নগ্নতার প্রশ্নে গ্রীক পুরান ভার্সেস হলিউড-বলিউড
বেশ কিছুদিন ধরে বলিউড ও হলিউড স্টারদের ক্রমাগত বিবসনা ছবি প্রকাশের খবরে পত্রিকাপাড়া সবর হয়ে উঠছে। স্টারদের একে অন্যকে পাল্লা দিয়ে নগ্নতার প্রতিযোগিতা চলছে। নগ্নতার কোনো শৈল্পিক দিক আছে কিনা সে ব্যাখ্যায় যাবো না। শিল্পসম্মত বিষয়াদী মানুষের আতিমক ধারণা।
উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে শিল্পবোধ কিছুটা শাণিত হয় মাত্র। গ্রীক পুরান কাব্য নগ্নতার উপাসক। জিউস, পসেডন, হেরা, অ্যাফ্রোদিতি, অ্যাথেনা, হেডেস, অ্যাপোলো সব গ্রীক দেবতাদের বেশিরভাগ সময় উপস্থাপন করা হয়েছে বিবসন করে। পৃথিবী বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের নিজেদের শিল্পসৃষ্টির জন্য প্রথম পছন্দ বিবসনা নারী। তাদের সেসব নজরকাড়া ধ্রুপদী চিত্র পৃথিবী বিখ্যাত হয়েছে।
পশ্চিমা সংস্কৃতির ধারক বাহক নগ্নতা। নগ্নতা তাদের সংস্কৃতিতে ধ্রুপদী শিল্প হিসেবে প্রদর্শিত হয়। আর আমাদের দেশের সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে সবার বদ্ধমূল ধারণা-বিকারগ্রস্থ মানুষের তীব্র রুচিবোধের অভাব হলেই তারা অশালীনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে।
বলিউডি মডেল পুনম পান্ডে যিনি নাকি মডেলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। বলিউডি এই কন্যা যে কারণে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টার তীর ছুড়ে দিলেন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত চ্যাম্পিয়ন হলে তিনি বিবসনা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কিন্তু পুনম কথা রাখেননি। আর সেই দুঃখে পুনমের অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সরব হয়ে উঠেছিল ভারতীয় মিডিয়া। যাইহোক কিছুদিন আগে পুনম তার কথা রেখেছেন টুইটারে নিজের বিবসনা ছবি পোস্ট করেন। এতেও কিন্তু নারাজ মিডিয়া। পুনম নিজের মেধাকে সঠিকভাবে দেখাতে না পেরেই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন বলে প্রোপাগাণ্ড চালায় মিডিয়া।
ভারত রত্ন দাবীদার শার্লিন চোপড়া তো আরো একধাপ এগিয়ে আছেন। তিনি এখন প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রচ্চদকন্যা। এটাকে বিশাল অর্জন বলে নিজেই ভাঙ্গা ঢাকে বাড়ি লাগাচ্ছেন। সেইসঙ্গে টুইটারে কয়েকদিন পরপর পোস্ট করছেন নিজের বিবসনা ছবি। শিল্প সবসসময়ই উদার। কিন্তু যা মানুষকে ভ্রু কুঞ্চিত করতে বাধ্য করে, শালীনতাবোধে আঘাত করে সেইসব আচরণের ভেতরে শিল্প কতটুকু থাকে! শৈল্পিক বিষয় যদি সবার সঙ্গে বসে দেখার উপযোগী না হয় তাহলে সেটার শিল্পমূল্য কতখানি! শিল্পের সংজ্ঞা দেশ কাল পাত্র ভেদে পরিবর্তিত হয়। আর একারণেই টাইটানিকের মতো অস্কার জয়ী ছবি যখন এদেশে প্রদর্শিত হলো তখন নগ্ন দৃশ্য সম্বলিত অংশগুলো মানুষের দৃষ্টিগোচরহীন আবছা পর্দাবৃত করে দেয়া হয়েছিল। এটা কি শিল্পের অবমূল্যায়ন! নাকি এখানে সামাজিক সুরক্ষা ও নৈতিকতার বিষয় জড়িত!
এরই মধ্যে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখালেন ইন্দো-কানাডিয়ান পর্নোস্টার সানি লিওন। নিজের বিতর্কিত পেশা থেকে উঠে এসেছেন বলিউড সাম্রাজ্যে। মানুষের শৈল্পিকসত্বা গড়ে ওঠে মেধার সমন্বয়ে। শিল্পের প্রতিটি শাখায় আছে মেধার স্বাক্ষর। এখন কথা হলো এই যে সবাই কথায় কথায় নগ্ন হচ্ছে তার জন্য কতটুকু মেধা লাগে!
পশ্চিমা সংস্কৃতি উত্তম বহিঃপ্রকাশ হলিউড। সেখানে নগ্নতা মুড়িমুড়কির মতোই। সেখানে পামেলা অ্যান্ডারসন থেকে শুরু করে হালের স্ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট অথবা পপস্টার ম্যাডোনা থেকে শুরু করে হালের লেডি গাগা সবাই নিজেদের বাজারদর বাড়ানোর জন্য আলোচনায় রাখতে ব্যস্ত। কেউই পশ্চিমা ধ্রুপদী শিল্পের প্রদর্শনীতে পিছিয়ে নেই। তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নগ্নশিল্পকে উৎসাহিত করে কিন্তু তাদের বানানো সেই উপাদানগুলো আমাদের সমাজে প্রদর্শনের জন্য কতটা উপযুক্ত!
