‘তামিমকে আটকাতে হবে’
উইকেট, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে। তবে বিশ্বকাপে আজ বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে ইংলিশদের সবচেয়ে বড় ভয়ের নাম যেন চট্টগ্রামের ‘লোকাল বয়’ তামিম ইকবাল! কাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস স্বীকারও করলেন তামিম-ভীতির কথা। সংবাদ সম্মেলনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে
কালকের (আজ) ম্যাচে ইনিংস শুরু করবেন কারা? তিন স্পিনার খেলানোর সম্ভাবনাই বা কতটুকু?
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস: ওপেনিং ব্যাটসম্যানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ম্যাচের আগে এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চাইছি না। তবে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে কে ভালো হবে, সেটা আমরা জানি। একইভাবে তিন স্পিনারের ব্যাপারেও কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না।
কিন্তু এই কন্ডিশনে তো স্পিনারদেরই ভালো করার কথা...
স্ট্রাউস: কন্ডিশন বুঝে আপনাকে সঠিক দলটাই বেছে নিতে হবে। সেটা অবশ্য যেকোনো ম্যাচের বেলাতেই সত্যি। এই পিচে বল কতটা টার্ন করবে, সেটা আগে বুঝতে হবে আমাদের। আগের অভিজ্ঞতা তো বলছে এই পিচে সবার জন্যই কিছু না-কিছু আছে।
বিশ্বকাপে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলছে আপনাদের। বাংলাদেশকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
স্ট্রাউস: টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত আমাদের পারফরম্যান্স মোটেও ধারাবাহিক নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে দুটি ভালো ম্যাচ খেলেছি আমরা। আবার আয়ারল্যান্ড ও হল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি বাজে ম্যাচ গেছে। এই পরিস্থিতিতেও আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে তো যেতে চাই-ই, আমাদের পারফরম্যান্সে আরও ধারাবাহিকতাও আসা দরকার। সেটা করতে হলে এই ম্যাচ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটাও জিততে হবে।
আগের ম্যাচের হতাশা ভুলে এ ম্যাচে বাংলাদেশ ফিরে আসতে চাইবে। সে ব্যাপারে কতটা সতর্ক আপনারা?
স্ট্রাউস: তারা আসলেই খুব বিপজ্জনক দল...বিশেষ করে নিজেদের মাঠে। টপ-অর্ডারে শট খেলার মতো অনেক ব্যাটসম্যান আছে, ভালো কিছু স্পিনারও আছে তাদের। তারা যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের চেয়ে এ ম্যাচে ভালো খেলে ফিরে আসতে চাইবে, সেটা আমরাও জানি। আমরা এটাও জানি, আগের ম্যাচে ওভাবে হারাটা তাদের আরও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে। বাংলাদেশের জন্যও তো এই ম্যাচটা ‘মাস্ট উইন’।
বিশ্বকাপের মাঝপথে পিটারসেন-ব্রডকে হারানোর ধাক্কা সামলাবেন কীভাবে?
স্ট্রাউস: এটা কোনোভাবেই ভালো হলো না। তবে এ রকম পরিস্থিতি আমাদের আগেও সামলাতে হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য, তাদের বদলি হিসেবে দুজন খেলোয়াড় প্রস্তুতই ছিল একরকম। এউইন মরগানের আঙুল ঠিক সময়ে ভালো হয়ে গেছে। এ ছাড়া ক্রিস ট্রেমলেট আমাদের সঙ্গেই আছে, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে সে। পরিস্থিতি তো এর চেয়েও খারাপ হতে পারত!
পিটারসেনকে কতটা মিস করবেন?
স্ট্রাউস: কোনো সন্দেহ নেই, আমরা কেপিকে (পিটারসেন) মিস করব। টপ-অর্ডারে সে ভালো খেলছিল। তার শূন্যতা পূরণ করা কঠিন, কিন্তু আমাদের সেটা করতে হবে।
বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। কেমন উপভোগ করছেন সেটা?
স্ট্রাউস: এ রকম রোমাঞ্চকর ম্যাচের অংশ হতে পারাটা দারুণ। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ম্যাচগুলো আরও সহজ হলে ভালো হতো। তাতে আমার মাথায় চুল আরেকটু বেশি থাকত। অবশ্য এই ম্যাচগুলোয় আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পেরেছি। আশা করব, পরের দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য সহজ হবে।
বাংলাদেশে স্পিনাররাই বড় সমস্যা হবে, নাকি এখানকার দর্শকেরা?
