সুদহারের ওপর সীমা প্রত্যাহার
বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি খাত ও শিল্পের মেয়াদি ঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণের সুদহারের ওপর ইতিপূর্বে আরোপিত ১৩ শতাংশ সীমা তুলে নিয়েছে। এর ফলে বাকি খাতগুলোয় ব্যাংকঋণ ব্যয়বহুল হবে।
অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সব ধরনের রপ্তানিতে ইতিপূর্বে নির্ধারিত ঋণের সুদহার (৭ শতাংশ) এবং চাল, গম, ভোজ্যতেল (পরিশোধিত ও অপরিশোধিত) ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর ও চিনি আমদানি অর্থায়নের ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ১২ শতাংশ বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল বুধবার এ নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র বলছে, এখন আমানত সংগ্রহ করতেই ব্যাংকগুলোকে ১২-১৩ শতাংশ হারে সুদ দিতে হচ্ছে। তাই ঋণের সুদের ওপর যে সীমা আরোপ করা ছিল, তা পরিপালন করা যৌক্তিকভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে সাধারণভাবে এই ঋণের সুদসীমা তুলে নেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি আরও বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর পরও দেশের কৃষি, শিল্প উৎপাদন ও অগ্রাধিকার খাত এবং নিত্যপণ্যের আমদানি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে নজর রেখেছে। ফলে এসব ক্ষেত্রে সুদের আরোপিত সীমা বহাল রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) নেতারা যে ১৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন, তার মধ্যে ঋণের সুদের ওপর আরোপিত সীমা প্রত্যাহারের দাবি ছিল। উপরন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) সম্প্রতি ঋণের সুদহারের ওপর দেওয়া সীমা প্রত্যাহারের পরামর্শ দেয়।
বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এ জন্য আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
ডলার দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সোমবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জানা যায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পরামর্শ দিয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, কারও বৈদেশিক মুদ্রার সমস্যা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তা দেওয়া হবে। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবের কারণে যেন কোনো ঋণপত্র (এলসি) খোলা ব্যাহত না হয়।
তবে এ মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির জন্য ততটা জরুরি নয়—এমন বিলাসী পণ্য আমদানিতে কিছুটা রক্ষণশীল থাকার দরকার রয়েছে বলেও মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক এ মুহূর্তে সরাসরি ডলার বাজারে বিক্রি করলে তার বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে স্থানীয় মুদ্রা, টাকা উঠে আসবে। এটি আবার বর্তমান টানাটানির মধ্যে থাকা মুদ্রাবাজারের নগদ অর্থপ্রবাহের ওপর নতুন করে চাপ তৈরি করবে।
এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পর্যায়ে ওডির (ওভার ড্রাফট) মাধ্যমে ডলার সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারের চাহিদা মেটাতে ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখতে বাজারে হস্তক্ষেপ করছে।
সেবাসংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শন: কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল আরেকটি প্রজ্ঞাপনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন, সার্বিক কার্যক্রম ও স্থিতিপত্র, আমানত ও ঋণের খাতভিত্তিক সুদহার-সম্পর্কিত তথ্য ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ শাখা পর্যায়ে এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয় বন্ধ: সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী সোমবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিস বন্ধ থাকবে।
ওই দিন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলাটি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে খেলার আয়োজন সম্পন্ন করতে এদিন চট্টগ্রাম মহানগরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার এই সিদ্ধান্তের আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সব ধরনের রপ্তানিতে ইতিপূর্বে নির্ধারিত ঋণের সুদহার (৭ শতাংশ) এবং চাল, গম, ভোজ্যতেল (পরিশোধিত ও অপরিশোধিত) ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর ও চিনি আমদানি অর্থায়নের ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ১২ শতাংশ বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল বুধবার এ নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র বলছে, এখন আমানত সংগ্রহ করতেই ব্যাংকগুলোকে ১২-১৩ শতাংশ হারে সুদ দিতে হচ্ছে। তাই ঋণের সুদের ওপর যে সীমা আরোপ করা ছিল, তা পরিপালন করা যৌক্তিকভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে সাধারণভাবে এই ঋণের সুদসীমা তুলে নেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি আরও বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর পরও দেশের কৃষি, শিল্প উৎপাদন ও অগ্রাধিকার খাত এবং নিত্যপণ্যের আমদানি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে নজর রেখেছে। ফলে এসব ক্ষেত্রে সুদের আরোপিত সীমা বহাল রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) নেতারা যে ১৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন, তার মধ্যে ঋণের সুদের ওপর আরোপিত সীমা প্রত্যাহারের দাবি ছিল। উপরন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) সম্প্রতি ঋণের সুদহারের ওপর দেওয়া সীমা প্রত্যাহারের পরামর্শ দেয়।
বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এ জন্য আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
ডলার দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সোমবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জানা যায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পরামর্শ দিয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, কারও বৈদেশিক মুদ্রার সমস্যা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তা দেওয়া হবে। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবের কারণে যেন কোনো ঋণপত্র (এলসি) খোলা ব্যাহত না হয়।
তবে এ মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির জন্য ততটা জরুরি নয়—এমন বিলাসী পণ্য আমদানিতে কিছুটা রক্ষণশীল থাকার দরকার রয়েছে বলেও মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক এ মুহূর্তে সরাসরি ডলার বাজারে বিক্রি করলে তার বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে স্থানীয় মুদ্রা, টাকা উঠে আসবে। এটি আবার বর্তমান টানাটানির মধ্যে থাকা মুদ্রাবাজারের নগদ অর্থপ্রবাহের ওপর নতুন করে চাপ তৈরি করবে।
এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পর্যায়ে ওডির (ওভার ড্রাফট) মাধ্যমে ডলার সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারের চাহিদা মেটাতে ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখতে বাজারে হস্তক্ষেপ করছে।
সেবাসংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শন: কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল আরেকটি প্রজ্ঞাপনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন, সার্বিক কার্যক্রম ও স্থিতিপত্র, আমানত ও ঋণের খাতভিত্তিক সুদহার-সম্পর্কিত তথ্য ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ শাখা পর্যায়ে এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয় বন্ধ: সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী সোমবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিস বন্ধ থাকবে।
ওই দিন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলাটি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে খেলার আয়োজন সম্পন্ন করতে এদিন চট্টগ্রাম মহানগরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার এই সিদ্ধান্তের আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
No comments