আসল প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড নয়
কেভিন পিটারসেনের বিশ্বকাপ শেষ!
খবরটা শুনে আবদুর রাজ্জাকের খুব মন খারাপ হওয়ার কথা। বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান নেই জেনে বাংলাদেশের তো খুশিই হওয়া উচিত। রাজ্জাক মন খারাপ করবেন কেন?
পিটারসেন সম্পর্কে সামান্যতম খোঁজখবর রাখলেও কারণটা আপনার অনুমান করে ফেলার কথা। সঙ্গে আরেকটা তথ্যই শুধু জানা প্রয়োজন—জনাব আবদুর রাজ্জাক একজন বাঁহাতি স্পিনার। পিটারসেনকে না পেয়ে তাঁর মনে হতেই পারে, আহা রে, নিশ্চিত একটা উইকেট চলে গেল!
একদা ক্রিকেট সার্কিটে একটা রসিকতা খুব চালু ছিল। বাঁহাতি স্পিনাররা জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডেকেছে। সেখানে সৌরভ গাঙ্গুলীকে ‘এনিমি নাম্বার ওয়ান’ ঘোষণা করে সর্বসম্মতভাবে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। ভারতীয় বাঁহাতির মতো বাঁহাতি স্পিনারদের এমন হেনস্থা যে ক্রিকেট ইতিহাসে আর কেউ করতে পারেননি।
সৌরভ যদি সন্দেহাতীতভাবে বাঁহাতি স্পিনারদের সবচেয়ে অপ্রিয় ব্যাটসম্যান হয়ে থাকেন, সবচেয়ে প্রিয় অবশ্যই পিটারসেন। সৌরভকে দেখলেই বাঁহাতি স্পিনারদের বুকে ধুকপুকানি বেড়ে যেত আর পিটারসেনকে দেখলে উল্টো চকচক করে ওঠে তাঁদের চোখ।
আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যিনি অবশ্যই থাকবেন, সেই পিটারসেনের এই দুর্বলতা প্রথম চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। সেটি দিগ্বিদিকে ছড়িয়ে পড়ে গত বছর ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরে। প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে শুরু করে ওয়ানডে-টেস্ট সিরিজ অনুসরণ করে গেছে একই পাণ্ডুলিপি—বাঁহাতি স্পিনেই লুকিয়ে পিটারসেনের প্রাণভোমরা। প্রথম ওয়ানডেতে সাকিবের শিকার। পরের দুই ম্যাচে রাজ্জাকের। টেস্ট সিরিজেও সাকিবের ‘বানি’।
এই বিশ্বকাপেও যে চার ম্যাচ খেলেছেন, তার দুটিতেই ঘাতকের নাম বাঁহাতি স্পিন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তো রবিন পিটারসনের প্রথম ওভারেই। ম্যাচ শেষে গ্রায়েম স্মিথ বলেও দিলেন, বাঁহাতি স্পিনারকে দিয়ে প্রথম ওভারটা করানো কেভিন পিটারসেনের কথা ভেবেই। রাজ্জাকও নিশ্চয়ই দিব্যচোখে দেখতে শুরু করেছিলেন দৃশ্যটা—শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ওভারেই তুলে নিচ্ছেন পিটারসেনকে।
সেটি আর হচ্ছে না। হচ্ছে না পিটারসেনের নাটকীয় বিদায়ে। পিটারসেন যেভাবে বিশ্বকাপকে বিদায় বলে ফেললেন, অনায়াসে সেটিকে এই বিশ্বকাপের অন্যতম চমক বলে ফেলা যায়। হার্নিয়ার সমস্যার কথা প্রকাশ্য হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগেই। কথা ছিল—ব্যথাটা ‘ম্যানেজ’ করেই বিশ্বকাপটা শেষ করবেন। ৮ ওভার বোলিং করাটাই কি তাহলে সর্বনাশ করল?
