অর্থবছরের প্রথম কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজার চাঙা
মূল্যসূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই শুরু হলো ২০১১-১২ অর্থবছরে শেয়ারবাজারের প্রথম কর্মদিবস।
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের শেষ কর্মদিবসের মতো গতকাল রোববারও দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও।
এদিন দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণ আড়াই মাস পর আবারও হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল এক হাজার ১৩৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত ১১ এপ্রিল সর্বশেষ এক হাজার কোটি টাকার (এক হাজার ২২৪ কোটি টাকা) বেশি লেনদেন হয়েছিল।
এর পর থেকেই বাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমতে থাকে। একপর্যায়ে তা ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে মাত্র ১০ শতাংশ কর দেওয়ার শর্তে পুঁজিবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার পর থেকেই বাজারে চাঙাভাব সৃষ্টি হয়েছে। মূলত এরই ধারাবাহিকতা দেখা গেছে গতকালের বাজারেও।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অবশ্য এও বলেন, সুযোগ দেওয়া হলেই যে বিপুল পরিমাণ কালোটাকা এসে বাজারে অতিরিক্ত চাহিদা সৃষ্টি করবে, বিষয়টি হয়তো সে রকম হবে না। কিন্তু সুযোগটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বাজারের ওপর আস্থা ফেরাতে ভূমিকা রেখেছে। কারণ, এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের বার্তা পেয়েছেন যে সরকার যেকোনো উপায়েই হোক, শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায়। সে কারণে এত দিন যাঁরা বাজারের বাইরে ছিলেন, তাঁরাও আবার নতুন করে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। ফলে লেনদেন ও সূচকই—দুই-ই বাড়ছে।
এ ছাড়া তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক পরিচালন মুনাফা ভালো হয়েছে। এটিও বাজারে এ খাতের শেয়ারের চাহিদা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পৃথক বিষয়ে ডাকা অর্ধদিবস হরতালের মধ্যেও গতকাল যথাসময়েই শুরু হয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন। দুপুর ১২টার মধ্যে হরতাল শেষ হয়ে যাওয়ায় তা লেনদেনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ১৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৩৭০ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ২৪৭ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৪টির, কমেছে ৪১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ১৩০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭ কোটি টাকা বেশি।
আর ডিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৫৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। কমেছে ৪৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল—আফতাব অটোমোবাইলস, বেক্সিমকো, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবিএল, এমআই সিমেন্ট, এনবিএল, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, মালেক স্পিনিং, ওয়ান ব্যাংক ও লংকাবাংলা ফিন্যান্স।
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের শেষ কর্মদিবসের মতো গতকাল রোববারও দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও।
এদিন দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণ আড়াই মাস পর আবারও হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল এক হাজার ১৩৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত ১১ এপ্রিল সর্বশেষ এক হাজার কোটি টাকার (এক হাজার ২২৪ কোটি টাকা) বেশি লেনদেন হয়েছিল।
এর পর থেকেই বাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমতে থাকে। একপর্যায়ে তা ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে মাত্র ১০ শতাংশ কর দেওয়ার শর্তে পুঁজিবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার পর থেকেই বাজারে চাঙাভাব সৃষ্টি হয়েছে। মূলত এরই ধারাবাহিকতা দেখা গেছে গতকালের বাজারেও।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অবশ্য এও বলেন, সুযোগ দেওয়া হলেই যে বিপুল পরিমাণ কালোটাকা এসে বাজারে অতিরিক্ত চাহিদা সৃষ্টি করবে, বিষয়টি হয়তো সে রকম হবে না। কিন্তু সুযোগটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বাজারের ওপর আস্থা ফেরাতে ভূমিকা রেখেছে। কারণ, এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের বার্তা পেয়েছেন যে সরকার যেকোনো উপায়েই হোক, শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায়। সে কারণে এত দিন যাঁরা বাজারের বাইরে ছিলেন, তাঁরাও আবার নতুন করে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। ফলে লেনদেন ও সূচকই—দুই-ই বাড়ছে।
এ ছাড়া তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক পরিচালন মুনাফা ভালো হয়েছে। এটিও বাজারে এ খাতের শেয়ারের চাহিদা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পৃথক বিষয়ে ডাকা অর্ধদিবস হরতালের মধ্যেও গতকাল যথাসময়েই শুরু হয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন। দুপুর ১২টার মধ্যে হরতাল শেষ হয়ে যাওয়ায় তা লেনদেনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ১৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৩৭০ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ২৪৭ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৪টির, কমেছে ৪১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ১৩০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭ কোটি টাকা বেশি।
আর ডিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৫৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। কমেছে ৪৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল—আফতাব অটোমোবাইলস, বেক্সিমকো, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবিএল, এমআই সিমেন্ট, এনবিএল, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, মালেক স্পিনিং, ওয়ান ব্যাংক ও লংকাবাংলা ফিন্যান্স।
No comments