ব্লাউজে বাহার by তৌহিদা শিরোপা
বাহারি ব্লাউজ। কাট ও নকশায় করে তুলুন সাধারণের মধ্যেই অসাধারণ। এবারের ঈদে ব্লাউজে কাটে নকশায় নানা বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে। নানা ঢঙ্গে ব্লাউজ তৈরির জন্য দর্জির দোকানগুলোতে এখনই শুরু হয়ে গেছে ঈদের ভিড়। দেরি না করে নিজের পছন্দের ব্লাউজ তৈরি করতে দিন এখনই।
এবারের ব্লাউজের ট্রেন্ড কেমন, সে বিষয়ে কথা বলেন ফ্যাশন হাউস আলমিরার স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার শাহরুখ আমিন। ‘কনট্রাস্ট ব্লাউজেরই ট্রেন্ড এখন। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পরতে চাইলে তার মধ্যেও কনট্রাস্ট রাখতে হবে। যেমন প্রিন্টের শাড়ির সঙ্গে প্রিন্টের ব্লাউজ পরা যেতে পারে। কিন্তু একই প্রিন্টের না হয়ে ভিন্ন হতে পারে। আবার মূল জমিনে একরঙা কাপড় ব্যবহার করে হাতায় প্রিন্টের কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।’
শাহরুখের মতে, জমকালো শাড়ির সঙ্গে মসলিন বা সিল্কের ব্লাউজ ভালো দেখাবে। যে রঙের কাপড়, সেই রঙের সুতা দিয়ে হাতের কাজ করলে অন্য রকম দেখাবে ব্লাউজটি। হাতা কাটা, থ্রি কোয়ার্টার ব্লাউজের চল এবারও হয়েছে। গরমের কারণে সুতির ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সুতি চুন্দ্রির পাশাপাশি র সিল্ক, মসলিন, কাতানেরও চাহিদা রয়েছে। শিফনের শাড়ি পরতে চাইলে র সিল্ক বা মসলিনের ব্লাউজ পরতে পারেন। তবে অবশ্যই কনট্রাস্ট হতে হবে। ব্রোকেডের ব্লাউজ শিফনের শাড়ির সঙ্গে সহজে মানিয়ে যায়। ব্লাউজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্য দেখা যায় গলার নকশায়।
শাহরুখ আমিন বলেন, ‘হাই কলার পাঞ্জাবির মতো গলায় ও সামনে বোতাম, কোট নেক বেশি চলছে এবারের ঈদে। থ্রি কোয়ার্টার হাতায় পেছনে বড় গলা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, পেছনে ফিতা দিলে তার সঙ্গে কড়ি, আয়না, ছোট ঘণ্টা, পয়সা, সুতার গুচ্ছ দিয়ে বাহারি নকশা করা হচ্ছে। শাড়ির আঁচল বা পাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে হাতায় এমব্রয়ডারিও করতে পারেন। কাতান, জামদানিসহ যেকোনো ঐতিহ্যবাহী শাড়ির ব্লাউজে পাইপিঙ ব্যবহার করা যেতে পারে। পাইপিঙের ব্যবহারে সুতির সাধারণ ব্লাউজও অনন্য দেখাবে। শিফন, মসলিন শাড়ির সঙ্গে হাতাকাটা বা খাটো হাতার ব্লাউজ মানানসই। যাঁদের হাতের গঠন মোটা, তাঁদের হাতার দৈর্ঘ্য হতে পারে কনুইয়ের আগে পর্যন্ত।
এ ছাড়া তিন-চার রঙের পাড় দিয়ে প্যাচওয়ার্ক করে ব্লাউজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভালোভাবে মাপ দিয়ে ব্লাউজ তৈরি করতে হবে। পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধই আসল কথা।’
পোশাক ডিজাইনার রফিক রাজের মত একটু ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘স্টাইলিশ ব্লাউজ পরার সময় খেয়াল রাখতে হবে, তা আপনার ব্যক্তিদের সঙ্গে মানানসই কি না। হাতের গঠন মোটা বা চিকন—এটি কোনো বিষয় নয়। আপনার স্বাচ্ছন্দ্যই মূল বিষয়। যে কেউ যেকোনো নকশার ব্লাউজ পরতে পারেন। স্ট্রাইপের কাপড়ে পাইপিঙ দিলে অন্যরকম সুন্দর হবে ব্লাউজ। মূল জমিনে কাতান কাপড় আর হাতায় মসলিন বা নেট ব্যবহার করতে পারেন। গতবারের মতো এবারও এটি চলছে। লেইসের শাড়ির সঙ্গে লেইসের ব্লাউজ বেশি মানায়। তখন ব্লাউজের খাটো হাতা করতে হবে।’
