সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আবার অস্থির কায়রো, নিহত ১০
প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের পর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে আসার আগেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিসর। রাজধানী কায়রোতে মুসলমান ও কপটিক খ্রিষ্টানদের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি গুলিতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া মানবাধিকারকর্মীরা দেশটির একটি গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে উৎপীড়নের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ শুরু করায় নতুন করে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, গত সপ্তাহে একটি গির্জায় অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার কপটিক খ্রিষ্টানরা কায়রোয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এর জের ধরে মুসলমানদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। গুলিতে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর একজন নিহত হলে দাঙ্গা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। দুই সম্প্রদায়ের লোকজন পাল্টাপাল্টি গুলি ও পরস্পরের দিকে পাথর ছুড়তে থাকে। এতে বহু লোক গুলিবিদ্ধ হয়।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান শেরিফ জামেল বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হওয়ার ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। কোন সম্প্রদায়ের কতজন নিহত হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে কায়রোর একজন খ্রিষ্টান ধর্মগুরু দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় তাঁদের ছয়জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে মানবাধিকারকর্মীরা গতকাল কায়রোতে বিক্ষোভ করে অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক তাঁর ক্ষমতা ধরে রাখতে স্টেট সিকিউরিটি নামের একটি গোয়েন্দা সংস্থা চালু করেছিলেন। ওই সংস্থার সদস্যরা সেনা কর্মকর্তাদের স্বার্থরক্ষায় জনগণের ওপর আগেও উৎপীড়ন চালাত, এখনো চালাচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, এর প্রয়োজনীয়তা সাধারণ জনগণের কাছে নেই। তাই তাঁরা অবিলম্বে সংস্থাটি বিলুপ্ত করার দাবি জানান।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, গত সপ্তাহে একটি গির্জায় অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার কপটিক খ্রিষ্টানরা কায়রোয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এর জের ধরে মুসলমানদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। গুলিতে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর একজন নিহত হলে দাঙ্গা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। দুই সম্প্রদায়ের লোকজন পাল্টাপাল্টি গুলি ও পরস্পরের দিকে পাথর ছুড়তে থাকে। এতে বহু লোক গুলিবিদ্ধ হয়।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান শেরিফ জামেল বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হওয়ার ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। কোন সম্প্রদায়ের কতজন নিহত হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে কায়রোর একজন খ্রিষ্টান ধর্মগুরু দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় তাঁদের ছয়জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে মানবাধিকারকর্মীরা গতকাল কায়রোতে বিক্ষোভ করে অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক তাঁর ক্ষমতা ধরে রাখতে স্টেট সিকিউরিটি নামের একটি গোয়েন্দা সংস্থা চালু করেছিলেন। ওই সংস্থার সদস্যরা সেনা কর্মকর্তাদের স্বার্থরক্ষায় জনগণের ওপর আগেও উৎপীড়ন চালাত, এখনো চালাচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, এর প্রয়োজনীয়তা সাধারণ জনগণের কাছে নেই। তাই তাঁরা অবিলম্বে সংস্থাটি বিলুপ্ত করার দাবি জানান।
No comments