গরমকেই ভয় মরগানের
বাংলাদেশকে এর আগেও তিনবার দেখে গেছেন। আয়ারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে এসেছেন দুবার। গত বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ঘুরে গেছেন ইংল্যান্ড দলের সঙ্গেও। এ দেশের জল-হাওয়া তাই ভালোই চেনা এউইন মরগানের। কেভিন পিটারসেনের জায়গায় হঠাৎ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার পর হঠাৎই বাংলাদেশে চলে এসে তাই একেবারেই হকচকিত নন। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশের গরম নিয়ে কিছুটা যেন উদ্বিগ্ন বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
‘এখানকার কন্ডিশন সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। উইকেটে অসম বাউন্স আছে এবং টার্নও একটু বেশি হয়। তবে এখানকার গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই হবে বড় কাজ। সেটা করতে পারলে আশা করি আগের মতোই ভালো খেলতে পারব এখানে’—কাল সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন পরশুই চট্টগ্রামে পৌঁছা মরগান। ২০০৮-এ আয়ারল্যান্ড দলের হয়ে খেলে গেলেও বাংলাদেশে মধুরতম সফরটা গত বছর করে গেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। মিরপুরে খেলা প্রথম দুই ওয়ানডেতে করেছিলেন ৩৩ ও অপরাজিত ১১০ রান, চট্টগ্রামে ৩৬। বাংলাদেশের আগের সফরগুলোর সুবাদে এখানকার দর্শকদেরও ভালোই চেনা মরগানের, ‘এ নিয়ে চারবার এলাম। বাংলাদেশে খেলতে সব সময়ই ভালো লাগে। এখানকার মানুষ দারুণ ক্রিকেট-পাগল।’
বিশ্বকাপে দর্শকদের উন্মাদনা আগের চেয়ে বেশিই দেখার কথা মরগানের। তবে এটাই প্রথম নয়, এ নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলছেন তিনি। ২০০৭ বিশ্বকাপে তাঁর মাথায় ছিল আয়ারল্যান্ডের টুপি। মরগান তখনই বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারাটাই তাঁর স্বপ্ন। সেই সুযোগটা যখন দোরগোড়ায়, ভীষণই রোমাঞ্চিত ২০০৯ সাল থেকে ইংল্যান্ড দলের হয়ে যাওয়া এই ক্রিকেটার, ‘অ্যান্ডির (ফ্লাওয়ার) ফোনটা পেয়ে ভীষণই ভালো লাগছিল। আমি এর আগেও ইংল্যান্ড দলে ছিলাম, কিন্তু এটা তো বিশ্বকাপের দল! ভালো তো লাগবেই।’ বিশ্বকাপ দলে না থাকলেও অনুশীলনের মধ্যেই ছিলেন তিনি। মিডলসেক্সের প্রাক-মৌসুম ক্যাম্পে অনুশীলন করেছেন গত কয়েক সপ্তাহ।
এবারের বিশ্বকাপ মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল মরগানের দুই সময়ের দুই দল ইংল্যান্ড আর আয়ারল্যান্ডকে। আয়ারল্যান্ডের নাটকীয় জয়ের ম্যাচটা পুরোপুরি না দেখলেও ইংল্যান্ডের হারে ভীষণই মন খারাপ হয়েছিল তাঁর, ‘ম্যাচের শেষ অর্ধেক দেখেছি। কেভিন ও’ব্রায়েন দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলল। প্রত্যাশিত জয়টা না পাওয়ায় খুবই খারাপ লেগেছে। তবে আয়ারল্যান্ড খুব ভালো খেলেছে।’
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেন, বাংলাদেশ দলের মূল বোলিং শক্তি স্পিনারদের মুখোমুখি হওয়াটা অনিবার্য মরগানের জন্য। বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্য তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই জানালেও বলেছেন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করাটাই তাঁর পছন্দ, ‘আগেও পাঁচ নম্বরে ভালো ব্যাট করেছি এবং এটাই আমার পছন্দের জায়গা। মাঝের ওভারগুলোতে উইকেটে যেতে হয়, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পিনারদের বল ভালো খেলি...সব মিলিয়ে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতেই বেশি ভালো লাগে।’
তবে মরগানের সবচেয়ে ভালো লাগে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে, দলকে জিতিয়ে ব্যাট উঁচিয়ে মাঠ ছাড়তে। মিডল অর্ডারে ভালো খেলার গোপন কোনো চাবিকাঠি না থাকলেও মনের মধ্যে ভালো খেলার বিশ্বাসটা ধরে রাখেন সব সময়। বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা, বিশ্বকাপেও সেই ক্ষুধাটা নিয়েই এসেছেন মরগান, ‘ম্যাচ জেতানোতেও অবদান রাখতে ভালো লাগে। এই টুর্নামেন্টেও সেই কাজটাই করতে চাই।’