ব্লাউজকে জমকালো করতে চাইলে গলাবন্ধ ব্লাউজের পুরো গলাজুড়ে পাথর ও চুমকির কাজ করতে পারেন। ছোট মুক্তা ব্যবহারেও অসাধারণ হবে আপনার ঈদের ব্লাউজ। সাধারণত রাতের অনুষ্ঠানে জমকালো ব্লাউজ পরবেন। চাইলে ব্লাউজের পেছনের অংশে পাথর, মুক্তা ও সিকোয়েন্সের ভারী কাজ করতে পারেন। শারীরিক গঠন ভারি হলে ব্লাউজে বড় গলার ব্যবহার করতে হবে। হাত মোটা হলে ঘটি হাতা না পরে হাতাকাটা বা খাটো হাতার ব্লাউজ পরলে হাত চিকন দেখাবে। তাহলে দেরি না করে বিশেষ দিনের শাড়ির সঙ্গের বিশেষ ব্লাউজটি তৈরি করতে দিন।
শাহরুখ আমিন বলেন, ‘হাই কলার পাঞ্জাবির মতো গলায় ও সামনে বোতাম, কোট নেক বেশি চলছে এবারের ঈদে। থ্রি কোয়ার্টার হাতায় পেছনে বড় গলা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, পেছনে ফিতা দিলে তার সঙ্গে কড়ি, আয়না, ছোট ঘণ্টা, পয়সা, সুতার গুচ্ছ দিয়ে বাহারি নকশা করা হচ্ছে। শাড়ির আঁচল বা পাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে হাতায় এমব্রয়ডারিও করতে পারেন। কাতান, জামদানিসহ যেকোনো ঐতিহ্যবাহী শাড়ির ব্লাউজে পাইপিঙ ব্যবহার করা যেতে পারে। পাইপিঙের ব্যবহারে সুতির সাধারণ ব্লাউজও অনন্য দেখাবে। শিফন, মসলিন শাড়ির সঙ্গে হাতাকাটা বা খাটো হাতার ব্লাউজ মানানসই। যাঁদের হাতের গঠন মোটা, তাঁদের হাতার দৈর্ঘ্য হতে পারে কনুইয়ের আগে পর্যন্ত।
এ ছাড়া তিন-চার রঙের পাড় দিয়ে প্যাচওয়ার্ক করে ব্লাউজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভালোভাবে মাপ দিয়ে ব্লাউজ তৈরি করতে হবে। পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধই আসল কথা।’
পোশাক ডিজাইনার রফিক রাজের মত একটু ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘স্টাইলিশ ব্লাউজ পরার সময় খেয়াল রাখতে হবে, তা আপনার ব্যক্তিদের সঙ্গে মানানসই কি না। হাতের গঠন মোটা বা চিকন—এটি কোনো বিষয় নয়। আপনার স্বাচ্ছন্দ্যই মূল বিষয়। যে কেউ যেকোনো নকশার ব্লাউজ পরতে পারেন। স্ট্রাইপের কাপড়ে পাইপিঙ দিলে অন্যরকম সুন্দর হবে ব্লাউজ। মূল জমিনে কাতান কাপড় আর হাতায় মসলিন বা নেট ব্যবহার করতে পারেন। গতবারের মতো এবারও এটি চলছে। লেইসের শাড়ির সঙ্গে লেইসের ব্লাউজ বেশি মানায়। তখন ব্লাউজের খাটো হাতা করতে হবে।’
ব্লাউজকে জমকালো করতে চাইলে গলাবন্ধ ব্লাউজের পুরো গলাজুড়ে পাথর ও চুমকির কাজ করতে পারেন। ছোট মুক্তা ব্যবহারেও অসাধারণ হবে আপনার ঈদের ব্লাউজ। সাধারণত রাতের অনুষ্ঠানে জমকালো ব্লাউজ পরবেন। চাইলে ব্লাউজের পেছনের অংশে পাথর, মুক্তা ও সিকোয়েন্সের ভারী কাজ করতে পারেন। শারীরিক গঠন ভারি হলে ব্লাউজে বড় গলার ব্যবহার করতে হবে। হাত মোটা হলে ঘটি হাতা না পরে হাতাকাটা বা খাটো হাতার ব্লাউজ পরলে হাত চিকন দেখাবে। তাহলে দেরি না করে বিশেষ দিনের শাড়ির সঙ্গের বিশেষ ব্লাউজটি তৈরি করতে দিন।
No comments