ফ্রাঙ্কের কল্যাণে জিতল আবাহনী
ইব্রাহিমের মাপা ক্রসে ফ্রাঙ্কের লক্ষ্যভেদী হেড। গোল...।
দুই আবাহনীর লড়াইয়ে এটিই একমাত্র গোলের দৃশ্য। এই গোলই চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ৩ পয়েন্ট এনে দিল ঢাকা আবাহনীকে। এ ছাড়া ম্যাচে দৃষ্টিনন্দন আর কিছু নেই।
তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোল ঠেকানোর লড়াইটা ছিল দেখার মতো। ১০ জন খেলোয়াড়কে রক্ষণে নামিয়ে ‘গোল খাব না’ পণ করে খেলল চট্টগ্রামের দলটি। রক্ষণ তালাবদ্ধ থাকলে গোল করা কঠিন—অন্তত ৪-৫টি গোল করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে এটিই আবাহনীর সবচেয়ে বড় উপলব্ধি।
জয়ের জন্য একটি গোলই যথেষ্ট হওয়ায় আবাহনীর আসল লক্ষ্য পূরণ হলো। প্রথম ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র, দ্বিতীয় ম্যাচে জয়—পেশাদার লিগে টানা চতুর্থ শিরোপা দৌড়ের মিশনে নামা আবাহনী তো এটিই চাইছিল। তবে শুধু জয়েই কি সন্তুষ্ট থাকবে আবাহনী সমর্থকেরা? দলীয় সমন্বয়, গোছানো এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখতে চায় তারা। সেটি কোথায়?
আবাহনীর ইরানি কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমির মনে এসব প্রশ্ন না এসে পারে না। অনুশীলনে নিশ্চয়ই এটা নিয়ে কাজ করবেন। তবে সাংবাদিকদের দেওয়ার মতো ব্যাখ্যা তাঁর হাতে ছিল কাল, ‘চট্টগ্রাম আবাহনীর ১০ জনই রক্ষণে খেলেছে। গোল করার মতো জায়গাই পাইনি আমরা। তাই একটির বেশি গোল হয়নি।’ তবে এটা বলার পর ঠিকই যোগ করলেন, ‘গোল আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল।’
বিরতির আগ মুহূর্তে পাওয়া একমাত্র গোল আবাহনী নিশ্চিন্তে ধরে রাখতে পারল প্রতিপক্ষ দুর্বল বলে। আবাহনীর গোলরক্ষক জিয়া অনেকটা নিশ্চিন্তে দলের খেলা দেখেছেন বারের নিচে দাঁড়িয়ে। ৩৪ মিনিট পর্যন্ত বেঞ্চে দর্শক হয়ে ছিলেন স্ট্রাইকার আলফাজও। তবে গোলের জন্য আবদুল্লাহ পারভেজকে তুলে আলফাজকে নামানোর ফলটা আবাহনী পেতে পেতেও পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ১-১ অবস্থায় আলফাজ আটকে গেলেন গোলরক্ষকের বাধায়।
ইব্রাহিম মিস করেছেন গোটা চারেক। বরাবরই মিস করেন, এ আর নতুন কী! আবার এটাও ঠিক, এই ইব্রাহিমই গড়েন আবাহনীর খেলাটা। শুধু গড়েন না, গোলও করান। কাল স্বদেশি ফ্রাঙ্ককে দিয়ে যে গোলটা করিয়েছেন, খুব অসাধারণ কিছু না হলেও তাতে বুদ্ধির ছাপ ছিল। মাপা ক্রসে সতীর্থকে দিয়ে হেড করানোর মধ্যে তো একটা চাতুর্য আছেই।
চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা আবাহনী খেলতে নামলে সবাই ধরে নেয়, ঢাকা আবাহনীই জিতবে। চট্টগ্রাম আবাহনী এই পেশাদার লিগে কখনোই যে হারাতে পারেনি বড় আবাহনীকে। তাই বড় আবাহনীর খেলোয়াড়দের মধ্যেও একটা গা-ছাড়া মনোভাব থাকে। কাল যেন সেটাও দেখা গেল, যা পেশাদার ফুটবল লিগে দর্শকশূন্য মাঠে দর্শক ফেরানোর ভালো বিজ্ঞাপন নয়।
ঢাকা আবাহনী: জিয়া, মামুন, সামাদ, সিরাজী, লিংকন, পারভেজ (আলফাজ/আবুল), প্রাণতোষ, উজ্জ্বল, ইব্রাহিম, ফ্রাঙ্ক, আমিনু।
চট্টগ্রাম আবাহনী: জাহাঙ্গীর, আসিফ (রিপন), মাসুদ, ধীমান, শওকত, জমির, পিটার, মোরসালিন, আরাফাত (আমিনুল) তৌহিদ, মনির।
আজকের খেলা: ঢাকা মোহামেডান-ফরাশগঞ্জ (কমলাপুর স্টেডিয়াম, ৪টা); চট্টগ্রাম মোহামেডান-শেখ রাসেল (কক্সবাজার স্টেডিয়াম, ২-৩০ মি.)।
দুই আবাহনীর লড়াইয়ে এটিই একমাত্র গোলের দৃশ্য। এই গোলই চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ৩ পয়েন্ট এনে দিল ঢাকা আবাহনীকে। এ ছাড়া ম্যাচে দৃষ্টিনন্দন আর কিছু নেই।
তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোল ঠেকানোর লড়াইটা ছিল দেখার মতো। ১০ জন খেলোয়াড়কে রক্ষণে নামিয়ে ‘গোল খাব না’ পণ করে খেলল চট্টগ্রামের দলটি। রক্ষণ তালাবদ্ধ থাকলে গোল করা কঠিন—অন্তত ৪-৫টি গোল করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে এটিই আবাহনীর সবচেয়ে বড় উপলব্ধি।
জয়ের জন্য একটি গোলই যথেষ্ট হওয়ায় আবাহনীর আসল লক্ষ্য পূরণ হলো। প্রথম ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র, দ্বিতীয় ম্যাচে জয়—পেশাদার লিগে টানা চতুর্থ শিরোপা দৌড়ের মিশনে নামা আবাহনী তো এটিই চাইছিল। তবে শুধু জয়েই কি সন্তুষ্ট থাকবে আবাহনী সমর্থকেরা? দলীয় সমন্বয়, গোছানো এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখতে চায় তারা। সেটি কোথায়?