ইন্টারনেটের কল্যাণে পশ্চিমা কোনো শিল্পই আর আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নাই। সবকিছুই সবার জন্য উন্মুক্ত। মানুষের অদম্য কৌতুহলকে পুঁজি করে বিকৃত শিল্পের বিকাশ কতটা সুস্থ মানসিকতার সেটা ভেবে দেখা দরকার।
পশ্চিমা সংস্কৃতির ধারক বাহক নগ্নতা। নগ্নতা তাদের সংস্কৃতিতে ধ্রুপদী শিল্প হিসেবে প্রদর্শিত হয়। আর আমাদের দেশের সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে সবার বদ্ধমূল ধারণা-বিকারগ্রস্থ মানুষের তীব্র রুচিবোধের অভাব হলেই তারা অশালীনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে।
বলিউডি মডেল পুনম পান্ডে যিনি নাকি মডেলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। বলিউডি এই কন্যা যে কারণে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টার তীর ছুড়ে দিলেন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত চ্যাম্পিয়ন হলে তিনি বিবসনা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কিন্তু পুনম কথা রাখেননি। আর সেই দুঃখে পুনমের অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সরব হয়ে উঠেছিল ভারতীয় মিডিয়া। যাইহোক কিছুদিন আগে পুনম তার কথা রেখেছেন টুইটারে নিজের বিবসনা ছবি পোস্ট করেন। এতেও কিন্তু নারাজ মিডিয়া। পুনম নিজের মেধাকে সঠিকভাবে দেখাতে না পেরেই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন বলে প্রোপাগাণ্ড চালায় মিডিয়া।
ভারত রত্ন দাবীদার শার্লিন চোপড়া তো আরো একধাপ এগিয়ে আছেন। তিনি এখন প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রচ্চদকন্যা। এটাকে বিশাল অর্জন বলে নিজেই ভাঙ্গা ঢাকে বাড়ি লাগাচ্ছেন। সেইসঙ্গে টুইটারে কয়েকদিন পরপর পোস্ট করছেন নিজের বিবসনা ছবি। শিল্প সবসসময়ই উদার। কিন্তু যা মানুষকে ভ্রু কুঞ্চিত করতে বাধ্য করে, শালীনতাবোধে আঘাত করে সেইসব আচরণের ভেতরে শিল্প কতটুকু থাকে! শৈল্পিক বিষয় যদি সবার সঙ্গে বসে দেখার উপযোগী না হয় তাহলে সেটার শিল্পমূল্য কতখানি! শিল্পের সংজ্ঞা দেশ কাল পাত্র ভেদে পরিবর্তিত হয়। আর একারণেই টাইটানিকের মতো অস্কার জয়ী ছবি যখন এদেশে প্রদর্শিত হলো তখন নগ্ন দৃশ্য সম্বলিত অংশগুলো মানুষের দৃষ্টিগোচরহীন আবছা পর্দাবৃত করে দেয়া হয়েছিল। এটা কি শিল্পের অবমূল্যায়ন! নাকি এখানে সামাজিক সুরক্ষা ও নৈতিকতার বিষয় জড়িত!
এরই মধ্যে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখালেন ইন্দো-কানাডিয়ান পর্নোস্টার সানি লিওন। নিজের বিতর্কিত পেশা থেকে উঠে এসেছেন বলিউড সাম্রাজ্যে। মানুষের শৈল্পিকসত্বা গড়ে ওঠে মেধার সমন্বয়ে। শিল্পের প্রতিটি শাখায় আছে মেধার স্বাক্ষর। এখন কথা হলো এই যে সবাই কথায় কথায় নগ্ন হচ্ছে তার জন্য কতটুকু মেধা লাগে!
পশ্চিমা সংস্কৃতি উত্তম বহিঃপ্রকাশ হলিউড। সেখানে নগ্নতা মুড়িমুড়কির মতোই। সেখানে পামেলা অ্যান্ডারসন থেকে শুরু করে হালের স্ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট অথবা পপস্টার ম্যাডোনা থেকে শুরু করে হালের লেডি গাগা সবাই নিজেদের বাজারদর বাড়ানোর জন্য আলোচনায় রাখতে ব্যস্ত। কেউই পশ্চিমা ধ্রুপদী শিল্পের প্রদর্শনীতে পিছিয়ে নেই। তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নগ্নশিল্পকে উৎসাহিত করে কিন্তু তাদের বানানো সেই উপাদানগুলো আমাদের সমাজে প্রদর্শনের জন্য কতটা উপযুক্ত!
ইন্টারনেটের কল্যাণে পশ্চিমা কোনো শিল্পই আর আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নাই। সবকিছুই সবার জন্য উন্মুক্ত। মানুষের অদম্য কৌতুহলকে পুঁজি করে বিকৃত শিল্পের বিকাশ কতটা সুস্থ মানসিকতার সেটা ভেবে দেখা দরকার।
No comments