সম্পদ ও দায় পুনর্মূল্যায়নের নীতিমালা চূড়ান্ত
সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির সম্পদ ও দায় মূল্যায়ন ও পুনর্মূল্যায়নের জন্য প্রথমবারের মতো একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার।
আগামী দিনে যেসব সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাইবে, তাদের এ নীতিমালার আওতায় সম্পদ ও দায়ের মূল্যায়ন ও পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। সম্পদের মধ্যে রয়েছে কোম্পানির স্থায়ী ও চলতি সম্পদ। আর দায়ের মধ্যে রয়েছে চলতি ও দীর্ঘমেয়াদি দায়।
‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত সরকারি কোম্পানিগুলোর সম্পদ ও দায়ের পুনর্মূল্যায়নের জন্য নীতিমালাটি প্রণয়ন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
নীতিমালা অনুযায়ী, সরাসরি তালিকাভুক্তির (ডিরেক্ট লিস্টিং) জন্য স্টক এক্সচেঞ্জ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই জমা দিতে হবে কোম্পানির সম্পদ ও দায়ের পুনর্মূল্যায়ন প্রতিবেদন। তবে যে তারিখে আবেদন করা হবে, পুনর্মূল্যায়ন প্রতিবেদনটি সেই তারিখ থেকে এক বছরের বেশি পুরোনো হতে পারবে না।
নিরীক্ষা ফার্মের জন্য শর্ত: নীতিমালা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে ইচ্ছুক সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির মূল্যায়নকারী (ভ্যালুয়ার) বা পুনর্মূল্যায়নকারী (রি-ভ্যালুয়ার) হতে হলে নিরীক্ষা ফার্মগুলোকে কিছু শর্ত পালন করতে হবে। যেমন, নিরীক্ষা ফার্মকে অংশীদারি কারবার হতে হবে এবং ফার্মের অন্তত দুজন অংশীদারের প্রত্যেকের সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে কোনো নিরীক্ষা ফার্মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকলে, শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং আর্থিক জরিমানার ক্ষেত্রে তা পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ফার্ম মূল্যায়নকারী বা পুনর্মূল্যায়নকারী হতে পারবে না।
চলতি বছরসহ আগের তিন বছরের মধ্যে যেকোনো বছরে প্রস্তাবিত কোম্পানির বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করলে কোনো নিরীক্ষা ফার্ম ওই কোম্পানির সম্পদ ও দায় পুনর্মূল্যায়নের কাজ করতে পারবে না। ফার্মকে প্রয়োজনে (তড়ির্যা প্রকৌশলী, বস্ত্র প্রকৌশলী) যথাযথ প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে।
এসব শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদন করলে নিরীক্ষা ফার্মের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে দেবে এসইসি। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই তালিকা থেকে যে কাউকে পুনর্মূল্যায়নকারী হিসেবে নিয়োগ দেবে।
সম্পদ ও দায় : কোম্পানির সম্পদের মধ্যে রয়েছে স্থায়ী সম্পদ ও চলতি সম্পদ। স্থায়ী সম্পদকে আবার কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে দেখানো হয়েছে। জমি, প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি, ভবন, অন্যান্য স্থায়ী সম্পদ, অস্থাবর সম্পদ, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। অন্যান্য স্থায়ী সম্পদের মধ্যে রয়েছে আসবাব, কম্পিউটার, বিদ্যুর্যা উর্যাপাদনকারী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
ভূমি এবং অন্যান্য স্থায়ী সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাজারমূল্য বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। ভবন, প্লান্ট ও যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কত দিন টিকবে, তা বিবেচনায় রাখতে হবে। আর দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (বিএএস), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস (বিএফআরএস) এবং প্রচলিত আইনানুযায়ী।
চলতি সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ ও নগদের সমতুল্য, রিসিভেবলস (যে সম্পদ এখনো পাওয়া যায়নি কিন্তু পাওয়া যাবে), অগ্রিম, স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ ইত্যাদি। রিসিভেবলসের ক্ষেত্রে এক বছরেরগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ পুনর্মূল্যায়িত হবে বিএএস এবং বিএফআরএস অনুযায়ী।
অন্যদিকে চলতি দায় ও দীর্ঘমেয়াদি দায়ের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আয়কর আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক। গ্র্যাচুইটি পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিএএস ও বিএফআরএস অনুসরণ করতে হবে। তবে অবসরকালীন তহবিলের ক্ষেত্রে করতে হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল পুনর্মূল্যায়ন।
বক্তব্য : এ নীতিমালা প্রণয়নকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর সম্পদ ও দায় পুনর্মূল্যায়নের জন্য এখন একটি উপায় তৈরি হলো। তবে খেয়াল রাখতে হবে, নীতিমালাটি যেন যথাযথভাবে পরিপালিত হয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে এসইসির।’
যোগাযোগ করলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, এত দিন সম্পদ ও দায় মূল্যায়ন-পুনর্মূল্যায়ন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা ছিল না। ফলে একেক কোম্পানি একেক পদ্ধতিতে কাজটি করে আসছিল। নীতিমালাটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সরকারি কোম্পানিগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, ২৬টি সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
