কংগ্রেস রাজনৈতিক পরীক্ষায় পড়বে বিধানসভা নির্বাচনে
দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে চাপের মুখে পড়া ভারতের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রধান শরিক কংগ্রেস পার্টি ও আরেক শরিক তামিলনাড়ুর দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাঝাগাম (ডিএমকে) হয়তো তাদের বন্ধুত্বটা শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পেরেছে। তবে আগামী মার্চ-এপ্রিলে পাঁচ রাজ্যে অনুষ্ঠেয় বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসকে আসল পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। এই পাঁচ রাজ্য হচ্ছে—পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরালা, আসাম ও পুডুচেরি।
আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় তামিলনাড়ু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে গত মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ডিএমকে নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও ডিএমকে নেতা এম করুণানিধি ওই রাজ্যের ২৩৪ আসনের মধ্যে ৬৩টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে রাজি হন। এর আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঐক্যমত না হওয়ায় ৫ মার্চ ডিএমকে তাদের ছয় মন্ত্রীকে সরকার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বিশ্লেষকেরা ডিএমকেকে জোটে ধরে রাখার বিষয়টি কংগ্রেসের আপাতত রাজনৈতিক সফলতা বলে মনে করছেন। টেলিকম খাতের দুর্নীতিসহ নানা কারণে মনমোহন সরকারের নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি এ নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধারের আশা করছে কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার নির্বাচনে কংগ্রেস এবং শরিক দলগুলো ভালো ফল করবে। আসামেও তাদের ভালো ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে টেলিকম কেলেঙ্কারির কারণে তামিলনাড়ুতে জিততে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটকে বেশ বেগ পেতে হতে পারে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক টেলিকমমন্ত্রী ও ডিএমকে নেতা এ রাজার বিরুদ্ধে সরকার আগেভাগেই কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ডিএমকে এবং কংগ্রেস—উভয় দলেরই সুনাম নষ্ট হয়েছে।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি মসৃণভাবে সম্পন্ন হলে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ভালো ফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের ৩৪ বছরের শাসনের অবসান হবে।
কেরালায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইডেট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউডিএফ) সম্ভাব্য সাফল্য ভারতের মার্কসবাদীদের জন্য আরেকটি বড় ধরনের আঘাত হিসেবে দেখা দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় তামিলনাড়ু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে গত মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ডিএমকে নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও ডিএমকে নেতা এম করুণানিধি ওই রাজ্যের ২৩৪ আসনের মধ্যে ৬৩টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে রাজি হন। এর আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঐক্যমত না হওয়ায় ৫ মার্চ ডিএমকে তাদের ছয় মন্ত্রীকে সরকার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বিশ্লেষকেরা ডিএমকেকে জোটে ধরে রাখার বিষয়টি কংগ্রেসের আপাতত রাজনৈতিক সফলতা বলে মনে করছেন। টেলিকম খাতের দুর্নীতিসহ নানা কারণে মনমোহন সরকারের নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি এ নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধারের আশা করছে কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার নির্বাচনে কংগ্রেস এবং শরিক দলগুলো ভালো ফল করবে। আসামেও তাদের ভালো ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে টেলিকম কেলেঙ্কারির কারণে তামিলনাড়ুতে জিততে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটকে বেশ বেগ পেতে হতে পারে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক টেলিকমমন্ত্রী ও ডিএমকে নেতা এ রাজার বিরুদ্ধে সরকার আগেভাগেই কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ডিএমকে এবং কংগ্রেস—উভয় দলেরই সুনাম নষ্ট হয়েছে।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি মসৃণভাবে সম্পন্ন হলে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ভালো ফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের ৩৪ বছরের শাসনের অবসান হবে।
কেরালায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইডেট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউডিএফ) সম্ভাব্য সাফল্য ভারতের মার্কসবাদীদের জন্য আরেকটি বড় ধরনের আঘাত হিসেবে দেখা দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
No comments