স্ট্রাউস: বাংলাদেশের স্পিনাররা খুবই ভালো। বিশ্বের যেকোনো ভালো স্পিনারের মতোই ভালো বল করে তারা। তাদের আমরা সমীহ করছি, তাদের ব্যাপারে সতর্কও। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকবে গ্যালারি-ভর্তি দর্শক। কাজেই আমাদের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতিরই সৃষ্টি হবে মাঠে। তবে বিশ্বকাপ জিততে চাইলে সবকিছুই তো আর আপনার পছন্দ মতো হবে না।
ইংল্যান্ডের জন্য বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচই যেন অনিশ্চিত যাত্রা। কেমন লাগছে সময়টা?
স্ট্রাউস: হ্যাঁ...খুবই অনিশ্চিত। আমি চাইব, দলের পারফরম্যান্সে যতটা সম্ভব স্থিরতা আনতে। পরের দুই ম্যাচেই সেই কাজটা করতে হবে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আপনার রেকর্ড খুব ভালো। ওদের বোলিং এত পছন্দ করার রহস্য কী?
স্ট্রাউস: তাদের বিপক্ষে কিছু ভালো ইনিংস খেললেও বাংলাদেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাটিতে কখনো খেলিনি। আমার জন্য এটা হবে নতুন অভিজ্ঞতা। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওদের বাঁহাতি স্পিনারদের বিপক্ষে কিছু সুবিধা তো পাই-ই।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তো তামিম ইকবালও দুর্দান্ত। তাঁকে আটকাতে কি পরিকল্পনা আঁটছেন?
স্ট্রাউস: খুবই বিপজ্জনক খেলোয়াড়, প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিতে পারে সে। আমার ধারণা, তামিম কেমন খেলোয়াড়, সেটা আমরা কিছুটা হলেও জানি। ওর বিপক্ষে পরিকল্পনাটা যেন প্রথম বল থেকেই ঠিকঠাক হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যেভাবেই হোক তামিমকে আটকাতে হবে।
উইকেট নিয়ে নিজেদের মধ্যে অনেক কথাবার্তা বলেছেন। কী মনে হয়, কেমন হবে উইকেট?
স্ট্রাউস: দেখে তো শুকনোই মনে হয়...সত্যি বলতে কি, খুবই ফ্লাট। পেস বোলারদের বল সম্ভবত একটু নিচু হয়ে আসবে। তবে কাল (আজ) সকালে আরও ভালো ধারণা পাব।
কালকের (আজ) ম্যাচে ইনিংস শুরু করবেন কারা? তিন স্পিনার খেলানোর সম্ভাবনাই বা কতটুকু?
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস: ওপেনিং ব্যাটসম্যানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ম্যাচের আগে এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চাইছি না। তবে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে কে ভালো হবে, সেটা আমরা জানি। একইভাবে তিন স্পিনারের ব্যাপারেও কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না।
কিন্তু এই কন্ডিশনে তো স্পিনারদেরই ভালো করার কথা...
স্ট্রাউস: কন্ডিশন বুঝে আপনাকে সঠিক দলটাই বেছে নিতে হবে। সেটা অবশ্য যেকোনো ম্যাচের বেলাতেই সত্যি। এই পিচে বল কতটা টার্ন করবে, সেটা আগে বুঝতে হবে আমাদের। আগের অভিজ্ঞতা তো বলছে এই পিচে সবার জন্যই কিছু না-কিছু আছে।
বিশ্বকাপে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলছে আপনাদের। বাংলাদেশকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
স্ট্রাউস: টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত আমাদের পারফরম্যান্স মোটেও ধারাবাহিক নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে দুটি ভালো ম্যাচ খেলেছি আমরা। আবার আয়ারল্যান্ড ও হল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি বাজে ম্যাচ গেছে। এই পরিস্থিতিতেও আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে তো যেতে চাই-ই, আমাদের পারফরম্যান্সে আরও ধারাবাহিকতাও আসা দরকার। সেটা করতে হলে এই ম্যাচ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটাও জিততে হবে।
আগের ম্যাচের হতাশা ভুলে এ ম্যাচে বাংলাদেশ ফিরে আসতে চাইবে। সে ব্যাপারে কতটা সতর্ক আপনারা?