আবাহনীর ইরানি কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমির মনে এসব প্রশ্ন না এসে পারে না। অনুশীলনে নিশ্চয়ই এটা নিয়ে কাজ করবেন। তবে সাংবাদিকদের দেওয়ার মতো ব্যাখ্যা তাঁর হাতে ছিল কাল, ‘চট্টগ্রাম আবাহনীর ১০ জনই রক্ষণে খেলেছে। গোল করার মতো জায়গাই পাইনি আমরা। তাই একটির বেশি গোল হয়নি।’ তবে এটা বলার পর ঠিকই যোগ করলেন, ‘গোল আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল।’
বিরতির আগ মুহূর্তে পাওয়া একমাত্র গোল আবাহনী নিশ্চিন্তে ধরে রাখতে পারল প্রতিপক্ষ দুর্বল বলে। আবাহনীর গোলরক্ষক জিয়া অনেকটা নিশ্চিন্তে দলের খেলা দেখেছেন বারের নিচে দাঁড়িয়ে। ৩৪ মিনিট পর্যন্ত বেঞ্চে দর্শক হয়ে ছিলেন স্ট্রাইকার আলফাজও। তবে গোলের জন্য আবদুল্লাহ পারভেজকে তুলে আলফাজকে নামানোর ফলটা আবাহনী পেতে পেতেও পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ১-১ অবস্থায় আলফাজ আটকে গেলেন গোলরক্ষকের বাধায়।
ইব্রাহিম মিস করেছেন গোটা চারেক। বরাবরই মিস করেন, এ আর নতুন কী! আবার এটাও ঠিক, এই ইব্রাহিমই গড়েন আবাহনীর খেলাটা। শুধু গড়েন না, গোলও করান। কাল স্বদেশি ফ্রাঙ্ককে দিয়ে যে গোলটা করিয়েছেন, খুব অসাধারণ কিছু না হলেও তাতে বুদ্ধির ছাপ ছিল। মাপা ক্রসে সতীর্থকে দিয়ে হেড করানোর মধ্যে তো একটা চাতুর্য আছেই।
চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা আবাহনী খেলতে নামলে সবাই ধরে নেয়, ঢাকা আবাহনীই জিতবে। চট্টগ্রাম আবাহনী এই পেশাদার লিগে কখনোই যে হারাতে পারেনি বড় আবাহনীকে। তাই বড় আবাহনীর খেলোয়াড়দের মধ্যেও একটা গা-ছাড়া মনোভাব থাকে। কাল যেন সেটাও দেখা গেল, যা পেশাদার ফুটবল লিগে দর্শকশূন্য মাঠে দর্শক ফেরানোর ভালো বিজ্ঞাপন নয়।
ঢাকা আবাহনী: জিয়া, মামুন, সামাদ, সিরাজী, লিংকন, পারভেজ (আলফাজ/আবুল), প্রাণতোষ, উজ্জ্বল, ইব্রাহিম, ফ্রাঙ্ক, আমিনু।
চট্টগ্রাম আবাহনী: জাহাঙ্গীর, আসিফ (রিপন), মাসুদ, ধীমান, শওকত, জমির, পিটার, মোরসালিন, আরাফাত (আমিনুল) তৌহিদ, মনির।
আজকের খেলা: ঢাকা মোহামেডান-ফরাশগঞ্জ (কমলাপুর স্টেডিয়াম, ৪টা); চট্টগ্রাম মোহামেডান-শেখ রাসেল (কক্সবাজার স্টেডিয়াম, ২-৩০ মি.)।
No comments