পুঁজিবাজারে বিশাল উল্লম্ফনের বছর
২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। আর ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তা ৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে হয় তিন লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
এর ফলে ডিএসইর বাজার মূলধন এখন মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে ৫০ দশমিক ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা দুই বছর আগে ছিল ১৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এই একটি পরিসংখ্যানেই দেশের শেয়ারবাজারের বিশাল স্ফীতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এটি আরও জোরদার হয়, যখন জানা যায়, গত বছর শেয়ারবাজারের কার্যক্রম তথা উল্লম্ফনের দিক থেকে শ্রীলঙ্কা ও মঙ্গোলিয়ার পর বাংলাদেশের অবস্থান। অর্থাৎ ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ তৃতীয়। লংকা-বাংলা ফাইন্যান্সের এক বিশ্লেষণে এমনটি বলা হয়েছে।
এগুলো পুঁজিবাজার ঘিরে উৎসাহকে যেমন বাড়িয়ে তোলে, তেমনি সতর্ক হওয়ারও আভাস দেয়। বিশাল উল্লম্ফনে বাজার যত উচ্চতায় উঠুক না কেন, তা সংশোধনের জন্য পতন হওয়াটাই অনিবার্য।
তবে পতনের শঙ্কা যা-ই থাকুক না কেন, গত বছরটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী ও কারবারিদের কেটেছে দারুণ সময়। লাভের মাত্রা বা পরিমাণ কম হলেও লোকসান গুনেছেন—এমন বিনিয়োগকারী খুব কম বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কম লাভ বা মুনাফা করতে পেরেছেন তাঁদের সীমিত পুঁজির জন্য। কিন্তু বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বড় পুঁজির জোরে বাজারে মুনাফার বড় অংশই নিজেদের করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
আর মুনাফা তোলার প্রতিযোগিতায় বাজারে নানা ধরনের অনিয়মের ঘটনাও ঘটেছে। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ঘন ঘন নিয়মনীতি পরিবর্তন করে বাজারকে সময় সময় অস্থির করে তুলেছে, যা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
আবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও বাজারের গতি-প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা-বোঝার যথেষ্ট ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। আর তাই দরপতন হলেই রাস্তায় নেমে মিছিল-বিক্ষোভ এমনকি ভাঙচুর করারও ঘটনা ঘটেছে।
এসবের মধ্য দিয়ে এটাই প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার স্ফীত হলেও যথেষ্ট পরিপক্ব বা সুসংহত হতে পারেনি। সে জন্য আরও অনেক সময় লাগবে।
গত বছর ৫ ডিসেম্বর ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক সর্বোচ্চ আট হাজার ৯১৮ দশমিক ৫১ পয়েন্টে উন্নীত হয়। আর ৩ জানুয়ারি সাধারণ মূল্যসূচক ছিল সর্বনিম্ন চার হাজার ৫৬৮ দশমিক ৪০ পয়েন্ট।
ডিএসইর সূত্রে আরও জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক চার হাজার ৫৩৫ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট থেকে ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর আট হাজার ২৯০ দশমিক ৪১ পয়েন্টে পৌঁছায়। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৮২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ে।
বাজারের এই ক্রমাগত স্ফীতি বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে পুঁজিবাজারমুখী করে তোলে। সরকারও বাজারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য কিছু ছাড় দেয়। তারই অংশ হিসেবে ২০১০-১১ অর্থবছরে বাজেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে করারোপ করা হলেও ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীর মূলধনী মুনাফা ছিল করমুক্ত।
অনেকেই অবশ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, যেখানে সঞ্চয়পত্রে যেকোনো পরিমাণ মুনাফার ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ হারে কর্তন করা হচ্ছে, সেখানে শেয়ারবাজারের মূলধনী আয়কে পুরোপুরি করমুক্ত রেখে ফাটকা কারবারে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