পিটারসেনকে হারানোর হতাশা থাকলেও মরগান আসায় দারুণ উজ্জীবিত ইংল্যান্ড শিবির। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কথাটা বলেছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রডও। মরগানের জন্য অবশ্য সতীর্থদের এই প্রত্যাশা কোনো চাপ নয়, ‘এটা নিয়ে একদমই ভাবছি না। আমার কাজটা তো সেই একই থাকছে—সামর্থ্য অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করতে হবে। নিজের পরিকল্পনাগুলো কীভাবে কাজে লাগাব, সেটা নিয়েই ভাবছি।’
‘এখানকার কন্ডিশন সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। উইকেটে অসম বাউন্স আছে এবং টার্নও একটু বেশি হয়। তবে এখানকার গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই হবে বড় কাজ। সেটা করতে পারলে আশা করি আগের মতোই ভালো খেলতে পারব এখানে’—কাল সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন পরশুই চট্টগ্রামে পৌঁছা মরগান। ২০০৮-এ আয়ারল্যান্ড দলের হয়ে খেলে গেলেও বাংলাদেশে মধুরতম সফরটা গত বছর করে গেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। মিরপুরে খেলা প্রথম দুই ওয়ানডেতে করেছিলেন ৩৩ ও অপরাজিত ১১০ রান, চট্টগ্রামে ৩৬। বাংলাদেশের আগের সফরগুলোর সুবাদে এখানকার দর্শকদেরও ভালোই চেনা মরগানের, ‘এ নিয়ে চারবার এলাম। বাংলাদেশে খেলতে সব সময়ই ভালো লাগে। এখানকার মানুষ দারুণ ক্রিকেট-পাগল।’
বিশ্বকাপে দর্শকদের উন্মাদনা আগের চেয়ে বেশিই দেখার কথা মরগানের। তবে এটাই প্রথম নয়, এ নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলছেন তিনি। ২০০৭ বিশ্বকাপে তাঁর মাথায় ছিল আয়ারল্যান্ডের টুপি। মরগান তখনই বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারাটাই তাঁর স্বপ্ন। সেই সুযোগটা যখন দোরগোড়ায়, ভীষণই রোমাঞ্চিত ২০০৯ সাল থেকে ইংল্যান্ড দলের হয়ে যাওয়া এই ক্রিকেটার, ‘অ্যান্ডির (ফ্লাওয়ার) ফোনটা পেয়ে ভীষণই ভালো লাগছিল। আমি এর আগেও ইংল্যান্ড দলে ছিলাম, কিন্তু এটা তো বিশ্বকাপের দল! ভালো তো লাগবেই।’ বিশ্বকাপ দলে না থাকলেও অনুশীলনের মধ্যেই ছিলেন তিনি। মিডলসেক্সের প্রাক-মৌসুম ক্যাম্পে অনুশীলন করেছেন গত কয়েক সপ্তাহ।
এবারের বিশ্বকাপ মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল মরগানের দুই সময়ের দুই দল ইংল্যান্ড আর আয়ারল্যান্ডকে। আয়ারল্যান্ডের নাটকীয় জয়ের ম্যাচটা পুরোপুরি না দেখলেও ইংল্যান্ডের হারে ভীষণই মন খারাপ হয়েছিল তাঁর, ‘ম্যাচের শেষ অর্ধেক দেখেছি। কেভিন ও’ব্রায়েন দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলল। প্রত্যাশিত জয়টা না পাওয়ায় খুবই খারাপ লেগেছে। তবে আয়ারল্যান্ড খুব ভালো খেলেছে।’
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেন, বাংলাদেশ দলের মূল বোলিং শক্তি স্পিনারদের মুখোমুখি হওয়াটা অনিবার্য মরগানের জন্য। বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্য তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই জানালেও বলেছেন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করাটাই তাঁর পছন্দ, ‘আগেও পাঁচ নম্বরে ভালো ব্যাট করেছি এবং এটাই আমার পছন্দের জায়গা। মাঝের ওভারগুলোতে উইকেটে যেতে হয়, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পিনারদের বল ভালো খেলি...সব মিলিয়ে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতেই বেশি ভালো লাগে।’
তবে মরগানের সবচেয়ে ভালো লাগে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে, দলকে জিতিয়ে ব্যাট উঁচিয়ে মাঠ ছাড়তে। মিডল অর্ডারে ভালো খেলার গোপন কোনো চাবিকাঠি না থাকলেও মনের মধ্যে ভালো খেলার বিশ্বাসটা ধরে রাখেন সব সময়। বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা, বিশ্বকাপেও সেই ক্ষুধাটা নিয়েই এসেছেন মরগান, ‘ম্যাচ জেতানোতেও অবদান রাখতে ভালো লাগে। এই টুর্নামেন্টেও সেই কাজটাই করতে চাই।’
পিটারসেনকে হারানোর হতাশা থাকলেও মরগান আসায় দারুণ উজ্জীবিত ইংল্যান্ড শিবির। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কথাটা বলেছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রডও। মরগানের জন্য অবশ্য সতীর্থদের এই প্রত্যাশা কোনো চাপ নয়, ‘এটা নিয়ে একদমই ভাবছি না। আমার কাজটা তো সেই একই থাকছে—সামর্থ্য অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করতে হবে। নিজের পরিকল্পনাগুলো কীভাবে কাজে লাগাব, সেটা নিয়েই ভাবছি।’
No comments