অলিম্পিক নগর থেকে যৌনকর্মী উচ্ছেদ!
অলিম্পিক গেমস সুফলের পরিবর্তে দুর্ভোগ বয়ে এনেছে ইস্ট লন্ডনের যৌনকর্মীদের জন্য। ভেন্যু সংলগ্ন পতিতালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেক আগে। ব্যবসা বাঁচাতে পথে নেমেও টিকতে পারছে না যৌনকর্মীরা। সেখান থেকেও তাদের উচ্ছেদ করছে পুলিশ।
ইংল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বেরিয়েছে অলিম্পিক স্টেডিয়ামের চারপাশ থেকে অন্তত ৮০টি পতিতালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গেমসের সুশ্রী বাড়াতে গণিকাদের বিতাড়িত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে পুলিশ। ফল হিতে বিপরীত হয়েছে। যৌনকর্মীরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বাণিজ্য করছেন। খদ্দেরদের সঙ্গে যেখানে সেখানে মিলনও হচ্ছে তাদের। দিনের বেলায় গাড়ি এবং পার্ক ব্যবহার করেন। সূর্যাস্তের পরে যত্রতত্র!
অলিম্পিক ভিলেজ থেকে সাত কিলোমিটার দূরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস ব্রিকলেনে। ওই জায়গাতে অপরাধ কর্ম করে সটকে পড়া কোনো ব্যপারই না। ভাসমান যৌনকর্মীদের জন্য ব্রিকলেন এখন অভয় জোন। যৌনকর্মীদের উৎপাতে বাঙ্গালি পরিবারগুলো ছেলেমেয়ে নিয়ে স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছে না। ঘর থেকে বেরুলেই বাবা মাকে অপ্রস্তুত হতে হয়। লিলি নামের একজন নারী প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ‘রাস্তায় ব্যবহার হওয়া কন্ডম পড়ে থাকে। মাদককের অভাব নেই। সব ধরণের অপকর্ম হচ্ছে।’
কিছুদিন আগে ইসলাম নামের একজন বাংলাদেশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন ব্রিকলেনে। পুলিশকে বাধ্য করিয়েছিলেন যৌনকর্মীদের তাদের পাড়া থেকে উচ্ছেদের জন্য। কিন্তু তাতে খুব লাভ হয়নি। রাত যেতে না যেতে আবার আগের অবস্থা ফিরে এসেছে।
ইংল্যান্ডে যৌন ব্যবসা বৈধ করে দিয়েছে সরকার। তারপরেও পতিতালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়ার কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছেন না সমাজকর্মী জর্জিনা পেরি। তিনি মনে করেন, ‘এভাবে উচ্ছেদের ফলে যৌনকর্মীরা ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। তারা রাস্তাঘাটে খদ্দের ধরার জন্য অপেক্ষা করেন। ভালো কোনো কক্ষ ব্যবহার করতে পারেন না।’
বৈধ হলেও অলিম্পিকের জন্য যে কোনো মূল্যে যৌনকর্মীদের প্রতিরোধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ। খোদ লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনও পতিতালয়গুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। রাস্তাঘাট যৌনকর্মী মুক্ত রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
যদিও পতিতালয় উচ্ছেদের বিষয়টি অস্বীকার করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। এমনকি পতিতালয়ে অভিযান চালানো হয়নি বলে তাদের দাবি। কিন্তু বাস্তবতা হলো ব্রাজিল এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে আসা বড় সংখ্যক যৌনকর্মীকে আটক রেখেছে পুলিশ। সংখ্যায় কতজন হবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পুলিশ তা নিশ্চিত করেতে পারেনি।
আগের অলিম্পিক গেমসগুলোতেও দেখা গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যৌনকর্মীরা ভিড় করেছেন অলিম্পিক নগরে। বেইজিংয়ে ৫০ হাজারেরও বেশি যৌনকর্মী ছিলো। সেখানে নিরাপদ মিলনের জন্য সরকার থেকে যৌনকর্মীদের প্রতিশোধক দিয়ে সাহায্য করেছে। কিন্তু যেদেশে যৌন ব্যবস্থা বৈধ সেই ইংল্যান্ড গণিকাদের ওপরে অবিচার।