আগামী দিনে যেসব সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাইবে, তাদের এ নীতিমালার আওতায় সম্পদ ও দায়ের মূল্যায়ন ও পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। সম্পদের মধ্যে রয়েছে কোম্পানির স্থায়ী ও চলতি সম্পদ। আর দায়ের মধ্যে রয়েছে চলতি ও দীর্ঘমেয়াদি দায়।
‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত সরকারি কোম্পানিগুলোর সম্পদ ও দায়ের পুনর্মূল্যায়নের জন্য নীতিমালাটি প্রণয়ন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
নীতিমালা অনুযায়ী, সরাসরি তালিকাভুক্তির (ডিরেক্ট লিস্টিং) জন্য স্টক এক্সচেঞ্জ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই জমা দিতে হবে কোম্পানির সম্পদ ও দায়ের পুনর্মূল্যায়ন প্রতিবেদন। তবে যে তারিখে আবেদন করা হবে, পুনর্মূল্যায়ন প্রতিবেদনটি সেই তারিখ থেকে এক বছরের বেশি পুরোনো হতে পারবে না।
নিরীক্ষা ফার্মের জন্য শর্ত: নীতিমালা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে ইচ্ছুক সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির মূল্যায়নকারী (ভ্যালুয়ার) বা পুনর্মূল্যায়নকারী (রি-ভ্যালুয়ার) হতে হলে নিরীক্ষা ফার্মগুলোকে কিছু শর্ত পালন করতে হবে। যেমন, নিরীক্ষা ফার্মকে অংশীদারি কারবার হতে হবে এবং ফার্মের অন্তত দুজন অংশীদারের প্রত্যেকের সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে কোনো নিরীক্ষা ফার্মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকলে, শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং আর্থিক জরিমানার ক্ষেত্রে তা পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ফার্ম মূল্যায়নকারী বা পুনর্মূল্যায়নকারী হতে পারবে না।
চলতি বছরসহ আগের তিন বছরের মধ্যে যেকোনো বছরে প্রস্তাবিত কোম্পানির বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করলে কোনো নিরীক্ষা ফার্ম ওই কোম্পানির সম্পদ ও দায় পুনর্মূল্যায়নের কাজ করতে পারবে না। ফার্মকে প্রয়োজনে (তড়ির্যা প্রকৌশলী, বস্ত্র প্রকৌশলী) যথাযথ প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে।
এসব শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদন করলে নিরীক্ষা ফার্মের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে দেবে এসইসি। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই তালিকা থেকে যে কাউকে পুনর্মূল্যায়নকারী হিসেবে নিয়োগ দেবে।
সম্পদ ও দায় : কোম্পানির সম্পদের মধ্যে রয়েছে স্থায়ী সম্পদ ও চলতি সম্পদ। স্থায়ী সম্পদকে আবার কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে দেখানো হয়েছে। জমি, প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি, ভবন, অন্যান্য স্থায়ী সম্পদ, অস্থাবর সম্পদ, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। অন্যান্য স্থায়ী সম্পদের মধ্যে রয়েছে আসবাব, কম্পিউটার, বিদ্যুর্যা উর্যাপাদনকারী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
ভূমি এবং অন্যান্য স্থায়ী সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাজারমূল্য বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। ভবন, প্লান্ট ও যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কত দিন টিকবে, তা বিবেচনায় রাখতে হবে। আর দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (বিএএস), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস (বিএফআরএস) এবং প্রচলিত আইনানুযায়ী।
চলতি সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ ও নগদের সমতুল্য, রিসিভেবলস (যে সম্পদ এখনো পাওয়া যায়নি কিন্তু পাওয়া যাবে), অগ্রিম, স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ ইত্যাদি। রিসিভেবলসের ক্ষেত্রে এক বছরেরগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ পুনর্মূল্যায়িত হবে বিএএস এবং বিএফআরএস অনুযায়ী।
অন্যদিকে চলতি দায় ও দীর্ঘমেয়াদি দায়ের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আয়কর আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক। গ্র্যাচুইটি পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিএএস ও বিএফআরএস অনুসরণ করতে হবে। তবে অবসরকালীন তহবিলের ক্ষেত্রে করতে হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল পুনর্মূল্যায়ন।
বক্তব্য : এ নীতিমালা প্রণয়নকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর সম্পদ ও দায় পুনর্মূল্যায়নের জন্য এখন একটি উপায় তৈরি হলো। তবে খেয়াল রাখতে হবে, নীতিমালাটি যেন যথাযথভাবে পরিপালিত হয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে এসইসির।’
যোগাযোগ করলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, এত দিন সম্পদ ও দায় মূল্যায়ন-পুনর্মূল্যায়ন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা ছিল না। ফলে একেক কোম্পানি একেক পদ্ধতিতে কাজটি করে আসছিল। নীতিমালাটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সরকারি কোম্পানিগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, ২৬টি সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
No comments