আশরাফুলকে সরিয়ে মাহমুদউল্লাহ
ভুল যে কেউই করতে পারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিশ্চয়ই খেলছেন ওই দুজন! বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচের আগে নেটে এতটা সময় নিয়ে ব্যাট করেননি শাহরিয়ার নাফীস বা মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। করার দরকারও নেই, তাঁরা তো আর খেলছেন না! জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল ঘটল বিপরীত ঘটনা। যাঁরা ম্যাচ খেলবেন, তাঁদের মতোই লম্বা সময় ধরে নেটে ব্যাট করলেন শাহরিয়ার-সোহরাওয়ার্দী।
বাতাসে গুঞ্জন—দলে পরিবর্তন হবে। ‘কে বাদ পড়বেন, কে ঢুকবেন’-এর আলোচনায় শাহরিয়ার-সোহরাওয়ার্দীর নাম দুটিও থাকায় কালকের অনুশীলন দেখে বিভ্রান্তি জাগাটাই স্বাভাবিক। বাস্তবতা হলো এ দুজনের কেউই খেলছেন না আজকের ম্যাচে। অনুশীলনের পর কাল ড্রেসিংরুমে থিংক ট্যাংকের দীর্ঘ আলোচনায় দলে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হলেও তাতে শাহরিয়ার-সোহরাওয়ার্দীর ভাগ্য খুলছে না বলেই খবর। শিশির-প্রভাব বিবেচনায় এক পেসার খেলানোর ঝুঁকিও শেষ পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে না সম্ভবত। রাত পর্যন্ত দলে পরিবর্তন একটাই—মোহাম্মদ আশরাফুলের জায়গায় ফিরবেন মাহমুদউল্লাহ। তবে দিবারাত্রির ম্যাচ যেহেতু, আজ ম্যাচের আগের সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়া কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ইনজুরি পরিবর্তন ঘটাতে পারে কাল রাতে জানা সম্ভাবনায়।
হালকা ইনজুরির ঘটনা অবশ্য কালই একটা ঘটেছে। নেটে বল করার সময় পড়ে গিয়ে কোমর আর বাঁ অ্যাংকেলে চোট পেয়েছেন পেসার নাজমুল হোসেন। টিম ম্যানেজার তানজীব আহসান আশার কথা শুনিয়েছেন, ‘তেমন সিরিয়াস কিছু না। কোমর আর অ্যাংকেলে একটু চোট পেয়েছে। ঠিক হয়ে যাবে।’ নাজমুলকে তার পরও রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। প্রয়োজন মনে হলে চোট পাওয়ার জায়গায় আজ এক্সরে-স্ক্যান ইত্যাদি করানো হতে পারে।
‘আশরাফুলকে বাদ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ কেন’ প্রশ্নটা উঠতেই পারে। মাত্র দুইটা ম্যাচই তো খেললেন আশরাফুল! আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সফল না হলেও অফ স্পিনে নিয়েছেন ২ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার কলঙ্কে তাঁর রান দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১। তবে হ্যাঁ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চই হোক কিংবা সর্বোচ্চ, দলে থাকার দাবি জানাতে ১১ কোনো রানই নয়। কিন্তু ৫৮ রানের ইনিংসে যেখানে সব ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ, সেখানে এক আশরাফুলের ওপরই তোপ দাগাতে হবে কেন? থিংক ট্যাংকের ব্যাখ্যা সম্ভবত এই—আশরাফুলের চেয়ে অফ স্পিনে এগিয়ে আছেন মাহমুদউল্লাহ। ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের কথা ভেবেই হয়তো এই পরিবর্তন। পরিবর্তন হচ্ছে ব্যাটিং লাইনআপেও। মুশফিকুর রহিমকে চার নম্বর থেকে আবার ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ছয় নম্বরে। চারে খেলবেন রকিবুল।
চট্টগ্রামে ম্যাচ মানেই উইকেট নিয়ে আলোচনা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে ৩০৯ রানের ইনিংস যেমন আছে, ঘটেছে ৪৪ রানে অলআউটের ঘটনাও। আজকের ম্যাচের উইকেটকে দুদলের অধিনায়কেরই ‘ফ্লাট’ বললেও উইকেটে বল কিছুটা নিচু হয়ে আসার সম্ভাবনা। স্পিনাররা পাবেন টার্ন। এই উইকেটে ২৩০-২৪০ রানকেই ধরা হচ্ছে জেতার মতো রান।
একাদশ, ইনজুরি আর উইকেটের আলোচনার মধ্যেই ইংল্যান্ড ম্যাচের আবহে ঘুরেফিরে চলে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা। বাংলাদেশ কি পারবে ৫৮ রানের লজ্জা ঢাকতে? সাকিব আল হাসান কি পারবেন বিতর্কের পাল্টা জবাবটা ব্যাটে দিতে? দলের ভেতর থেকে আসা খবর হলো, গত ম্যাচের হতাশা বুক থেকে বের করে দিয়েছেন সবাই। আজকের ম্যাচটাকে একদমই নতুন একটা ম্যাচ ধরে নিয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইটা করতে চায় বাংলাদেশ। কাল সন্ধ্যায় হোটেলে হওয়া টিম মিটিংয়ে ক্রিকেটারদের কানে এই মন্ত্রই নাকি পড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অধিনায়ক-কোচ। মাঠে মন্ত্রটা মনে থাকলেই হয়।
