১৮ বেসরকারি ডিপোতে নতুন ১৭টি পণ্য খালাসের আদেশ
চাল, গম, ছোলা ও ডালসহ নির্দিষ্ট ১৭টি পণ্য কনটেইনারের ভেতর বস্তায় করে আমদানি করা হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে নিয়ে খালাস করতে হবে।
পণ্য ১৭টি হলো: চাল, ডাল, গম, সরিষা, ছোলা, পশুখাদ্য, লোহার স্ক্র্যাপ, তুলা, পুরোনো সংবাদপত্র (ওয়েস্ট পেপার), হার্ডকোক, কার্বনব্ল্যাক, মার্বেলচিপস, বলক্লে, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও সার।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে এই নিয়ম অনুসরণ করতে ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দিয়েছে। এতে বন্দরের সংরক্ষিত জেটি এলাকার মধ্যে কনটেইনার-জট পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নতুন আদেশ কার্যকর হলে প্রতি মাসে উল্লিখিত ১৭ ধরনের পণ্যভর্তি আড়াই হাজার কনটেইনার সরাসরি ডিপোতে নিয়ে খালাস করা সম্ভব হবে। সচরাচর এসব পণ্য জেটির ভেতর কনটেইনার থেকে খুলে ট্রাকে ও কাভার্ডভ্যানে করে সরবরাহ করা হচ্ছিল।
বন্দর ও কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের পরিবহন বিভাগ থেকে সম্প্রতি বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি আকারে ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৪ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কনটেইনারের ভেতর বস্তায় করে আমদানি করা এই ১৭ পণ্য বেসরকারি ডিপোতে নিয়ে খালাসের জন্য আদেশ জারি করেছিল। এর আগে এই ১৭টি পণ্য কনটেইনারের ভেতর শুধু খোলা আকারে আমদানি হলে বেসরকারি ডিপোতে খালাসের বাধ্যবাধকতা ছিল।
এ বিষয়ে বন্দরের পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এনামুল করিম সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন এই নিয়মের কারণে প্রতি মাসে আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাজার কনটেইনার (২০ ফুট দীর্ঘ) বন্দরের বাইরে বেসরকারি ডিপো থেকে খালাস হতে পারে। এতে বন্দরের ওপর চাপ কমবে এবং পরিচালন কর্মকাণ্ডেও গতিশীলতা বাড়বে।’
বন্দর ও বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সূত্রে জানা গেছে, গত বছর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যভর্তি কনটেইনার আমদানি হয় প্রায় সাড়ে ছয় লাখ। এর মধ্যে এক লাখ দুই হাজার কনটেইনার বেসরকারি ডিপোতে নিয়ে খালাস করা হয়। অর্থাৎ আমদানি কনটেইনারের প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ বেসরকারি ডিপোতে খালাস হয়েছে। এখন নতুন নিয়মের ফলে আরও প্রায় সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ আমদানি কনটেইনার বেসরকারি ডিপোতে খালাস হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে এখন মোট ধারণক্ষমতার গড়ে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কনটেইনারে ভর্তি থাকে। কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতার ৭০ শতাংশের বেশি ব্যবহূত থাকলে বন্দরের পরিচালন কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত তৈরি হয়।
এদিকে আমদানিকারকেরা অভিযোগ করেছেন যে কনটেইনারের ভেতর বস্তায় ভর্তি করে আমদানি করা পণ্য বেসরকারি ডিপোতে খালাস করতে হলে প্রতি (২০ ফুট দীর্ঘ) কনটেইনারে বাড়তি খরচ হবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। আমদানি খরচ হিসাবে এই টাকা ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা হবে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান প্রথম আলোকে জানান, কনটেইনারে খোলা আকারে আমদানি হওয়া ১৭ পণ্যই আগে খালাস হতো বেসরকারি ডিপোতে। এখন একই পণ্য কনটেইনারে ব্যাগভর্তি আকারে আমদানি হলে বেসরকারি ডিপোতে খালাস হবে। বেসরকারি ডিপোর মাশুল কম হওয়ায় খরচ বাড়বে না।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ১৮টি বেসরকারি ডিপোতে এসব পণ্য খালাস করতে হবে।