তবে ডিএসই লেনদেনের ওপর উৎসে কর সংগ্রহ করে ২০১০ সালে ৩১৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে। ২০০৯ সালে জমার পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে করের হার ১০০ টাকায় আড়াই পয়সা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ পয়সা নির্ধারণ করে। ফলে এই আয় বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অতিমাত্রায় সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কঠোরতা আরোপ করে। আর বছরের একেবারে শেষদিকে এসে মূল্যস্ফীতি প্রশমনের জন্য সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করায় মুদ্রাবাজারে আকস্মিক অস্থিরতা দেখা দেয়, যার ঢেউ এসে লাগে শেয়ারবাজারে। ডিসেম্বর মাসেই এযাবৎকালের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটে।
পুঁজিবাজারে নানা অর্জনও লক্ষ্য করা যায়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ক্রমেই অবস্থান সুসংহত করছে। নতুন ধরনের পণ্য-সেবা ধীরে ধীরে আসছে। বাজারে বৈচিত্র্যময়তার পথ তৈরি হচ্ছে। পুঁজিবাজারবিষয়ক ইনস্টিটিউট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে তরুণ ও পেশাদার বিশ্লেষকদের আবির্ভাব ঘটছে। ১ অক্টোবর থেকে কাগুজের শেয়ারের লেনদেন বিলুপ্ত করা হয়েছে। ফলে শেয়ারবাজারের লেনদেন এখন পুরোপুরি ইলেকট্রনিক।
এগুলো সবই দীর্ঘমেয়াদে পুঁজিবাজারকে একটি সুসংহত অবস্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
২০১০ সালে একটি প্রাতিষ্ঠানিক বন্ড, একটি কনভার্টেবল বন্ড, ১০টি মিউচুয়াল ফান্ডসহ ১৮টি সিকিউরিটিজ দুই হাজার ৬৫৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনসম্পন্ন প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাজারে আসে। এর মধ্যে এক হাজার ৩২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা তোলা হয় সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রাথমিক শেয়ারের বিনিময়ে।
তবে চাহিদার তুলনায় বাজারে শেয়ারের জোগান কম ছিল। বিশেষ করে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়ার জন্য একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি।
এর ফলে ডিএসইর বাজার মূলধন এখন মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে ৫০ দশমিক ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা দুই বছর আগে ছিল ১৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এই একটি পরিসংখ্যানেই দেশের শেয়ারবাজারের বিশাল স্ফীতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এটি আরও জোরদার হয়, যখন জানা যায়, গত বছর শেয়ারবাজারের কার্যক্রম তথা উল্লম্ফনের দিক থেকে শ্রীলঙ্কা ও মঙ্গোলিয়ার পর বাংলাদেশের অবস্থান। অর্থাৎ ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ তৃতীয়। লংকা-বাংলা ফাইন্যান্সের এক বিশ্লেষণে এমনটি বলা হয়েছে।
এগুলো পুঁজিবাজার ঘিরে উৎসাহকে যেমন বাড়িয়ে তোলে, তেমনি সতর্ক হওয়ারও আভাস দেয়। বিশাল উল্লম্ফনে বাজার যত উচ্চতায় উঠুক না কেন, তা সংশোধনের জন্য পতন হওয়াটাই অনিবার্য।
তবে পতনের শঙ্কা যা-ই থাকুক না কেন, গত বছরটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী ও কারবারিদের কেটেছে দারুণ সময়। লাভের মাত্রা বা পরিমাণ কম হলেও লোকসান গুনেছেন—এমন বিনিয়োগকারী খুব কম বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কম লাভ বা মুনাফা করতে পেরেছেন তাঁদের সীমিত পুঁজির জন্য। কিন্তু বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বড় পুঁজির জোরে বাজারে মুনাফার বড় অংশই নিজেদের করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
আর মুনাফা তোলার প্রতিযোগিতায় বাজারে নানা ধরনের অনিয়মের ঘটনাও ঘটেছে। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ঘন ঘন নিয়মনীতি পরিবর্তন করে বাজারকে সময় সময় অস্থির করে তুলেছে, যা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
আবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও বাজারের গতি-প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা-বোঝার যথেষ্ট ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। আর তাই দরপতন হলেই রাস্তায় নেমে মিছিল-বিক্ষোভ এমনকি ভাঙচুর করারও ঘটনা ঘটেছে।
এসবের মধ্য দিয়ে এটাই প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার স্ফীত হলেও যথেষ্ট পরিপক্ব বা সুসংহত হতে পারেনি। সে জন্য আরও অনেক সময় লাগবে।
গত বছর ৫ ডিসেম্বর ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক সর্বোচ্চ আট হাজার ৯১৮ দশমিক ৫১ পয়েন্টে উন্নীত হয়। আর ৩ জানুয়ারি সাধারণ মূল্যসূচক ছিল সর্বনিম্ন চার হাজার ৫৬৮ দশমিক ৪০ পয়েন্ট।
ডিএসইর সূত্রে আরও জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক চার হাজার ৫৩৫ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট থেকে ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর আট হাজার ২৯০ দশমিক ৪১ পয়েন্টে পৌঁছায়। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৮২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ে।
বাজারের এই ক্রমাগত স্ফীতি বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে পুঁজিবাজারমুখী করে তোলে। সরকারও বাজারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য কিছু ছাড় দেয়। তারই অংশ হিসেবে ২০১০-১১ অর্থবছরে বাজেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে করারোপ করা হলেও ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীর মূলধনী মুনাফা ছিল করমুক্ত।
অনেকেই অবশ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, যেখানে সঞ্চয়পত্রে যেকোনো পরিমাণ মুনাফার ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ হারে কর্তন করা হচ্ছে, সেখানে শেয়ারবাজারের মূলধনী আয়কে পুরোপুরি করমুক্ত রেখে ফাটকা কারবারে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
তবে ডিএসই লেনদেনের ওপর উৎসে কর সংগ্রহ করে ২০১০ সালে ৩১৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে। ২০০৯ সালে জমার পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে করের হার ১০০ টাকায় আড়াই পয়সা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ পয়সা নির্ধারণ করে। ফলে এই আয় বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অতিমাত্রায় সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কঠোরতা আরোপ করে। আর বছরের একেবারে শেষদিকে এসে মূল্যস্ফীতি প্রশমনের জন্য সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করায় মুদ্রাবাজারে আকস্মিক অস্থিরতা দেখা দেয়, যার ঢেউ এসে লাগে শেয়ারবাজারে। ডিসেম্বর মাসেই এযাবৎকালের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটে।
পুঁজিবাজারে নানা অর্জনও লক্ষ্য করা যায়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ক্রমেই অবস্থান সুসংহত করছে। নতুন ধরনের পণ্য-সেবা ধীরে ধীরে আসছে। বাজারে বৈচিত্র্যময়তার পথ তৈরি হচ্ছে। পুঁজিবাজারবিষয়ক ইনস্টিটিউট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে তরুণ ও পেশাদার বিশ্লেষকদের আবির্ভাব ঘটছে। ১ অক্টোবর থেকে কাগুজের শেয়ারের লেনদেন বিলুপ্ত করা হয়েছে। ফলে শেয়ারবাজারের লেনদেন এখন পুরোপুরি ইলেকট্রনিক।
এগুলো সবই দীর্ঘমেয়াদে পুঁজিবাজারকে একটি সুসংহত অবস্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
২০১০ সালে একটি প্রাতিষ্ঠানিক বন্ড, একটি কনভার্টেবল বন্ড, ১০টি মিউচুয়াল ফান্ডসহ ১৮টি সিকিউরিটিজ দুই হাজার ৬৫৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনসম্পন্ন প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাজারে আসে। এর মধ্যে এক হাজার ৩২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা তোলা হয় সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রাথমিক শেয়ারের বিনিময়ে।
তবে চাহিদার তুলনায় বাজারে শেয়ারের জোগান কম ছিল। বিশেষ করে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়ার জন্য একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি।
No comments