বছরের প্রথম কর্মদিবসে শেয়ারের মূল্যসূচক বৃদ্ধি
সাধারণ মূল্যসূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে বছরের প্রথম দিন শুরু করেছে দেশের দুই শেয়ারবাজার। গতকাল রোববার ২০১১ সালের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেনের পরিমাণ খানিকটা কমেছে। তবে চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক ও লেনদেন দুই-ই বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, লিজিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা ও বস্ত্র খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ব্যাংকিং ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিগত বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো ভালো মুনাফা করেছে—এ ধরনের গুঞ্জন আগে থেকেই শোনা গিয়েছিল। তবে বছর শেষে তার বাস্তব প্রমাণও মিলেছে। আর এ কারণে ডিসেম্বর মাসে বড় ধরনের দরপতনের পরও ব্যাংকিং খাতের শেয়ারগুলোর দাম বাড়তে থাকে। গতকালের পত্রপত্রিকায় ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই সকাল থেকে ব্যাংকের শেয়ারের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের একাংশ মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেয়। এর পর থেকেই দাম কমতে থাকে। এতে করে বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম পড়ে যায়।
অন্যদিকে ডিসেম্বরের শেষভাগে এসে লিজিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানির শেয়ারগুলোর দামে বড় ধরনের পতন ঘটে। সদ্য সমাপ্ত বছরে লিজিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি মুনাফা করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ব্যাংকিং খাতের শেয়ার বিক্রি করে লিজিং ও বিমা খাতের শেয়ারের দিকে ঝুঁকে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর কিছুটা বেড়েছে।
বাজারের লেনদেন কমে যাওয়া সম্পর্কে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাজারে এখনো তারল্য-সংকট রয়েছে। কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির পক্ষ থেকে ঋণসীমা বাড়ানো হলেও মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো এখনো তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বাজারে তারল্যপ্রবাহ না বাড়লে লেনদেন বাড়ার সম্ভাবনা কম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে দিন শেষে সাধারণ মূল্যসূচক ১৪ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে আট হাজার ৩০৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়। গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ৬১২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত বছরের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারের লেনদেন এক হাজার ৭৮৩ কোটি টাকার চেয়ে ১৭১ কোটি টাকা কম।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১০৫টির ও অপরিবর্তিত ছিল দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৪৯০। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৮৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। গত বছরের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৭৯ কোটি টাকা। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯০টি কোম্পানির মধ্যে ১০১টির দাম বেড়েছে, ৮৭টির দাম কমেছে ও অপরিবর্তিত ছিল দুটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে খাত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ডিএসইতে গতকাল লিজিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২১টির মধ্যে ১৮টির, বিমা খাতের ৪৪টির মধ্যে ৩৮টির ও বস্ত্র খাতের ২২টির মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া সিমেন্ট খাতের পাঁচটির মধ্যে চারটির, প্রকৌশল খাতের ২১টির মধ্যে ১২টির, জ্বালানি খাতের ১১টির মধ্যে সাতটির, আইটি খাতের পাঁচটির মধ্যে তিনটির, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯টির মধ্যে নয়টির দাম বেড়েছে। তবে ব্যাংকিং খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩১টির মধ্যে ২৭টিরই দাম কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, লিজিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা ও বস্ত্র খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ব্যাংকিং ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিগত বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো ভালো মুনাফা করেছে—এ ধরনের গুঞ্জন আগে থেকেই শোনা গিয়েছিল। তবে বছর শেষে তার বাস্তব প্রমাণও মিলেছে। আর এ কারণে ডিসেম্বর মাসে বড় ধরনের দরপতনের পরও ব্যাংকিং খাতের শেয়ারগুলোর দাম বাড়তে থাকে। গতকালের পত্রপত্রিকায় ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই সকাল থেকে ব্যাংকের শেয়ারের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের একাংশ মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেয়। এর পর থেকেই দাম কমতে থাকে। এতে করে বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম পড়ে যায়।
অন্যদিকে ডিসেম্বরের শেষভাগে এসে লিজিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানির শেয়ারগুলোর দামে বড় ধরনের পতন ঘটে। সদ্য সমাপ্ত বছরে লিজিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি মুনাফা করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ব্যাংকিং খাতের শেয়ার বিক্রি করে লিজিং ও বিমা খাতের শেয়ারের দিকে ঝুঁকে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর কিছুটা বেড়েছে।
বাজারের লেনদেন কমে যাওয়া সম্পর্কে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাজারে এখনো তারল্য-সংকট রয়েছে। কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির পক্ষ থেকে ঋণসীমা বাড়ানো হলেও মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো এখনো তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বাজারে তারল্যপ্রবাহ না বাড়লে লেনদেন বাড়ার সম্ভাবনা কম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে দিন শেষে সাধারণ মূল্যসূচক ১৪ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে আট হাজার ৩০৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়। গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ৬১২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত বছরের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারের লেনদেন এক হাজার ৭৮৩ কোটি টাকার চেয়ে ১৭১ কোটি টাকা কম।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১০৫টির ও অপরিবর্তিত ছিল দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৪৯০। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৮৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। গত বছরের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৭৯ কোটি টাকা। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯০টি কোম্পানির মধ্যে ১০১টির দাম বেড়েছে, ৮৭টির দাম কমেছে ও অপরিবর্তিত ছিল দুটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে খাত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ডিএসইতে গতকাল লিজিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২১টির মধ্যে ১৮টির, বিমা খাতের ৪৪টির মধ্যে ৩৮টির ও বস্ত্র খাতের ২২টির মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া সিমেন্ট খাতের পাঁচটির মধ্যে চারটির, প্রকৌশল খাতের ২১টির মধ্যে ১২টির, জ্বালানি খাতের ১১টির মধ্যে সাতটির, আইটি খাতের পাঁচটির মধ্যে তিনটির, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯টির মধ্যে নয়টির দাম বেড়েছে। তবে ব্যাংকিং খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩১টির মধ্যে ২৭টিরই দাম কমেছে।
No comments