চেন্নাইয়ের ওই টার্নিং উইকেটে স্ট্রাউস বাধ্য হয়েই পিটারসেনের অফ স্পিনের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তবে অষ্টম ওভারটি করার সময়ও পিটারসেন কোনো অস্বস্তিতে ভুগছেন বলে মনে হয়নি। অথচ খেলা শেষেই জানিয়ে দেন, ব্যথাটা এত অসহ্য হয়ে উঠেছে যে আর এক দিনও এটা নিয়ে খেলা সম্ভব নয়। কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার যে পুরোপুরি একমত নন, সেটি তিনি গোপন রাখেননি। ইংলিশ মিডিয়ায় সহানুভূতির চেয়ে সমালোচনাই তাই বেশি জুটেছে পিটারসেনের।
এটি ইংল্যান্ডের ব্যাপার, ইংল্যান্ড বুঝুক। বাংলাদেশের যা বোঝার, তা হলো পিটারসেন না থাকায় কি ভালো হলো, না খারাপ? খারাপ হওয়ার কথা উঠছে একটাই কারণে, পিটারসেনের বদলি খেলোয়াড়ের নাম এউইন মরগান। প্রথম আলোর বিশ্বকাপ বিশেষ সংখ্যায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তাঁর লেখায় নাম ধরেই বলেছিলেন, এউইন মরগান না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো হয়েছে।
কারণ তো অবশ্যই গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরের সেই ওয়ানডে। ১০৪ বলে ১১০ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছিলেন মরগান। পাকেচক্রে ঠিক বাংলাদেশের ম্যাচের আগেই বিশ্বকাপে এসে গেলেন আইরিশ বাঁহাতি।
গত এক বছরে ইংল্যান্ডের সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছিলেন আঙুল ভেঙে যাওয়ায়। তাঁর বদলে সুযোগ পাওয়া রবি বোপারা প্রথম সুযোগ পেয়েই ম্যান অব দ্য ম্যাচ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে বোপারাও থাকবেন, মরগানও থাকবেন। ক্রিকেটে আসলেই শেষ কথা বলে কিছু নেই!
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ দুটি ম্যাচই দিনে। ইংল্যান্ডেরটাই শেষ ডে-নাইট ম্যাচ। এতে মরগানের খুব খুশি হওয়ার কথা। ডে-নাইট ম্যাচ যে তাঁর খুব পছন্দের। ইংল্যান্ডের পক্ষে ওয়ানডেতে মরগানের ৩টি সেঞ্চুরিই ডে-নাইট ম্যাচে। দিনের ম্যাচে গড় ৩১.০৬, ডে-নাইট ম্যাচে ৪৯.৫২।
পিটারসেনের বদলে মরগান—বাংলাদেশের লাভ হলো, না ক্ষতি আলোচনা হতেই পারে। তবে স্টুয়ার্ট ব্রডের না থাকাটা যে খুব ভালো হলো, এ নিয়ে কোনো তর্ক নেই। আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, রিভার্স সুইংয়ের প্রদর্শনীতে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন স্মরণীয় এক জয়। ব্রড না থাকায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের একটু স্বস্তি পাওয়ারই কথা।
ক্রিকেটে লাভ-ক্ষতির হিসাব সব সময় এভাবে হয় না। তবে বাংলাদেশের একটা লাভ তো অবশ্যই হয়েছে। হঠাৎ করে পিটারসেন-ব্রডকে হারিয়ে ইংল্যান্ডকে নতুন করে পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে। বিশ্বকাপের দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকে ভেবে আসা গেম প্ল্যানে ধাক্কা লাগায় একটু এলোমেলো তো হয়েছেই ইংল্যান্ড। নইলে কি আর পিটারসেনকে নিয়ে আপত্তিটা এভাবে প্রকাশ করে ফেলেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার!
বাংলাদেশ এটি কাজে লাগাতে পারবে কি না, এটিই এখন প্রশ্ন। সাকিবের দল যে এখন ইংল্যান্ডের চেয়েও এলোমেলো। টালমাটাল করে দিতে ৫৮-ই যথেষ্ট ছিল। এর পর সাকিবের কলাম আর সেটির প্রতিক্রিয়ায় গত কদিন যা হয়েছে, তাতে মানসিক শক্তির চরমতম পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে।
আগামীকাল বাংলাদেশের আসল প্রতিপক্ষও এটিই। ইংল্যান্ড দলে পিটারসেন-ব্রড থাকলেন কি থাকলেন না, তাতে কিছুই আসে-যায় না।
খবরটা শুনে আবদুর রাজ্জাকের খুব মন খারাপ হওয়ার কথা। বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান নেই জেনে বাংলাদেশের তো খুশিই হওয়া উচিত। রাজ্জাক মন খারাপ করবেন কেন?
