আগামী দিন হোক তারুণ্যের by মো. মামুনুর রশীদ
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তরুণদের উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানিয়েছেন_ 'কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ এ তুফান ভারি দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার' তরুণরা অনাগত প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। তরুণরাই পারে সব অসাধ্যকে সাধন করতে।
তারুণ্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভাবনাময়ী সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখা ঠিক নয়। দীর্ঘ নয়টি মাস বুকের তাজা রক্ত যারা রাজপথে ঢেলে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) নামক অংশটি স্বাধীন করল, তাদের তাজা রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজ স্বাধীন দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চলেছি। আমরা যারা অনাগত প্রজন্মের ভবিষ্যৎ, তাদের এখন দেশের গণতন্ত্রের কাণ্ডারি হওয়ার সুবর্ণ সময়। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি অন্যতম দেশ যেখানে রাজনৈতিক দুটি দল সর্বদা হানাহানি, মারামারি, অরাজকতা মোটকথা দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে অভ্যস্ত। যেখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বেড়াজাল থেকে দেশের জনগণ (বেশিরভাগ) একটু স্বস্তি পেতে মুখ উঁচিয়ে আছে। এই নিরীহ জনগণকে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পারে শুধু বর্তমান তরুণরাই।
দেশে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে, সামাজিক পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে, দেশ অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে, যত দিন যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তত ঘোলাটে হচ্ছে, দেশের কর্মসংস্থান দলীয়করণ হচ্ছে, সব ক্ষেত্রে কোটাভিত্তিক রাজনীতি হচ্ছে। এসব বিষয় আমাদের তরুণ প্রজন্মের এখন আলোচনার প্রধান খোরাক। আগামী সভ্যতা আমরা কীভাবে গড়ব সেটার মডেল কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে চিন্তা ও কাজ শুরু করা উচিত। নিজের মাতৃভূমিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা দরকার। দেশকে গড়ার জন্য সব তরুণই তাদের মতামতের ভিত্তিতে একটি 'গঠন প্রণালি' তৈরি করতে পারে। এর জন্য দরকার সততা, সাহস ও যোগ্যতা। আমাদের তরুণদের অনেকের যোগ্যতা, সততা রয়েছে কিন্তু অভাব হলো সাহসের। দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে তরুণ প্রজন্মকে সব ক্ষেত্রে হাল ধরার সুযোগ করে দেওয়া দরকার। দেশকে বিশ্বমানচিত্রের মডেল হিসেবে গড়তে হলে তরুণ মেধাবীদের স্বচ্ছ রাজনীতি ও রাষ্ট্রক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। নতুবা দেয়ালে মাথা ঠুকিয়ে মারা গেলেও কোনো বিষয়েরই সমাধান সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা চালালে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। দেশের জাতিভিত্তিক বিভক্তি দূর করে দেশের উন্নয়নে শতভাগ শিক্ষিত, দারিদ্র্যহীন করে গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতি সচেতন হতে হবে। সব দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অরাজকতা, পরিবারতন্ত্রের নেশাগ্রস্ততার গণ্ডি পেরিয়ে সঠিক সমাজ বিনির্মাণের উপযোগী নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পূর্ণ হওয়ার সময় আসন্ন। তবে সঠিক সিদ্ধান্তটি বর্তমান প্রজন্মকেই নিতে হবে। তাহলে আগামী সভ্যতা হবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছ।
য় মো. মামুনুর রশীদ : শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
দেশে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে, সামাজিক পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে, দেশ অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে, যত দিন যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তত ঘোলাটে হচ্ছে, দেশের কর্মসংস্থান দলীয়করণ হচ্ছে, সব ক্ষেত্রে কোটাভিত্তিক রাজনীতি হচ্ছে। এসব বিষয় আমাদের তরুণ প্রজন্মের এখন আলোচনার প্রধান খোরাক। আগামী সভ্যতা আমরা কীভাবে গড়ব সেটার মডেল কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে চিন্তা ও কাজ শুরু করা উচিত। নিজের মাতৃভূমিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা দরকার। দেশকে গড়ার জন্য সব তরুণই তাদের মতামতের ভিত্তিতে একটি 'গঠন প্রণালি' তৈরি করতে পারে। এর জন্য দরকার সততা, সাহস ও যোগ্যতা। আমাদের তরুণদের অনেকের যোগ্যতা, সততা রয়েছে কিন্তু অভাব হলো সাহসের। দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে তরুণ প্রজন্মকে সব ক্ষেত্রে হাল ধরার সুযোগ করে দেওয়া দরকার। দেশকে বিশ্বমানচিত্রের মডেল হিসেবে গড়তে হলে তরুণ মেধাবীদের স্বচ্ছ রাজনীতি ও রাষ্ট্রক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। নতুবা দেয়ালে মাথা ঠুকিয়ে মারা গেলেও কোনো বিষয়েরই সমাধান সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা চালালে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। দেশের জাতিভিত্তিক বিভক্তি দূর করে দেশের উন্নয়নে শতভাগ শিক্ষিত, দারিদ্র্যহীন করে গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতি সচেতন হতে হবে। সব দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অরাজকতা, পরিবারতন্ত্রের নেশাগ্রস্ততার গণ্ডি পেরিয়ে সঠিক সমাজ বিনির্মাণের উপযোগী নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পূর্ণ হওয়ার সময় আসন্ন। তবে সঠিক সিদ্ধান্তটি বর্তমান প্রজন্মকেই নিতে হবে। তাহলে আগামী সভ্যতা হবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছ।
য় মো. মামুনুর রশীদ : শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments