দাবায় আগ্রহ হারাচ্ছে মেয়েরা
ছোট্ট এরিনা এখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি। প্রথম শ্রেণীর ‘ভর্তিযুদ্ধ’ শেষে সুযোগ মিলেছে বনশ্রী কোয়ালিটি এডুকেশন স্কুলে পড়ার। এরই মধ্যে দাবা খেলার নিয়মকানুন রপ্ত হয়ে গেছে ভালোই। কাল প্রাইম ব্যাংক মহিলা ওপেন ফিদে রেটিং দাবার পঞ্চম রাউন্ডে হেরে মন খারাপ করে বাবার কোলে চড়ে বসল। বাবা সান্ত্বনা দিলেন, ‘পরের রাউন্ডে ভালো খেলো।’
শুধু এরিনা নয়, এই টুর্নামেন্টে খেলছে তার বড় দুই বোন আন্নি ও অ্যানিও। দাবা বোর্ডে মগ্ন মা তামান্নাও। মহিলা রেটিং টুর্নামেন্টে মেয়েদের উপস্থিতি এবার অনেক কম। এ জন্য কি পুরো পরিবারকেই টুর্নামেন্টে খেলাচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক? মোকাদ্দেস হোসাইন হেসে বললেন, ‘আসলে তা নয়। আমাদের পরিবারটা দাবাপ্রেমী। ছেলে সাইফ জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন। বড় মেয়ে অ্যানি রেটেড খেলোয়াড়। মেজো মেয়ে আন্নিও নিয়মিত খেলে।’ আর মা? ‘ছোট মেয়েরও শখ দাবা খেলবে। ওকে এখানে নিয়ে এসে চুপচাপ বসে না থেকে নিজেও খেলছে। এর মধ্যে অন্য কিছু খুঁজে লাভ নেই।’ এই টুর্নামেন্টে খেলছে আরেক জোড়া মা-মেয়েও। কুষ্টিয়া থেকে এসেছেন প্রতিভা তালুকদার। সঙ্গী মা ডেইজি তালুকদারও অংশ নিচ্ছেন প্রতিযোগিতায়।
অন্যবারের চেয়ে অনেক কম মেয়ে অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। সাধারণ সম্পাদকের পরিবারের ৪ জন ধরেও প্রতিযোগীর সংখ্যা মাত্র ২৪। মোসাদ্দেক একটা কারণও খুঁজে পাচ্ছেন, ‘দাবায় মেয়েদের আর্থিক সুবিধা একেবারে কম।’ অন্য সমস্যার কথাও অবশ্য স্বীকার করলেন তিনি, ‘এখানকার পরিবেশ সত্যি খারাপ। একটা মাত্র টয়লেট, তাও ছেলে ও মেয়েরা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে। এটা দেখে অনেকে পরেরবার খেলতে আসতে চায় না। ঢাকার বাইরের মেয়েদের আবাসন-সুবিধাও নেই।’ এসব ব্যাপারে একাধিকবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আবেদন করেও কোনো ফল পাননি বলে দাবি তাঁর।
শুধু এরিনা নয়, এই টুর্নামেন্টে খেলছে তার বড় দুই বোন আন্নি ও অ্যানিও। দাবা বোর্ডে মগ্ন মা তামান্নাও। মহিলা রেটিং টুর্নামেন্টে মেয়েদের উপস্থিতি এবার অনেক কম। এ জন্য কি পুরো পরিবারকেই টুর্নামেন্টে খেলাচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক? মোকাদ্দেস হোসাইন হেসে বললেন, ‘আসলে তা নয়। আমাদের পরিবারটা দাবাপ্রেমী। ছেলে সাইফ জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন। বড় মেয়ে অ্যানি রেটেড খেলোয়াড়। মেজো মেয়ে আন্নিও নিয়মিত খেলে।’ আর মা? ‘ছোট মেয়েরও শখ দাবা খেলবে। ওকে এখানে নিয়ে এসে চুপচাপ বসে না থেকে নিজেও খেলছে। এর মধ্যে অন্য কিছু খুঁজে লাভ নেই।’ এই টুর্নামেন্টে খেলছে আরেক জোড়া মা-মেয়েও। কুষ্টিয়া থেকে এসেছেন প্রতিভা তালুকদার। সঙ্গী মা ডেইজি তালুকদারও অংশ নিচ্ছেন প্রতিযোগিতায়।
অন্যবারের চেয়ে অনেক কম মেয়ে অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। সাধারণ সম্পাদকের পরিবারের ৪ জন ধরেও প্রতিযোগীর সংখ্যা মাত্র ২৪। মোসাদ্দেক একটা কারণও খুঁজে পাচ্ছেন, ‘দাবায় মেয়েদের আর্থিক সুবিধা একেবারে কম।’ অন্য সমস্যার কথাও অবশ্য স্বীকার করলেন তিনি, ‘এখানকার পরিবেশ সত্যি খারাপ। একটা মাত্র টয়লেট, তাও ছেলে ও মেয়েরা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে। এটা দেখে অনেকে পরেরবার খেলতে আসতে চায় না। ঢাকার বাইরের মেয়েদের আবাসন-সুবিধাও নেই।’ এসব ব্যাপারে একাধিকবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আবেদন করেও কোনো ফল পাননি বলে দাবি তাঁর।
No comments