সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ঐক্য চাই by উজ্জ্বল আহমেদ
সম্প্রতি রামু, উখিয়া, টেকনাফ, পটিয়ায় বৌদ্ধপল্লী, বৌদ্ধবিহারে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে যে নগ্ন হামলা ও অগি্নসংযোগ করা হয় সেই সাম্প্রদায়িক বিভেদকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়াই স্বাভাবিক।
তদুপরি যে ব্যাপকতা নিয়ে ওই সর্বনাশা সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধিজাত জঘন্য কর্মটি ঘটতে পারল তাকে ছোট করে দেখারও কোনো উপায় নেই। কারণ এ এলাকাগুলোতে অতীতে জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদী বিভিন্ন সংগঠনের ছত্রছায়ায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটিও চলেছে অনেকদিন ধরে। এভাবে ওই এলাকাসহ দেশের আরও কিছু প্রত্যন্ত এলাকা ধর্মীয় উগ্রবাদীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। এবার ওই উগ্রবাদী উপদ্রুত এলাকাগুলোর কিছু এলাকায় বৌদ্ধদের মন্দির ও বাসাবাড়ির ওপর হামলা ও অগি্নসংযোগের ঘটনা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়েছে। কারা কীভাবে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তা নির্মোহভাবে খুঁজে বের করা আবশ্যক। তা না হলে একদিন আমরাও পাকিস্তানের কাছাকাছি অবস্থানে চলে যাব। তাই প্রতিটি মানুষের সোচ্চার হওয়া দরকার। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এখনও উপদ্রুত এলাকার
বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে কেউ কেউ প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। নিরাপত্তা পাহারা উঠে গেলে আবারও তারা হামলার শিকার হতে পারেন এমন ভয়ে আছেন সেখানকার সংখ্যালঘুরা। ওই এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা কীভাবে সৃষ্টি করা যায় সেটাও সরকার এবং সিভিল সোসাইটিকে সম্মিলিতভাবেই চিন্তা করতে হবে। বিষয়টিকে নিয়ে বেহুদা পানি ঘোলা করে লাভ নেই। দোষী যেই হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে। রামুর ঘটনা নিয়ে সরকারের এ অবস্থানটা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তাহলেই জঙ্গি ও মৌলবাদী শক্তি পিছু হটবে।
ভারতীয় উপমহাদেশে দেখা যায়, ব্রিটিশরা এদেশে শাসন-শোষণ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িকতা লাগিয়ে রাখত। এক কথায় বলা চলে সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণের হাতিয়ার। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যাতে জনগণ এক হতে না পারে সেজন্য তারা সবসময় একে অপরের বিরোধী কথা বলে এদেশের মানুষের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে রাখত বা বিভেদ সৃষ্টি করত। তারপরও যখন এদেশের মানুষের স্বাধীনতার চেতনাকে দমানো সম্ভব হয়নি তখন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মাধ্যমে দ্বিজাতিতত্ত্ব এনে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্রে ভাগ করে। সেই যে চক্রান্ত তা আজও সারাবিশ্বে বিরাজমান।
সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নগ্ন হামলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম। সরকার এবং বিরোধী দল একে অপরকে দোষারোপ করে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কেউ বলছে, এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এ নিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘটনাবলি বিস্তারিত জেনে বোঝা গেছে যে এটি পূর্বপরিকল্পিত। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এক শ্রেণীর মানুষ সবসময় দেশি-বিদেশি চক্রান্তের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সদা তৎপর। সরকারও যেখানে এ নিয়ে তালগোল পাকাচ্ছে সেখানে আমাদের এসব ষড়যন্ত্র চক্রান্তকে মোকাবেলা করতে হবে এবং সারাদেশে সাম্প্রদায়িক যে কোনো চক্রান্তকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
য় উজ্জ্বল আহমেদ :শিক্ষার্থী
লোকপ্রশাসন বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
uzzolpad@yahoo.com
বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে কেউ কেউ প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। নিরাপত্তা পাহারা উঠে গেলে আবারও তারা হামলার শিকার হতে পারেন এমন ভয়ে আছেন সেখানকার সংখ্যালঘুরা। ওই এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা কীভাবে সৃষ্টি করা যায় সেটাও সরকার এবং সিভিল সোসাইটিকে সম্মিলিতভাবেই চিন্তা করতে হবে। বিষয়টিকে নিয়ে বেহুদা পানি ঘোলা করে লাভ নেই। দোষী যেই হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে। রামুর ঘটনা নিয়ে সরকারের এ অবস্থানটা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তাহলেই জঙ্গি ও মৌলবাদী শক্তি পিছু হটবে।
ভারতীয় উপমহাদেশে দেখা যায়, ব্রিটিশরা এদেশে শাসন-শোষণ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িকতা লাগিয়ে রাখত। এক কথায় বলা চলে সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণের হাতিয়ার। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যাতে জনগণ এক হতে না পারে সেজন্য তারা সবসময় একে অপরের বিরোধী কথা বলে এদেশের মানুষের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে রাখত বা বিভেদ সৃষ্টি করত। তারপরও যখন এদেশের মানুষের স্বাধীনতার চেতনাকে দমানো সম্ভব হয়নি তখন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মাধ্যমে দ্বিজাতিতত্ত্ব এনে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্রে ভাগ করে। সেই যে চক্রান্ত তা আজও সারাবিশ্বে বিরাজমান।
সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নগ্ন হামলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম। সরকার এবং বিরোধী দল একে অপরকে দোষারোপ করে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কেউ বলছে, এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এ নিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘটনাবলি বিস্তারিত জেনে বোঝা গেছে যে এটি পূর্বপরিকল্পিত। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এক শ্রেণীর মানুষ সবসময় দেশি-বিদেশি চক্রান্তের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সদা তৎপর। সরকারও যেখানে এ নিয়ে তালগোল পাকাচ্ছে সেখানে আমাদের এসব ষড়যন্ত্র চক্রান্তকে মোকাবেলা করতে হবে এবং সারাদেশে সাম্প্রদায়িক যে কোনো চক্রান্তকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
য় উজ্জ্বল আহমেদ :শিক্ষার্থী
লোকপ্রশাসন বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
uzzolpad@yahoo.com
No comments