রুবচিচের দলের আত্মসমর্পণ
কুয়েত ৩: ০ বাংলাদেশ
একটু লড়াই, একটু প্রতিরোধ—এর চেয়ে বেশি চাওয়ার ছিল না। কিন্তু এর কিছুই পাওয়া গেল না রুবচিচের দলের কাছে। কুয়েতের মাটিতে ২-০ গোলে হেরে আসা দল দেশের মাটিতে হারল আরও বড় ব্যবধানে—৩-০।
নিজেদের মাঠে জিতে থাকা কুয়েতের জন্য এ ম্যাচে ড্র করলেই চলত। কিন্তু হালকা মেজাজে খেলেও বড় জয় নিয়ে পেরিয়ে গেল তারা অলিম্পিক ফুটবলের প্রাক-বাছাই পর্ব।
বাংলাদেশ কখনো কুয়েতের বাধা পেরোনোর স্বপ্ন দেখেনি। চেয়েছে ভালো ফুটবল খেলতে। প্রথম ম্যাচে কুয়েতের মাঠে ২-০ গোলে হারলেও সেই আশা নাকি পূরণ হয়েছিল অনেকটা। কিন্তু কাল নিজেদের মাঠে সেই বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। খেলোয়াড়দের শরীরই চলছিল না। জোরে একটা দৌড়ও দেখা গেল না। বলতে গেলে খেলল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। কী ক্লান্তি!
অথচ প্রথম ম্যাচের পর ১২-১৩ দিন পাওয়া গেছে। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরীর দাবি, লিগের ম্যাচ খেলার কারণে তাঁরা ক্লান্ত ছিলেন! তবে ঘটনা হলো, এ দলের ৩-৪ জন ছাড়া বাকিরা ঘরোয়া লিগে নিজ নিজ একাদশের বাইরে থাকেন। ক্লান্তির অজুহাত কীভাবে আসে?
তবে খেলার কয়েকটি মুহূর্তে জমিনে বল দেওয়া-নেওয়ায় খানিক ভালো ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কুয়েতের লম্বা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে হাওয়ায় তারা মোটেই পারেনি। তাই ফল—তিনটি গোলই সেট পিচে।
কুয়েত জাতীয় দলের একমাত্র খেলোয়াড় ইউসেফ সোলায়মান করেছেন দুটি গোল। ৪৫ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে হেডে এবং ৮৯ মিনিটে সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে বল জড়িয়েছেন জালে। আর ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই কর্নার থেকে ডিফেন্ডার ফাহাদ হেডে করেছেন প্রথম গোল। গোলগুলো অনেকটাই বাংলাদেশের দেওয়া উপহার। বাংলাদেশ দলের এক ডিফেন্ডার অহেতুক কর্নার করে প্রথম গোলের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। আগাগোড়া ম্যাচে ছিল আরও অনেক ভুল।
প্রায় ৯ মাস পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরল। কিন্তু ঝা চকচকে স্টেডিয়ামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পারফরম্যান্স কই? মাঝমাঠে বল ধরে রাখা যায়নি কখনোই। তাই বাংলাদেশের সীমানায়ই খেলে গেল সফরকারীরা। গোলরক্ষক নেহাল গোটা চারেক গোল না বাঁচালে ব্যবধান আরও বড়ই হয়। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কাচঘেরা বক্সে বসে বাফুফের কর্তারা খেলা দেখলেন। কিন্তু তাঁদের ‘পেশাদার চোখে’ কি কিছু ধরা পড়ল? পাশের প্রেস বক্সে খেলোয়াড় তালিকা এসেছে ম্যাচের ৩০ মিনিট পর!
