পণ্যের মডেল হন।
মুম্বাইয়ের ডিজি রূপারেল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ঐশ্বর্য স্বপ্ন দেখেন আর্কিটেক্ট হওয়ার। রাহিজা টেকনোলজিক্যাল কলেজে আর্কিটেকচারে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু মডেলিংয়ে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ায় লেখাপড়ায় ইতি টানতে হয়।
১৯৯৪ সালে তিনি অংশ নেন মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায়। এতে সুস্মিতা সেন খেতাব জয় করলেও দ্বিতীয় স্থানে থেকে ঐশ্বরিয়া পান ‘মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড’ খেতাব। এ বছরই অ্যাশ মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ ও ‘মিস ফটোজনিক’- এর মুকুট জিতে নেন। একই সঙ্গে পাল্টে যায় তার জীবন।
ঐশ্বরিয়া রাই প্রায় ৪০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। শুধু হিন্দি নয়; অভিনয় করেছেন ইংরেজি, তামিল ও বাংলা ছবিতে। বলিউড ছাড়িয়ে অ্যাশ নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন হলিউডে। বর্তমানে বিশ্বের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
ঐশ্বর্য অভিনীত সফল ছবির মধ্যে আছে— আউর পেয়ার হোগায়া, হাম দিল দে চুকে সোনম, কুছ না কহো, হামারা দিল আপকা পাস হায়, দিল কি রিস্তা, দেবদাস, মুহব্বাতিন, চোখের বালি (বাংলা), রেইন কোট, ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস (ইংরেজি), বান্টি ওর বাবলি, উমরাওজান, মিস্টিস অব স্পাইস (ইংরেজি), যোধা আকবর, প্রভোকড (ইংরেজি), রাবন প্রভৃতি।
সালমান খান ও বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে অ্যাশের গভীর হৃদ্যতার গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত অভিষেক বচ্চনের সঙ্গেই ঘর বেঁধেছেন। ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বলিউডে সবচেয়ে আলোচিত এই বিয়ে। অ্যাশ এখন বচ্চন পরিবারের গৃহবধূ, অভিষেকের স্ত্রী এবং অমিতাভ ও জয়া বচ্চনের পুত্রবধূ।
তবে এবারই প্রথমবারের মতো কন্যা আরাধ্যকে নিয়ে নিজের জন্মদিনটি পালন করছেন। শ্বশুরবাড়িতেই চলছে অনুষ্ঠান। রাত ১২টার পর শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকতার খাতিরে সারাদিন তাকে একাধিকবার কেক কাটতে হবে।
এ জন্মদিনে বচ্চন পরিবার বেশ কিছু সারপ্রাইজ রেখেছেন ঐশ্বর্যের জন্য। এছাড়া বউয়ের জন্য ভিন্নধর্মী উপহার দিতে যাচ্ছেন স্বামী অভিষেক বচ্চন। ঐশ্বর্যের জন্মদিন পালনের জন্যই তিনি ‘ধুম-৩’ ছবির শুটিং ফেলে ছুটে এসেছেন। আজই ঐশ্বর্যকে একটি ছোট্ট হলিডে ট্যুর গিফট করতে যাচ্ছেন তিনি। তারা গোয়ায় যাচ্ছেন দু’দিনের অবকাশে।
চলতি বছর শুটিং নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন অভিষেক। তাই ঐশ্বর্যকে একদমই সময় দিতে পারেননি। সে কারণেই দু’দিনের এই সফর ঐশ্বর্যকে উপহার হিসেবে দিচ্ছেন অভিষেক। গোয়া তাদের দু`জনেরই পছন্দের জায়গা। শৈশব থেকেই জন্মদিনে মন্দির পরিদর্শন করেন অ্যাশ। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।
জানা গেছে, ঐশ্বরিয়া এখন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য পড়ছেন। এর পাশাপাশি আপাতত মাতৃত্বই উপভোগ করছেন তিনি।
ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী হিসেবে ফরাসি সরকারের সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বসিত বলিউডের এ অভেনেত্রী।
উল্লেখ্য, বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সম্প্রতি জাতিসংঘের এইডস সংস্থার দূত নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি শিশুদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবেন।
জাতিসংঘ শুভেচ্ছা দূত নিযুক্ত হওয়ার পর ইউএনএআইডিএসের এক বিবৃতিতে ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘স্বাস্থ্য ইস্যু বিশেষ করে নারী ও শিশু সংশ্লিষ্ট ইস্যু আমার কাছে সবসময় অগ্রাধিকার পেয়েছে। আর এখন নতুন মা হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবেই এই বিষয়ের সঙ্গে সন্তানের জন্য প্রতিটি মায়ের আনন্দ আর উৎকণ্ঠা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারছি।’
মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে এ সম্মাননা গ্রহণ করবেন ঐশ্বরিয়া।
