আন্তদেশীয় শেয়ার লেনদেনের উদ্যোগ
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তদেশীয় শেয়ার লেনদেন চালু ও কোম্পানির তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সার্ক অঞ্চলের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর সংগঠন দক্ষিণ এশীয় ফেডারেশন অব এক্সচেঞ্জেস (এসএএফই) এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এসএএফই মনে করছে, উদ্যোগটি সফল হলে এ অঞ্চলের এক দেশের কোম্পানি অন্য দেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এতে দেশগুলোর মধ্যে পুঁজির আদান-প্রদান বৃদ্ধির পাশাপাশি শেয়ারের বাজারের ব্যাপ্তি বাড়বে। শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মূলধন সংগ্রহ সহজ হবে। একই সঙ্গে লাভবান হবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও।
উল্লেখ্য, এসএএফই অনেক দিন ধরেই এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি একটি প্রাথমিক অবস্থানপত্র তৈরি করেছে সংগঠনটি। এতে কোম্পানির তালিকাভুক্তি ও লেনদেন চালুর ক্ষেত্রে সদস্যদেশগুলোর বিদ্যমান আইনকানুনের সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা এবং সেগুলো দূরীকরণের উপায় ঠাঁই পেয়েছে।
জানা গেছে, এ অবস্থানপত্রের ভিত্তিতে সদস্যদেশগুলোর সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে এসএএফই। কাল বৃহস্পতিবার নেপালের অর্থমন্ত্রী, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করবে সংগঠনটির প্রতিনিধি দল। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।
এসএএফইর সহসভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া আগামী দিনে বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি অর্থনৈতিক বিকাশকে আরও গতিশীল করবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আন্তদেশীয় তালিকাভুক্তি ও লেনদেন চালু খুব একটা সহজ কাজ হবে না। তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নীতিনির্ধারকদের একপর্যায়ে অবশ্যই সম্মত করানো যাবে বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র জানায়, আন্তদেশীয় তালিকাভুক্তি ও লেনদেন চালুর জন্য বিস্তারিত কৌশলপত্র প্রণয়নের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যে সংস্থা আন্তদেশীয় পত্রকোষ বা পোর্টফোলিও বিনিয়োগের মডেল নিরূপণ ও সদস্যদেশগুলোর পুঁজিবাজারের তথ্য নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যব্যাংক তৈরি করা হবে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশীয় বিনিয়োগ সম্মেলন নামে বিশেষ বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
এসএএফই আগামী বছর সদস্যদেশগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য অভিন্ন বিধিবিধান, আন্তদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ও নিকাশের জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।
বর্তমানে এসএএফইর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ভুটান ও মরিশাস। এসব দেশের ১৫টি স্টক এক্সচেঞ্জ ও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এর পূর্ণ সদস্য। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ, করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ, লাহোর স্টক এক্সচেঞ্জ, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া, পাকিস্তান মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া, নেপাল স্টক এক্সচেঞ্জ, রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটান এবং স্টক এক্সচেঞ্জ অব মরিশাস
এসএএফই মনে করছে, উদ্যোগটি সফল হলে এ অঞ্চলের এক দেশের কোম্পানি অন্য দেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এতে দেশগুলোর মধ্যে পুঁজির আদান-প্রদান বৃদ্ধির পাশাপাশি শেয়ারের বাজারের ব্যাপ্তি বাড়বে। শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মূলধন সংগ্রহ সহজ হবে। একই সঙ্গে লাভবান হবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও।
উল্লেখ্য, এসএএফই অনেক দিন ধরেই এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি একটি প্রাথমিক অবস্থানপত্র তৈরি করেছে সংগঠনটি। এতে কোম্পানির তালিকাভুক্তি ও লেনদেন চালুর ক্ষেত্রে সদস্যদেশগুলোর বিদ্যমান আইনকানুনের সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা এবং সেগুলো দূরীকরণের উপায় ঠাঁই পেয়েছে।
জানা গেছে, এ অবস্থানপত্রের ভিত্তিতে সদস্যদেশগুলোর সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে এসএএফই। কাল বৃহস্পতিবার নেপালের অর্থমন্ত্রী, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করবে সংগঠনটির প্রতিনিধি দল। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।
এসএএফইর সহসভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া আগামী দিনে বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি অর্থনৈতিক বিকাশকে আরও গতিশীল করবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আন্তদেশীয় তালিকাভুক্তি ও লেনদেন চালু খুব একটা সহজ কাজ হবে না। তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নীতিনির্ধারকদের একপর্যায়ে অবশ্যই সম্মত করানো যাবে বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র জানায়, আন্তদেশীয় তালিকাভুক্তি ও লেনদেন চালুর জন্য বিস্তারিত কৌশলপত্র প্রণয়নের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যে সংস্থা আন্তদেশীয় পত্রকোষ বা পোর্টফোলিও বিনিয়োগের মডেল নিরূপণ ও সদস্যদেশগুলোর পুঁজিবাজারের তথ্য নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যব্যাংক তৈরি করা হবে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশীয় বিনিয়োগ সম্মেলন নামে বিশেষ বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
এসএএফই আগামী বছর সদস্যদেশগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য অভিন্ন বিধিবিধান, আন্তদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ও নিকাশের জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।
বর্তমানে এসএএফইর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ভুটান ও মরিশাস। এসব দেশের ১৫টি স্টক এক্সচেঞ্জ ও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এর পূর্ণ সদস্য। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ, করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ, লাহোর স্টক এক্সচেঞ্জ, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া, পাকিস্তান মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া, নেপাল স্টক এক্সচেঞ্জ, রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটান এবং স্টক এক্সচেঞ্জ অব মরিশাস
No comments