কাঠগড়ায় মেসিও
‘উঁচুতে না ওঠা এক রাত’—আর্জেন্টিনার ক্লারিন পত্রিকার শিরোনাম। বলিভিয়ার সঙ্গে আর্জেন্টিনার ১-১ গোলে ড্রয়ের রাতকে এভাবেই দেখেছে পত্রিকাটি।
শিরোনামের সরল বিশ্লেষণ হতে পারে এ রকম, বছর দুই আগে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচু শহর বলিভিয়ার লাপাজে ৬-১ গোলে হেরে এসেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু পরশু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে খেলতে হয়নি এমন ভেন্যুতেও সেই লজ্জার শোধ তুলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। আবার এটাও বলা যায়, এ রাতে আর্জেন্টিনার খেলার মানটা মোটেই উঁচু ছিল না।
এই শিরোনামের প্রতিবেদন মেসি-ডি মারিয়া-আগুয়েরোদের তারকাদ্যুতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে, ‘১-১ গোলে ড্রয়ের রাতে আর্জেন্টিনা না দল হিসাবে ভালো খেলেছে, না ছিল কোনো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ঝলক।’ টিভি চ্যানেল সিফাইভএনের মেসি-সমালোচনা ছিল একেবারেই খোলাখুলি, ‘মেসি কোনো ব্যবধানই গড়ে দিতে পারেননি।’
বলিভিয়া ম্যাচের পর লিওনেল মেসি যে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হবেন, এটা জানাই ছিল। সেই পুরোনো কথা—বার্সেলোনার মেসি আকাশি-নীল জার্সি গায়ে কখনোই আলো ছড়াতে পারেন না। এই ম্যাচেও তাঁর নিষ্প্রভ থাকা অনেকের কাছে সেই নিয়মেরই ধারাবাহিকতা। কেউ কেউ মেসির বার্সেলোনা আর আর্জেন্টিনা দলের পরিসংখ্যানও পাশাপাশি তুলে ধরেছে। বার্সেলোনার হয়ে গত মৌসুমে ৫৩ গোল করেছেন, অথচ ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে গোলের পর প্রীতি ম্যাচ ছাড়া আর্জেন্টিনার হয়ে ১৩ ম্যাচে তাঁর কোনো গোল নেই।
কিন্তু মেসি কী করবেন? মিডফিল্ডার এভার বানেগার ভুলে আর্জেন্টিনা যে গোলটি খেয়ে ০-১-এ পিছিয়ে পড়ে, সেটিকেই ড্রয়ের বড় কারণ হিসেবে দেখছেন বার্সার প্লে-মেকার, ‘আমরা একটা হাস্যকর গোল খেয়ে বসলাম। আমরা হতাশ, কারণ যে লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম, সেটা পূরণ হয়নি।’
যাঁর জন্য আর্জেন্টিনাকে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে, দলে আর দেশে হতাশা; সেই বানেগা কিন্তু এই ফলকে খুব খারাপ বলছেন না, ‘আমরা জিততে চেষ্টা করেছি। তাই বলে এই ফলও খারাপ নয়। বিশেষ করে শুরুর ম্যাচে।’
মেসির এ কথায় কি আর সংবাদমাধ্যম থামে! সমালোচনা চলছেই। মাঠে দুই হাঁটু গেড়ে হতাশ হয়ে বসে আছেন—মেসির এমন একটি ছবির পাশে লা ন্যাসিওন পত্রিকা শিরোনাম দিয়েছে, ‘মর্ত্যে পতন’। ওলে জাঁকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কথাই লিখেছে বেশি করে, ‘মনে করার মতো একটি মাত্র বিষয়ই ছিল, সেটি জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।’
শিরোনামের সরল বিশ্লেষণ হতে পারে এ রকম, বছর দুই আগে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচু শহর বলিভিয়ার লাপাজে ৬-১ গোলে হেরে এসেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু পরশু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে খেলতে হয়নি এমন ভেন্যুতেও সেই লজ্জার শোধ তুলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। আবার এটাও বলা যায়, এ রাতে আর্জেন্টিনার খেলার মানটা মোটেই উঁচু ছিল না।
এই শিরোনামের প্রতিবেদন মেসি-ডি মারিয়া-আগুয়েরোদের তারকাদ্যুতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে, ‘১-১ গোলে ড্রয়ের রাতে আর্জেন্টিনা না দল হিসাবে ভালো খেলেছে, না ছিল কোনো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ঝলক।’ টিভি চ্যানেল সিফাইভএনের মেসি-সমালোচনা ছিল একেবারেই খোলাখুলি, ‘মেসি কোনো ব্যবধানই গড়ে দিতে পারেননি।’
বলিভিয়া ম্যাচের পর লিওনেল মেসি যে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হবেন, এটা জানাই ছিল। সেই পুরোনো কথা—বার্সেলোনার মেসি আকাশি-নীল জার্সি গায়ে কখনোই আলো ছড়াতে পারেন না। এই ম্যাচেও তাঁর নিষ্প্রভ থাকা অনেকের কাছে সেই নিয়মেরই ধারাবাহিকতা। কেউ কেউ মেসির বার্সেলোনা আর আর্জেন্টিনা দলের পরিসংখ্যানও পাশাপাশি তুলে ধরেছে। বার্সেলোনার হয়ে গত মৌসুমে ৫৩ গোল করেছেন, অথচ ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে গোলের পর প্রীতি ম্যাচ ছাড়া আর্জেন্টিনার হয়ে ১৩ ম্যাচে তাঁর কোনো গোল নেই।
কিন্তু মেসি কী করবেন? মিডফিল্ডার এভার বানেগার ভুলে আর্জেন্টিনা যে গোলটি খেয়ে ০-১-এ পিছিয়ে পড়ে, সেটিকেই ড্রয়ের বড় কারণ হিসেবে দেখছেন বার্সার প্লে-মেকার, ‘আমরা একটা হাস্যকর গোল খেয়ে বসলাম। আমরা হতাশ, কারণ যে লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম, সেটা পূরণ হয়নি।’
যাঁর জন্য আর্জেন্টিনাকে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে, দলে আর দেশে হতাশা; সেই বানেগা কিন্তু এই ফলকে খুব খারাপ বলছেন না, ‘আমরা জিততে চেষ্টা করেছি। তাই বলে এই ফলও খারাপ নয়। বিশেষ করে শুরুর ম্যাচে।’
মেসির এ কথায় কি আর সংবাদমাধ্যম থামে! সমালোচনা চলছেই। মাঠে দুই হাঁটু গেড়ে হতাশ হয়ে বসে আছেন—মেসির এমন একটি ছবির পাশে লা ন্যাসিওন পত্রিকা শিরোনাম দিয়েছে, ‘মর্ত্যে পতন’। ওলে জাঁকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কথাই লিখেছে বেশি করে, ‘মনে করার মতো একটি মাত্র বিষয়ই ছিল, সেটি জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।’
No comments