অ্যাশ যখন ক্ল্যাশ নাইনের ছাত্রী, নিতান্ত শখের বশে তখন মডেলিংয়ে আসেন। ক্যামেলিন ইন্ড্রাস্ট্রির একটি পণ্যের মডেল হন।
মুম্বাইয়ের ডিজি রূপারেল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ঐশ্বর্য স্বপ্ন দেখেন আর্কিটেক্ট হওয়ার। রাহিজা টেকনোলজিক্যাল কলেজে আর্কিটেকচারে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু মডেলিংয়ে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ায় লেখাপড়ায় ইতি টানতে হয়।
১৯৯৪ সালে তিনি অংশ নেন মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায়। এতে সুস্মিতা সেন খেতাব জয় করলেও দ্বিতীয় স্থানে থেকে ঐশ্বরিয়া পান ‘মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড’ খেতাব। এ বছরই অ্যাশ মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ ও ‘মিস ফটোজনিক’- এর মুকুট জিতে নেন। একই সঙ্গে পাল্টে যায় তার জীবন।
ঐশ্বরিয়া রাই প্রায় ৪০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। শুধু হিন্দি নয়; অভিনয় করেছেন ইংরেজি, তামিল ও বাংলা ছবিতে। বলিউড ছাড়িয়ে অ্যাশ নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন হলিউডে। বর্তমানে বিশ্বের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
ঐশ্বর্য অভিনীত সফল ছবির মধ্যে আছে— আউর পেয়ার হোগায়া, হাম দিল দে চুকে সোনম, কুছ না কহো, হামারা দিল আপকা পাস হায়, দিল কি রিস্তা, দেবদাস, মুহব্বাতিন, চোখের বালি (বাংলা), রেইন কোট, ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস (ইংরেজি), বান্টি ওর বাবলি, উমরাওজান, মিস্টিস অব স্পাইস (ইংরেজি), যোধা আকবর, প্রভোকড (ইংরেজি), রাবন প্রভৃতি।
সালমান খান ও বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে অ্যাশের গভীর হৃদ্যতার গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত অভিষেক বচ্চনের সঙ্গেই ঘর বেঁধেছেন। ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বলিউডে সবচেয়ে আলোচিত এই বিয়ে। অ্যাশ এখন বচ্চন পরিবারের গৃহবধূ, অভিষেকের স্ত্রী এবং অমিতাভ ও জয়া বচ্চনের পুত্রবধূ।
তবে এবারই প্রথমবারের মতো কন্যা আরাধ্যকে নিয়ে নিজের জন্মদিনটি পালন করছেন। শ্বশুরবাড়িতেই চলছে অনুষ্ঠান। রাত ১২টার পর শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকতার খাতিরে সারাদিন তাকে একাধিকবার কেক কাটতে হবে।
এ জন্মদিনে বচ্চন পরিবার বেশ কিছু সারপ্রাইজ রেখেছেন ঐশ্বর্যের জন্য। এছাড়া বউয়ের জন্য ভিন্নধর্মী উপহার দিতে যাচ্ছেন স্বামী অভিষেক বচ্চন। ঐশ্বর্যের জন্মদিন পালনের জন্যই তিনি ‘ধুম-৩’ ছবির শুটিং ফেলে ছুটে এসেছেন। আজই ঐশ্বর্যকে একটি ছোট্ট হলিডে ট্যুর গিফট করতে যাচ্ছেন তিনি। তারা গোয়ায় যাচ্ছেন দু’দিনের অবকাশে।
চলতি বছর শুটিং নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন অভিষেক। তাই ঐশ্বর্যকে একদমই সময় দিতে পারেননি। সে কারণেই দু’দিনের এই সফর ঐশ্বর্যকে উপহার হিসেবে দিচ্ছেন অভিষেক। গোয়া তাদের দু`জনেরই পছন্দের জায়গা। শৈশব থেকেই জন্মদিনে মন্দির পরিদর্শন করেন অ্যাশ। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।
জানা গেছে, ঐশ্বরিয়া এখন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য পড়ছেন। এর পাশাপাশি আপাতত মাতৃত্বই উপভোগ করছেন তিনি।
ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী হিসেবে ফরাসি সরকারের সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বসিত বলিউডের এ অভেনেত্রী।
উল্লেখ্য, বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সম্প্রতি জাতিসংঘের এইডস সংস্থার দূত নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি শিশুদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবেন।
জাতিসংঘ শুভেচ্ছা দূত নিযুক্ত হওয়ার পর ইউএনএআইডিএসের এক বিবৃতিতে ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘স্বাস্থ্য ইস্যু বিশেষ করে নারী ও শিশু সংশ্লিষ্ট ইস্যু আমার কাছে সবসময় অগ্রাধিকার পেয়েছে। আর এখন নতুন মা হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবেই এই বিষয়ের সঙ্গে সন্তানের জন্য প্রতিটি মায়ের আনন্দ আর উৎকণ্ঠা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারছি।’
No comments