বাতাসে গুঞ্জন—দলে পরিবর্তন হবে। ‘কে বাদ পড়বেন, কে ঢুকবেন’-এর আলোচনায় শাহরিয়ার-সোহরাওয়ার্দীর নাম দুটিও থাকায় কালকের অনুশীলন দেখে বিভ্রান্তি জাগাটাই স্বাভাবিক। বাস্তবতা হলো এ দুজনের কেউই খেলছেন না আজকের ম্যাচে। অনুশীলনের পর কাল ড্রেসিংরুমে থিংক ট্যাংকের দীর্ঘ আলোচনায় দলে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হলেও তাতে শাহরিয়ার-সোহরাওয়ার্দীর ভাগ্য খুলছে না বলেই খবর। শিশির-প্রভাব বিবেচনায় এক পেসার খেলানোর ঝুঁকিও শেষ পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে না সম্ভবত। রাত পর্যন্ত দলে পরিবর্তন একটাই—মোহাম্মদ আশরাফুলের জায়গায় ফিরবেন মাহমুদউল্লাহ। তবে দিবারাত্রির ম্যাচ যেহেতু, আজ ম্যাচের আগের সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়া কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ইনজুরি পরিবর্তন ঘটাতে পারে কাল রাতে জানা সম্ভাবনায়।
হালকা ইনজুরির ঘটনা অবশ্য কালই একটা ঘটেছে। নেটে বল করার সময় পড়ে গিয়ে কোমর আর বাঁ অ্যাংকেলে চোট পেয়েছেন পেসার নাজমুল হোসেন। টিম ম্যানেজার তানজীব আহসান আশার কথা শুনিয়েছেন, ‘তেমন সিরিয়াস কিছু না। কোমর আর অ্যাংকেলে একটু চোট পেয়েছে। ঠিক হয়ে যাবে।’ নাজমুলকে তার পরও রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। প্রয়োজন মনে হলে চোট পাওয়ার জায়গায় আজ এক্সরে-স্ক্যান ইত্যাদি করানো হতে পারে।
‘আশরাফুলকে বাদ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ কেন’ প্রশ্নটা উঠতেই পারে। মাত্র দুইটা ম্যাচই তো খেললেন আশরাফুল! আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সফল না হলেও অফ স্পিনে নিয়েছেন ২ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার কলঙ্কে তাঁর রান দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১। তবে হ্যাঁ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চই হোক কিংবা সর্বোচ্চ, দলে থাকার দাবি জানাতে ১১ কোনো রানই নয়। কিন্তু ৫৮ রানের ইনিংসে যেখানে সব ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ, সেখানে এক আশরাফুলের ওপরই তোপ দাগাতে হবে কেন? থিংক ট্যাংকের ব্যাখ্যা সম্ভবত এই—আশরাফুলের চেয়ে অফ স্পিনে এগিয়ে আছেন মাহমুদউল্লাহ। ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের কথা ভেবেই হয়তো এই পরিবর্তন। পরিবর্তন হচ্ছে ব্যাটিং লাইনআপেও। মুশফিকুর রহিমকে চার নম্বর থেকে আবার ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ছয় নম্বরে। চারে খেলবেন রকিবুল।
চট্টগ্রামে ম্যাচ মানেই উইকেট নিয়ে আলোচনা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে ৩০৯ রানের ইনিংস যেমন আছে, ঘটেছে ৪৪ রানে অলআউটের ঘটনাও। আজকের ম্যাচের উইকেটকে দুদলের অধিনায়কেরই ‘ফ্লাট’ বললেও উইকেটে বল কিছুটা নিচু হয়ে আসার সম্ভাবনা। স্পিনাররা পাবেন টার্ন। এই উইকেটে ২৩০-২৪০ রানকেই ধরা হচ্ছে জেতার মতো রান।
একাদশ, ইনজুরি আর উইকেটের আলোচনার মধ্যেই ইংল্যান্ড ম্যাচের আবহে ঘুরেফিরে চলে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা। বাংলাদেশ কি পারবে ৫৮ রানের লজ্জা ঢাকতে? সাকিব আল হাসান কি পারবেন বিতর্কের পাল্টা জবাবটা ব্যাটে দিতে? দলের ভেতর থেকে আসা খবর হলো, গত ম্যাচের হতাশা বুক থেকে বের করে দিয়েছেন সবাই। আজকের ম্যাচটাকে একদমই নতুন একটা ম্যাচ ধরে নিয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইটা করতে চায় বাংলাদেশ। কাল সন্ধ্যায় হোটেলে হওয়া টিম মিটিংয়ে ক্রিকেটারদের কানে এই মন্ত্রই নাকি পড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অধিনায়ক-কোচ। মাঠে মন্ত্রটা মনে থাকলেই হয়।
No comments