অসন্তুষ্ট রুবচিচ সংবাদ সম্মেলনে নানা সমস্যার কথা বলে গেলেন। প্রতিপক্ষকে গোল উপহার দেওয়ার জন্য তাঁর মুখে খেদ। হাসি মুখের কুয়েত কোচ ছিলেন নির্ভার।
একটু লড়াই, একটু প্রতিরোধ—এর চেয়ে বেশি চাওয়ার ছিল না। কিন্তু এর কিছুই পাওয়া গেল না রুবচিচের দলের কাছে। কুয়েতের মাটিতে ২-০ গোলে হেরে আসা দল দেশের মাটিতে হারল আরও বড় ব্যবধানে—৩-০।
নিজেদের মাঠে জিতে থাকা কুয়েতের জন্য এ ম্যাচে ড্র করলেই চলত। কিন্তু হালকা মেজাজে খেলেও বড় জয় নিয়ে পেরিয়ে গেল তারা অলিম্পিক ফুটবলের প্রাক-বাছাই পর্ব।
বাংলাদেশ কখনো কুয়েতের বাধা পেরোনোর স্বপ্ন দেখেনি। চেয়েছে ভালো ফুটবল খেলতে। প্রথম ম্যাচে কুয়েতের মাঠে ২-০ গোলে হারলেও সেই আশা নাকি পূরণ হয়েছিল অনেকটা। কিন্তু কাল নিজেদের মাঠে সেই বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। খেলোয়াড়দের শরীরই চলছিল না। জোরে একটা দৌড়ও দেখা গেল না। বলতে গেলে খেলল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। কী ক্লান্তি!
অথচ প্রথম ম্যাচের পর ১২-১৩ দিন পাওয়া গেছে। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরীর দাবি, লিগের ম্যাচ খেলার কারণে তাঁরা ক্লান্ত ছিলেন! তবে ঘটনা হলো, এ দলের ৩-৪ জন ছাড়া বাকিরা ঘরোয়া লিগে নিজ নিজ একাদশের বাইরে থাকেন। ক্লান্তির অজুহাত কীভাবে আসে?
তবে খেলার কয়েকটি মুহূর্তে জমিনে বল দেওয়া-নেওয়ায় খানিক ভালো ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কুয়েতের লম্বা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে হাওয়ায় তারা মোটেই পারেনি। তাই ফল—তিনটি গোলই সেট পিচে।
কুয়েত জাতীয় দলের একমাত্র খেলোয়াড় ইউসেফ সোলায়মান করেছেন দুটি গোল। ৪৫ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে হেডে এবং ৮৯ মিনিটে সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে বল জড়িয়েছেন জালে। আর ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই কর্নার থেকে ডিফেন্ডার ফাহাদ হেডে করেছেন প্রথম গোল। গোলগুলো অনেকটাই বাংলাদেশের দেওয়া উপহার। বাংলাদেশ দলের এক ডিফেন্ডার অহেতুক কর্নার করে প্রথম গোলের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। আগাগোড়া ম্যাচে ছিল আরও অনেক ভুল।
প্রায় ৯ মাস পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরল। কিন্তু ঝা চকচকে স্টেডিয়ামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পারফরম্যান্স কই? মাঝমাঠে বল ধরে রাখা যায়নি কখনোই। তাই বাংলাদেশের সীমানায়ই খেলে গেল সফরকারীরা। গোলরক্ষক নেহাল গোটা চারেক গোল না বাঁচালে ব্যবধান আরও বড়ই হয়। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কাচঘেরা বক্সে বসে বাফুফের কর্তারা খেলা দেখলেন। কিন্তু তাঁদের ‘পেশাদার চোখে’ কি কিছু ধরা পড়ল? পাশের প্রেস বক্সে খেলোয়াড় তালিকা এসেছে ম্যাচের ৩০ মিনিট পর!
অসন্তুষ্ট রুবচিচ সংবাদ সম্মেলনে নানা সমস্যার কথা বলে গেলেন। প্রতিপক্ষকে গোল উপহার দেওয়ার জন্য তাঁর মুখে খেদ। হাসি মুখের কুয়েত কোচ ছিলেন নির্ভার।
No comments