গণিকাদের মাধ্যমে অলিম্পিক গেমস চলাকালে দেশের অথনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা অতিথিরা উষ্ণতা নিতে যৌনকর্মীদের কাছে যেয়ে থাকেন। পর্যটকদের ভ্রমণ যাতে প্রাণবন্ত করতে বিভিন্ন সময়ে গেমস কতৃপক্ষ যৌনকর্মীদের জন্য নানা সুব্যবস্থা করে থাকে। এই দায়িত্ব পড়ে নগর পিতার ওপর। কিন্তু লন্ডন উল্টো রথে চলছে। এতে অর্থনৈকক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ। বিদেশি পর্যটকরাও একঘেয়ে হয়ে পড়ছেন লন্ডনে।
অলিম্পিক ভিলেজ থেকে সাত কিলোমিটার দূরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস ব্রিকলেনে। ওই জায়গাতে অপরাধ কর্ম করে সটকে পড়া কোনো ব্যপারই না। ভাসমান যৌনকর্মীদের জন্য ব্রিকলেন এখন অভয় জোন। যৌনকর্মীদের উৎপাতে বাঙ্গালি পরিবারগুলো ছেলেমেয়ে নিয়ে স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছে না। ঘর থেকে বেরুলেই বাবা মাকে অপ্রস্তুত হতে হয়। লিলি নামের একজন নারী প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ‘রাস্তায় ব্যবহার হওয়া কন্ডম পড়ে থাকে। মাদককের অভাব নেই। সব ধরণের অপকর্ম হচ্ছে।’
কিছুদিন আগে ইসলাম নামের একজন বাংলাদেশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন ব্রিকলেনে। পুলিশকে বাধ্য করিয়েছিলেন যৌনকর্মীদের তাদের পাড়া থেকে উচ্ছেদের জন্য। কিন্তু তাতে খুব লাভ হয়নি। রাত যেতে না যেতে আবার আগের অবস্থা ফিরে এসেছে।
ইংল্যান্ডে যৌন ব্যবসা বৈধ করে দিয়েছে সরকার। তারপরেও পতিতালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়ার কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছেন না সমাজকর্মী জর্জিনা পেরি। তিনি মনে করেন, ‘এভাবে উচ্ছেদের ফলে যৌনকর্মীরা ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। তারা রাস্তাঘাটে খদ্দের ধরার জন্য অপেক্ষা করেন। ভালো কোনো কক্ষ ব্যবহার করতে পারেন না।’
বৈধ হলেও অলিম্পিকের জন্য যে কোনো মূল্যে যৌনকর্মীদের প্রতিরোধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ। খোদ লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনও পতিতালয়গুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। রাস্তাঘাট যৌনকর্মী মুক্ত রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
যদিও পতিতালয় উচ্ছেদের বিষয়টি অস্বীকার করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। এমনকি পতিতালয়ে অভিযান চালানো হয়নি বলে তাদের দাবি। কিন্তু বাস্তবতা হলো ব্রাজিল এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে আসা বড় সংখ্যক যৌনকর্মীকে আটক রেখেছে পুলিশ। সংখ্যায় কতজন হবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পুলিশ তা নিশ্চিত করেতে পারেনি।
আগের অলিম্পিক গেমসগুলোতেও দেখা গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যৌনকর্মীরা ভিড় করেছেন অলিম্পিক নগরে। বেইজিংয়ে ৫০ হাজারেরও বেশি যৌনকর্মী ছিলো। সেখানে নিরাপদ মিলনের জন্য সরকার থেকে যৌনকর্মীদের প্রতিশোধক দিয়ে সাহায্য করেছে। কিন্তু যেদেশে যৌন ব্যবস্থা বৈধ সেই ইংল্যান্ড গণিকাদের ওপরে অবিচার।
গণিকাদের মাধ্যমে অলিম্পিক গেমস চলাকালে দেশের অথনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা অতিথিরা উষ্ণতা নিতে যৌনকর্মীদের কাছে যেয়ে থাকেন। পর্যটকদের ভ্রমণ যাতে প্রাণবন্ত করতে বিভিন্ন সময়ে গেমস কতৃপক্ষ যৌনকর্মীদের জন্য নানা সুব্যবস্থা করে থাকে। এই দায়িত্ব পড়ে নগর পিতার ওপর। কিন্তু লন্ডন উল্টো রথে চলছে। এতে অর্থনৈকক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ। বিদেশি পর্যটকরাও একঘেয়ে হয়ে পড়ছেন লন্ডনে।
No comments