স্ট্রাউস: তারা আসলেই খুব বিপজ্জনক দল...বিশেষ করে নিজেদের মাঠে। টপ-অর্ডারে শট খেলার মতো অনেক ব্যাটসম্যান আছে, ভালো কিছু স্পিনারও আছে তাদের। তারা যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের চেয়ে এ ম্যাচে ভালো খেলে ফিরে আসতে চাইবে, সেটা আমরাও জানি। আমরা এটাও জানি, আগের ম্যাচে ওভাবে হারাটা তাদের আরও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে। বাংলাদেশের জন্যও তো এই ম্যাচটা ‘মাস্ট উইন’।
বিশ্বকাপের মাঝপথে পিটারসেন-ব্রডকে হারানোর ধাক্কা সামলাবেন কীভাবে?
স্ট্রাউস: এটা কোনোভাবেই ভালো হলো না। তবে এ রকম পরিস্থিতি আমাদের আগেও সামলাতে হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য, তাদের বদলি হিসেবে দুজন খেলোয়াড় প্রস্তুতই ছিল একরকম। এউইন মরগানের আঙুল ঠিক সময়ে ভালো হয়ে গেছে। এ ছাড়া ক্রিস ট্রেমলেট আমাদের সঙ্গেই আছে, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে সে। পরিস্থিতি তো এর চেয়েও খারাপ হতে পারত!
পিটারসেনকে কতটা মিস করবেন?
স্ট্রাউস: কোনো সন্দেহ নেই, আমরা কেপিকে (পিটারসেন) মিস করব। টপ-অর্ডারে সে ভালো খেলছিল। তার শূন্যতা পূরণ করা কঠিন, কিন্তু আমাদের সেটা করতে হবে।
বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। কেমন উপভোগ করছেন সেটা?
স্ট্রাউস: এ রকম রোমাঞ্চকর ম্যাচের অংশ হতে পারাটা দারুণ। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ম্যাচগুলো আরও সহজ হলে ভালো হতো। তাতে আমার মাথায় চুল আরেকটু বেশি থাকত। অবশ্য এই ম্যাচগুলোয় আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পেরেছি। আশা করব, পরের দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য সহজ হবে।
বাংলাদেশে স্পিনাররাই বড় সমস্যা হবে, নাকি এখানকার দর্শকেরা?
স্ট্রাউস: বাংলাদেশের স্পিনাররা খুবই ভালো। বিশ্বের যেকোনো ভালো স্পিনারের মতোই ভালো বল করে তারা। তাদের আমরা সমীহ করছি, তাদের ব্যাপারে সতর্কও। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকবে গ্যালারি-ভর্তি দর্শক। কাজেই আমাদের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতিরই সৃষ্টি হবে মাঠে। তবে বিশ্বকাপ জিততে চাইলে সবকিছুই তো আর আপনার পছন্দ মতো হবে না।
ইংল্যান্ডের জন্য বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচই যেন অনিশ্চিত যাত্রা। কেমন লাগছে সময়টা?
স্ট্রাউস: হ্যাঁ...খুবই অনিশ্চিত। আমি চাইব, দলের পারফরম্যান্সে যতটা সম্ভব স্থিরতা আনতে। পরের দুই ম্যাচেই সেই কাজটা করতে হবে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আপনার রেকর্ড খুব ভালো। ওদের বোলিং এত পছন্দ করার রহস্য কী?
স্ট্রাউস: তাদের বিপক্ষে কিছু ভালো ইনিংস খেললেও বাংলাদেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাটিতে কখনো খেলিনি। আমার জন্য এটা হবে নতুন অভিজ্ঞতা। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওদের বাঁহাতি স্পিনারদের বিপক্ষে কিছু সুবিধা তো পাই-ই।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তো তামিম ইকবালও দুর্দান্ত। তাঁকে আটকাতে কি পরিকল্পনা আঁটছেন?
স্ট্রাউস: খুবই বিপজ্জনক খেলোয়াড়, প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিতে পারে সে। আমার ধারণা, তামিম কেমন খেলোয়াড়, সেটা আমরা কিছুটা হলেও জানি। ওর বিপক্ষে পরিকল্পনাটা যেন প্রথম বল থেকেই ঠিকঠাক হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যেভাবেই হোক তামিমকে আটকাতে হবে।
উইকেট নিয়ে নিজেদের মধ্যে অনেক কথাবার্তা বলেছেন। কী মনে হয়, কেমন হবে উইকেট?
স্ট্রাউস: দেখে তো শুকনোই মনে হয়...সত্যি বলতে কি, খুবই ফ্লাট। পেস বোলারদের বল সম্ভবত একটু নিচু হয়ে আসবে। তবে কাল (আজ) সকালে আরও ভালো ধারণা পাব।
No comments