জুনায়েদের দুই রকম চ্যালেঞ্জ
জেমি সিডন্সের কাছে ভালো ব্যাটসম্যানের দুই রকম সংজ্ঞা আছে। যার গড় ভালো কিংবা যে ধারাবাহিক। মজার হলো, এই দুটি সংজ্ঞাই কোচ একসঙ্গে এক ব্যাটসম্যানের বেলায় প্রয়োগ করেন না।
মোহাম্মদ আশরাফুল বা আফতাব আহমেদের মতো ব্যাটসম্যানরা কোচের দৃষ্টিতে অচল গরিবি রান-গড়ের কারণে। আবার জুনায়েদ সিদ্দিক ও রকিবুল হাসানরা ভালো ব্যাটসম্যান, কারণ তাঁরা ‘ধারাবাহিক’! নইলে ওয়ানডেতে আশরাফুলের ২৩.০৯ গড়ের সঙ্গে জুনায়েদের ২৩.৮৫ বা রকিবুলের ২৯.৫৬ গড়ের কতটুকু পার্থক্য?
এই পরিসংখ্যানকে বিশ্বকাপেও ঢাল হিসেবে পাচ্ছেন জুনায়েদ। ইংল্যান্ড ম্যাচে দল থেকে বাদ পড়ার আলোচনায় তিনি থাকলেও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক থেকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই সম্ভাবনা। কেন বাদ পড়বেন জুনায়েদ? ৩৭, ৩, ২৫—প্রথম তিন ম্যাচে খারাপ কী করেছেন তিন নম্বরে! ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ৫৮ রানের মধ্যে তাঁর একারই তো ২৫!
ব্যাপারটা যেমন জুনায়েদের জন্য ঢাল হচ্ছে, তেমনি এটা একটা অভিযোগও। ব্যাটসম্যানদের ভালো শুরু করেও লম্বা ইনিংস খেলতে না পারাটা ক্রিকেটে একটা ‘অপরাধ’। ৪৯টি ওয়ানডে খেলে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি ফিফটি করা জুনায়েদ এই ‘অপরাধ’ করেছেন অসংখ্যবার। কাল দুপুরে অনুশীলনে নামার আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রসঙ্গটি তোলা হলে গত ১০ ইনিংসে মাত্র দুটি ফিফটি করা জুনায়েদও মানলেন অভিযোগটা, ‘অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছি বড় ইনিংস খেলার। পরের ম্যাচেও সেই চেষ্টা থাকবে। অন্তত ২০-৩০ রান করতে পারলে ইনিংসটাকে বড় করতে পারব আশা করি।’
জুনায়েদও মানছেন, তাঁর বড় ইনিংস খেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে টপ-অর্ডারে বড় জুটি হওয়ার সম্ভাবনা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটিকে পাখির চোখই করছেন এই বাঁহাতি। তবে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সবচেয়ে জরুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের হতাশাটা পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলা। গত ৪-৫ দিনে সেটা অনেকটাই হয়ে গেছে বলে আশ্বস্ত জুনায়েদ, ‘কাল (গতকাল) ছুটির দিনটা সবাই উপভোগ করেছে। এ রকম একটা দিন দরকার ছিল। গত ম্যাচের পর সবাই-ই আপসেট ছিলাম। দিনে দিনে সেটা কাটিয়ে উঠছি।’ একই সঙ্গে দলীয় সমঝোতাও এখন আগের চেয়ে অনেক দৃঢ় বলে তাঁর দাবি, ‘আমাদের ঐক্য সব সময়ই ভালো ছিল। এখন আরও ভালো। একটা বাজে দিন গেলেও সেটা আর মনে করতে চাইছি না। এখন শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ভালো ক্রিকেট খেললে অবশ্যই ভালো কিছু সম্ভব।’
খেলায় জয়-পরাজয় আছে জেনেই খেলতে নামেন খেলোয়াড়েরা। কিন্তু বাজে পরাজয় কখনো কখনো দুমড়েমুচড়ে দেয় আত্মবিশ্বাস, যেখান থেকে মাথা তুলে দাঁড়ানোটা সব সময় সহজ হয় না। ৪ মার্চ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সে রকমই এক পরাজয় দেখে এসেছে বাংলাদেশ। এরপর গত কয়েকটি রাতে হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের স্বপ্নেও হানা দিয়েছে রোচ-বেনরা। তবে জুনায়েদের কাছ থেকে পাওয়া গেল তাঁদের দৃঢ় মানসিকতারই খবর, ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমরা আমাদের মনটাকে কীভাবে, কোন দিকে নিয়ে যাব। এটা ঠিক, ওই দিনের পর সবাই আপসেট ছিলাম। তবে যা হওয়ার হয়েছে। বারবার সেটাই মনে করতে চাই না। সব জায়গা থেকে সবাই আমাদের সাপোর্ট করেছে। এখন আর কোনো নেতিবাচক চিন্তা নেই কারও মধ্যে।’
ইংল্যান্ড দলে কেভিন পিটারসেন নেই, স্টুয়ার্ট ব্রড এসেও চলে যাচ্ছেন—গেম প্ল্যানে এসবের প্রভাব থাকতে পারে, তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মনোজগতে আপাতত অন্যকে নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই। নিজেদের সঙ্গে লড়াইয়েই যে জিততে হবে আগে!