পিটারসেন সম্পর্কে সামান্যতম খোঁজখবর রাখলেও কারণটা আপনার অনুমান করে ফেলার কথা। সঙ্গে আরেকটা তথ্যই শুধু জানা প্রয়োজন—জনাব আবদুর রাজ্জাক একজন বাঁহাতি স্পিনার। পিটারসেনকে না পেয়ে তাঁর মনে হতেই পারে, আহা রে, নিশ্চিত একটা উইকেট চলে গেল!
একদা ক্রিকেট সার্কিটে একটা রসিকতা খুব চালু ছিল। বাঁহাতি স্পিনাররা জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডেকেছে। সেখানে সৌরভ গাঙ্গুলীকে ‘এনিমি নাম্বার ওয়ান’ ঘোষণা করে সর্বসম্মতভাবে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। ভারতীয় বাঁহাতির মতো বাঁহাতি স্পিনারদের এমন হেনস্থা যে ক্রিকেট ইতিহাসে আর কেউ করতে পারেননি।
সৌরভ যদি সন্দেহাতীতভাবে বাঁহাতি স্পিনারদের সবচেয়ে অপ্রিয় ব্যাটসম্যান হয়ে থাকেন, সবচেয়ে প্রিয় অবশ্যই পিটারসেন। সৌরভকে দেখলেই বাঁহাতি স্পিনারদের বুকে ধুকপুকানি বেড়ে যেত আর পিটারসেনকে দেখলে উল্টো চকচক করে ওঠে তাঁদের চোখ।
আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যিনি অবশ্যই থাকবেন, সেই পিটারসেনের এই দুর্বলতা প্রথম চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। সেটি দিগ্বিদিকে ছড়িয়ে পড়ে গত বছর ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরে। প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে শুরু করে ওয়ানডে-টেস্ট সিরিজ অনুসরণ করে গেছে একই পাণ্ডুলিপি—বাঁহাতি স্পিনেই লুকিয়ে পিটারসেনের প্রাণভোমরা। প্রথম ওয়ানডেতে সাকিবের শিকার। পরের দুই ম্যাচে রাজ্জাকের। টেস্ট সিরিজেও সাকিবের ‘বানি’।
এই বিশ্বকাপেও যে চার ম্যাচ খেলেছেন, তার দুটিতেই ঘাতকের নাম বাঁহাতি স্পিন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তো রবিন পিটারসনের প্রথম ওভারেই। ম্যাচ শেষে গ্রায়েম স্মিথ বলেও দিলেন, বাঁহাতি স্পিনারকে দিয়ে প্রথম ওভারটা করানো কেভিন পিটারসেনের কথা ভেবেই। রাজ্জাকও নিশ্চয়ই দিব্যচোখে দেখতে শুরু করেছিলেন দৃশ্যটা—শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ওভারেই তুলে নিচ্ছেন পিটারসেনকে।
সেটি আর হচ্ছে না। হচ্ছে না পিটারসেনের নাটকীয় বিদায়ে। পিটারসেন যেভাবে বিশ্বকাপকে বিদায় বলে ফেললেন, অনায়াসে সেটিকে এই বিশ্বকাপের অন্যতম চমক বলে ফেলা যায়। হার্নিয়ার সমস্যার কথা প্রকাশ্য হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগেই। কথা ছিল—ব্যথাটা ‘ম্যানেজ’ করেই বিশ্বকাপটা শেষ করবেন। ৮ ওভার বোলিং করাটাই কি তাহলে সর্বনাশ করল?