পণ্য ১৭টি হলো: চাল, ডাল, গম, সরিষা, ছোলা, পশুখাদ্য, লোহার স্ক্র্যাপ, তুলা, পুরোনো সংবাদপত্র (ওয়েস্ট পেপার), হার্ডকোক, কার্বনব্ল্যাক, মার্বেলচিপস, বলক্লে, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও সার।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে এই নিয়ম অনুসরণ করতে ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দিয়েছে। এতে বন্দরের সংরক্ষিত জেটি এলাকার মধ্যে কনটেইনার-জট পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নতুন আদেশ কার্যকর হলে প্রতি মাসে উল্লিখিত ১৭ ধরনের পণ্যভর্তি আড়াই হাজার কনটেইনার সরাসরি ডিপোতে নিয়ে খালাস করা সম্ভব হবে। সচরাচর এসব পণ্য জেটির ভেতর কনটেইনার থেকে খুলে ট্রাকে ও কাভার্ডভ্যানে করে সরবরাহ করা হচ্ছিল।
বন্দর ও কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের পরিবহন বিভাগ থেকে সম্প্রতি বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি আকারে ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৪ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কনটেইনারের ভেতর বস্তায় করে আমদানি করা এই ১৭ পণ্য বেসরকারি ডিপোতে নিয়ে খালাসের জন্য আদেশ জারি করেছিল। এর আগে এই ১৭টি পণ্য কনটেইনারের ভেতর শুধু খোলা আকারে আমদানি হলে বেসরকারি ডিপোতে খালাসের বাধ্যবাধকতা ছিল।
এ বিষয়ে বন্দরের পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এনামুল করিম সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন এই নিয়মের কারণে প্রতি মাসে আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাজার কনটেইনার (২০ ফুট দীর্ঘ) বন্দরের বাইরে বেসরকারি ডিপো থেকে খালাস হতে পারে। এতে বন্দরের ওপর চাপ কমবে এবং পরিচালন কর্মকাণ্ডেও গতিশীলতা বাড়বে।’
বন্দর ও বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সূত্রে জানা গেছে, গত বছর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যভর্তি কনটেইনার আমদানি হয় প্রায় সাড়ে ছয় লাখ। এর মধ্যে এক লাখ দুই হাজার কনটেইনার বেসরকারি ডিপোতে নিয়ে খালাস করা হয়। অর্থাৎ আমদানি কনটেইনারের প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ বেসরকারি ডিপোতে খালাস হয়েছে। এখন নতুন নিয়মের ফলে আরও প্রায় সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ আমদানি কনটেইনার বেসরকারি ডিপোতে খালাস হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে এখন মোট ধারণক্ষমতার গড়ে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কনটেইনারে ভর্তি থাকে। কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতার ৭০ শতাংশের বেশি ব্যবহূত থাকলে বন্দরের পরিচালন কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত তৈরি হয়।
এদিকে আমদানিকারকেরা অভিযোগ করেছেন যে কনটেইনারের ভেতর বস্তায় ভর্তি করে আমদানি করা পণ্য বেসরকারি ডিপোতে খালাস করতে হলে প্রতি (২০ ফুট দীর্ঘ) কনটেইনারে বাড়তি খরচ হবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। আমদানি খরচ হিসাবে এই টাকা ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা হবে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান প্রথম আলোকে জানান, কনটেইনারে খোলা আকারে আমদানি হওয়া ১৭ পণ্যই আগে খালাস হতো বেসরকারি ডিপোতে। এখন একই পণ্য কনটেইনারে ব্যাগভর্তি আকারে আমদানি হলে বেসরকারি ডিপোতে খালাস হবে। বেসরকারি ডিপোর মাশুল কম হওয়ায় খরচ বাড়বে না।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ১৮টি বেসরকারি ডিপোতে এসব পণ্য খালাস করতে হবে।
No comments