মরক্কোয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ
মরক্কোতে বাদশাহ মোহাম্মদের একচ্ছত্র ক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কারের পক্ষে সে দেশের জনগণ গণভোটের মাধ্যমে রায় দিলেও নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গণভোট প্রত্যাখ্যান করে দেশটির বিভিন্ন শহরে গত রোববার হাজার হাজার মানুষ গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
গত শুক্রবার সংবিধান সংশোধনের পক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার সংবিধান সংস্কারের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু ‘ফেব্রুয়ারি টোয়েন্টি মুভমেন্ট’ নামের সংগঠন এই গণভোটকে ভাঁওতাবাজি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। আরব বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাজতন্ত্রের দেশ মরক্কোর সংবিধান সংস্কারের দাবিতে এই সংগঠনই কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে।
মরক্কোর প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র কাসাব্লাঙ্কায় ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ ‘স্বাধীনতা ও মর্যাদার’ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। ওমর নামের একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, ‘আমি এখানে এমন এক সংবিধানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি, যাতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, বরং বাদশাহকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’
বিক্ষোভে অংশ নিতে অনেকে এসেছিলেন ‘জাস্টিস অ্যান্ড চ্যারিটি’ নামে সংগঠন থেকে। মুসলিম এই সংগঠন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও এর কর্মকাণ্ডে তেমন একটা বাধা দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
কাসাব্লাঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরকারপক্ষের কিছু লোক ইটপাটকেল ছুড়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষে আহত দুই ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রাজধানী রাবাতেও হাজার খানেক বিক্ষোভকারী ‘স্বাধীনতা, মর্যাদা, ন্যায়বিচার’ এবং ‘জনগণের কথা শুনুন’ বলে স্লোগান দেয়। উত্তরাঞ্চলীয় শহর তানজিয়ার্সেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভ হয়েছে পর্যটননগর মাররাকেশেও।
প্রতিটি বিক্ষোভস্থলেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে তারা শান্তিপূর্ণ এসব বিক্ষোভে কোনো বাধা দেয়নি।
ফেব্রুয়ারি টোয়েন্টি মুভমেন্টের একজন সদস্য ওমর রাদি বলেছেন, ‘মরক্কোয় পরিবর্তন আনার মতো নতুন সংবিধানে কিছু নেই। আমরা চাইছি একটি নতুন সরকারব্যবস্থা। আমরা চাই দুর্নীতির দমন ও নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।’
ওমর রাদি বলেন, নতুন সংবিধান বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে পারবে না। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আরও লোকজন রাস্তায় নেমে আসবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাস্তায় থেকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। আমি মনে করি, গণভোটের খেলা শেষ হওয়ার পর আরও অনেক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেবে।’
তিউনিসিয়া ও মিসরে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর মরক্কোতেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বাদশাহ মোহাম্মদ তাঁর কিছু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে গত মাসে গণভোটের ঘোষণা দেন।
নতুন সংবিধান অনুসারে পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রধান দল থেকে প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের কথা রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন সরকারপ্রধান। তবে রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন বাদশাহই। সেনাবাহিনীর প্রধান, ধর্মীয় কর্তৃত্ব ও বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাঁরই হাতে।
বাদশাহ মোহাম্মদের ১২ বছরের শাসনে এটাই প্রথম গণভোট। তিনি পরিবর্তনের এই উদ্যোগকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন।
গত শুক্রবার সংবিধান সংশোধনের পক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার সংবিধান সংস্কারের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু ‘ফেব্রুয়ারি টোয়েন্টি মুভমেন্ট’ নামের সংগঠন এই গণভোটকে ভাঁওতাবাজি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। আরব বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাজতন্ত্রের দেশ মরক্কোর সংবিধান সংস্কারের দাবিতে এই সংগঠনই কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে।
মরক্কোর প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র কাসাব্লাঙ্কায় ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ ‘স্বাধীনতা ও মর্যাদার’ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। ওমর নামের একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, ‘আমি এখানে এমন এক সংবিধানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি, যাতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, বরং বাদশাহকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’
বিক্ষোভে অংশ নিতে অনেকে এসেছিলেন ‘জাস্টিস অ্যান্ড চ্যারিটি’ নামে সংগঠন থেকে। মুসলিম এই সংগঠন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও এর কর্মকাণ্ডে তেমন একটা বাধা দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
কাসাব্লাঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরকারপক্ষের কিছু লোক ইটপাটকেল ছুড়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষে আহত দুই ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রাজধানী রাবাতেও হাজার খানেক বিক্ষোভকারী ‘স্বাধীনতা, মর্যাদা, ন্যায়বিচার’ এবং ‘জনগণের কথা শুনুন’ বলে স্লোগান দেয়। উত্তরাঞ্চলীয় শহর তানজিয়ার্সেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভ হয়েছে পর্যটননগর মাররাকেশেও।
প্রতিটি বিক্ষোভস্থলেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে তারা শান্তিপূর্ণ এসব বিক্ষোভে কোনো বাধা দেয়নি।
ফেব্রুয়ারি টোয়েন্টি মুভমেন্টের একজন সদস্য ওমর রাদি বলেছেন, ‘মরক্কোয় পরিবর্তন আনার মতো নতুন সংবিধানে কিছু নেই। আমরা চাইছি একটি নতুন সরকারব্যবস্থা। আমরা চাই দুর্নীতির দমন ও নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।’
ওমর রাদি বলেন, নতুন সংবিধান বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে পারবে না। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আরও লোকজন রাস্তায় নেমে আসবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাস্তায় থেকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। আমি মনে করি, গণভোটের খেলা শেষ হওয়ার পর আরও অনেক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেবে।’
তিউনিসিয়া ও মিসরে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর মরক্কোতেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বাদশাহ মোহাম্মদ তাঁর কিছু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে গত মাসে গণভোটের ঘোষণা দেন।
নতুন সংবিধান অনুসারে পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রধান দল থেকে প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের কথা রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন সরকারপ্রধান। তবে রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন বাদশাহই। সেনাবাহিনীর প্রধান, ধর্মীয় কর্তৃত্ব ও বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাঁরই হাতে।
বাদশাহ মোহাম্মদের ১২ বছরের শাসনে এটাই প্রথম গণভোট। তিনি পরিবর্তনের এই উদ্যোগকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন।
No comments