চেন্নাইয়ের ওই টার্নিং উইকেটে স্ট্রাউস বাধ্য হয়েই পিটারসেনের অফ স্পিনের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তবে অষ্টম ওভারটি করার সময়ও পিটারসেন কোনো অস্বস্তিতে ভুগছেন বলে মনে হয়নি। অথচ খেলা শেষেই জানিয়ে দেন, ব্যথাটা এত অসহ্য হয়ে উঠেছে যে আর এক দিনও এটা নিয়ে খেলা সম্ভব নয়। কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার যে পুরোপুরি একমত নন, সেটি তিনি গোপন রাখেননি। ইংলিশ মিডিয়ায় সহানুভূতির চেয়ে সমালোচনাই তাই বেশি জুটেছে পিটারসেনের।
এটি ইংল্যান্ডের ব্যাপার, ইংল্যান্ড বুঝুক। বাংলাদেশের যা বোঝার, তা হলো পিটারসেন না থাকায় কি ভালো হলো, না খারাপ? খারাপ হওয়ার কথা উঠছে একটাই কারণে, পিটারসেনের বদলি খেলোয়াড়ের নাম এউইন মরগান। প্রথম আলোর বিশ্বকাপ বিশেষ সংখ্যায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তাঁর লেখায় নাম ধরেই বলেছিলেন, এউইন মরগান না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো হয়েছে।
কারণ তো অবশ্যই গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরের সেই ওয়ানডে। ১০৪ বলে ১১০ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছিলেন মরগান। পাকেচক্রে ঠিক বাংলাদেশের ম্যাচের আগেই বিশ্বকাপে এসে গেলেন আইরিশ বাঁহাতি।
গত এক বছরে ইংল্যান্ডের সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছিলেন আঙুল ভেঙে যাওয়ায়। তাঁর বদলে সুযোগ পাওয়া রবি বোপারা প্রথম সুযোগ পেয়েই ম্যান অব দ্য ম্যাচ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে বোপারাও থাকবেন, মরগানও থাকবেন। ক্রিকেটে আসলেই শেষ কথা বলে কিছু নেই!
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ দুটি ম্যাচই দিনে। ইংল্যান্ডেরটাই শেষ ডে-নাইট ম্যাচ। এতে মরগানের খুব খুশি হওয়ার কথা। ডে-নাইট ম্যাচ যে তাঁর খুব পছন্দের। ইংল্যান্ডের পক্ষে ওয়ানডেতে মরগানের ৩টি সেঞ্চুরিই ডে-নাইট ম্যাচে। দিনের ম্যাচে গড় ৩১.০৬, ডে-নাইট ম্যাচে ৪৯.৫২।
পিটারসেনের বদলে মরগান—বাংলাদেশের লাভ হলো, না ক্ষতি আলোচনা হতেই পারে। তবে স্টুয়ার্ট ব্রডের না থাকাটা যে খুব ভালো হলো, এ নিয়ে কোনো তর্ক নেই। আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, রিভার্স সুইংয়ের প্রদর্শনীতে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন স্মরণীয় এক জয়। ব্রড না থাকায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের একটু স্বস্তি পাওয়ারই কথা।
ক্রিকেটে লাভ-ক্ষতির হিসাব সব সময় এভাবে হয় না। তবে বাংলাদেশের একটা লাভ তো অবশ্যই হয়েছে। হঠাৎ করে পিটারসেন-ব্রডকে হারিয়ে ইংল্যান্ডকে নতুন করে পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে। বিশ্বকাপের দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকে ভেবে আসা গেম প্ল্যানে ধাক্কা লাগায় একটু এলোমেলো তো হয়েছেই ইংল্যান্ড। নইলে কি আর পিটারসেনকে নিয়ে আপত্তিটা এভাবে প্রকাশ করে ফেলেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার!
বাংলাদেশ এটি কাজে লাগাতে পারবে কি না, এটিই এখন প্রশ্ন। সাকিবের দল যে এখন ইংল্যান্ডের চেয়েও এলোমেলো। টালমাটাল করে দিতে ৫৮-ই যথেষ্ট ছিল। এর পর সাকিবের কলাম আর সেটির প্রতিক্রিয়ায় গত কদিন যা হয়েছে, তাতে মানসিক শক্তির চরমতম পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে।
আগামীকাল বাংলাদেশের আসল প্রতিপক্ষও এটিই। ইংল্যান্ড দলে পিটারসেন-ব্রড থাকলেন কি থাকলেন না, তাতে কিছুই আসে-যায় না।
No comments