জুনায়েদের লড়াই আবার দুই রকম। আগের ম্যাচের হতাশা কাটানোর সঙ্গে ভালো শুরুকে বড় ইনিংসে রূপ দেওয়ার চ্যালেঞ্জও সামনে! কোচ ভালো ব্যাটসম্যানের সার্টিফিকেট আগেই দিয়ে রেখেছেন। আশা করা যায়, সেটা এবার সমালোচকদের দিয়েও সত্যায়িত করে নেবেন জুনায়েদ।
মোহাম্মদ আশরাফুল বা আফতাব আহমেদের মতো ব্যাটসম্যানরা কোচের দৃষ্টিতে অচল গরিবি রান-গড়ের কারণে। আবার জুনায়েদ সিদ্দিক ও রকিবুল হাসানরা ভালো ব্যাটসম্যান, কারণ তাঁরা ‘ধারাবাহিক’! নইলে ওয়ানডেতে আশরাফুলের ২৩.০৯ গড়ের সঙ্গে জুনায়েদের ২৩.৮৫ বা রকিবুলের ২৯.৫৬ গড়ের কতটুকু পার্থক্য?
এই পরিসংখ্যানকে বিশ্বকাপেও ঢাল হিসেবে পাচ্ছেন জুনায়েদ। ইংল্যান্ড ম্যাচে দল থেকে বাদ পড়ার আলোচনায় তিনি থাকলেও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক থেকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই সম্ভাবনা। কেন বাদ পড়বেন জুনায়েদ? ৩৭, ৩, ২৫—প্রথম তিন ম্যাচে খারাপ কী করেছেন তিন নম্বরে! ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ৫৮ রানের মধ্যে তাঁর একারই তো ২৫!
ব্যাপারটা যেমন জুনায়েদের জন্য ঢাল হচ্ছে, তেমনি এটা একটা অভিযোগও। ব্যাটসম্যানদের ভালো শুরু করেও লম্বা ইনিংস খেলতে না পারাটা ক্রিকেটে একটা ‘অপরাধ’। ৪৯টি ওয়ানডে খেলে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি ফিফটি করা জুনায়েদ এই ‘অপরাধ’ করেছেন অসংখ্যবার। কাল দুপুরে অনুশীলনে নামার আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রসঙ্গটি তোলা হলে গত ১০ ইনিংসে মাত্র দুটি ফিফটি করা জুনায়েদও মানলেন অভিযোগটা, ‘অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছি বড় ইনিংস খেলার। পরের ম্যাচেও সেই চেষ্টা থাকবে। অন্তত ২০-৩০ রান করতে পারলে ইনিংসটাকে বড় করতে পারব আশা করি।’
জুনায়েদও মানছেন, তাঁর বড় ইনিংস খেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে টপ-অর্ডারে বড় জুটি হওয়ার সম্ভাবনা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটিকে পাখির চোখই করছেন এই বাঁহাতি। তবে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সবচেয়ে জরুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের হতাশাটা পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলা। গত ৪-৫ দিনে সেটা অনেকটাই হয়ে গেছে বলে আশ্বস্ত জুনায়েদ, ‘কাল (গতকাল) ছুটির দিনটা সবাই উপভোগ করেছে। এ রকম একটা দিন দরকার ছিল। গত ম্যাচের পর সবাই-ই আপসেট ছিলাম। দিনে দিনে সেটা কাটিয়ে উঠছি।’ একই সঙ্গে দলীয় সমঝোতাও এখন আগের চেয়ে অনেক দৃঢ় বলে তাঁর দাবি, ‘আমাদের ঐক্য সব সময়ই ভালো ছিল। এখন আরও ভালো। একটা বাজে দিন গেলেও সেটা আর মনে করতে চাইছি না। এখন শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ভালো ক্রিকেট খেললে অবশ্যই ভালো কিছু সম্ভব।’
খেলায় জয়-পরাজয় আছে জেনেই খেলতে নামেন খেলোয়াড়েরা। কিন্তু বাজে পরাজয় কখনো কখনো দুমড়েমুচড়ে দেয় আত্মবিশ্বাস, যেখান থেকে মাথা তুলে দাঁড়ানোটা সব সময় সহজ হয় না। ৪ মার্চ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সে রকমই এক পরাজয় দেখে এসেছে বাংলাদেশ। এরপর গত কয়েকটি রাতে হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের স্বপ্নেও হানা দিয়েছে রোচ-বেনরা। তবে জুনায়েদের কাছ থেকে পাওয়া গেল তাঁদের দৃঢ় মানসিকতারই খবর, ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমরা আমাদের মনটাকে কীভাবে, কোন দিকে নিয়ে যাব। এটা ঠিক, ওই দিনের পর সবাই আপসেট ছিলাম। তবে যা হওয়ার হয়েছে। বারবার সেটাই মনে করতে চাই না। সব জায়গা থেকে সবাই আমাদের সাপোর্ট করেছে। এখন আর কোনো নেতিবাচক চিন্তা নেই কারও মধ্যে।’
ইংল্যান্ড দলে কেভিন পিটারসেন নেই, স্টুয়ার্ট ব্রড এসেও চলে যাচ্ছেন—গেম প্ল্যানে এসবের প্রভাব থাকতে পারে, তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মনোজগতে আপাতত অন্যকে নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই। নিজেদের সঙ্গে লড়াইয়েই যে জিততে হবে আগে!
জুনায়েদের লড়াই আবার দুই রকম। আগের ম্যাচের হতাশা কাটানোর সঙ্গে ভালো শুরুকে বড় ইনিংসে রূপ দেওয়ার চ্যালেঞ্জও সামনে! কোচ ভালো ব্যাটসম্যানের সার্টিফিকেট আগেই দিয়ে রেখেছেন। আশা করা যায়, সেটা এবার সমালোচকদের দিয়েও সত্যায়িত করে নেবেন জুনায়েদ।
No comments