কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপরামর্শ -বেকার তরুণ-তরুণীরা উপকৃত হবেন
দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন ফি না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অত্যন্ত সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে। দেশে কর্মহীন তরুণ-তরুণীর সংখ্যার তুলনায় চাকরির সংখ্যা নগণ্য। একেকজন চাকরিপ্রার্থীকে অসংখ্য জায়গায় চাকরির জন্য আবেদন করতে হয়। কর্মহীন বলে তাঁরা অর্থকষ্টে থাকেন; তদুপরি চাকরির জন্য আবেদন ফির অর্থ সংগ্রহ করা তাঁদের গোদের উপর বিষফোড়ার মতো কষ্টকর হয়ে যায়। তফসিলি ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী চাকরির আবেদন ফি নেওয়ার বিধান প্রত্যাহার করলে বেকার চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীদের অনেক উপকার হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পরামর্শ শুধু চারটি তফসিলি ব্যাংকের ক্ষেত্রেই নয়, সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে তা বিবেচনা করা উচিত বলে আমাদের মনে হয়। বেকার তরুণ-তরুণীরা প্রতিটি চাকরিক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ফি জমা দিতে বাধ্য হন। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে এই ফি ৫০০ টাকা বা তারও বেশি। এই টাকা ফেরতযোগ্যও নয়। অনেক আবেদনকারীকে লিখিত পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকাও হয় না। ফলে তাঁদের অনেক ক্ষতি স্বীকার করেও বারবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করতে হয়।
মাঝেমধ্যে প্রথম আলোর চিঠিপত্র বিভাগে বেকার চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীদের চিঠিপত্র আসে। এমন অভিযোগও কেউ কেউ করেন যে কিছু বেসরকারি সংস্থা চাকরির বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে অর্থ আয় করে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফি হিসেবে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার ইত্যাদি আকারে জমা দিতে বলা হয়। বেকারের দেশে একেকটি পদের জন্য হাজার হাজার প্রার্থী আবেদন করেন; বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকারী চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছে হাজার হাজার ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার জমা হয়, যা অফেরতযোগ্য। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের আয়োজনই করে না। এ ধরনের প্রতারণা থেকে বেকার যুবসমাজকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ফি ছাড়াই চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেয়, তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। যদি সেটা একেবারেই অসম্ভব হয়, তাহলে যেন টাকার অঙ্ক হয় ন্যূনতম। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও একই নিয়ম হওয়া উচিত। আর যেসব প্রতিষ্ঠান সব আবেদনকারীকে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকে না, শুধু বাছাই করা প্রার্থীদের ডাকে, তাদের উচিত বাকি সব আবেদনকারীর ফির টাকা ফেরত দেওয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পরামর্শ শুধু চারটি তফসিলি ব্যাংকের ক্ষেত্রেই নয়, সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে তা বিবেচনা করা উচিত বলে আমাদের মনে হয়। বেকার তরুণ-তরুণীরা প্রতিটি চাকরিক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ফি জমা দিতে বাধ্য হন। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে এই ফি ৫০০ টাকা বা তারও বেশি। এই টাকা ফেরতযোগ্যও নয়। অনেক আবেদনকারীকে লিখিত পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকাও হয় না। ফলে তাঁদের অনেক ক্ষতি স্বীকার করেও বারবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করতে হয়।
মাঝেমধ্যে প্রথম আলোর চিঠিপত্র বিভাগে বেকার চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীদের চিঠিপত্র আসে। এমন অভিযোগও কেউ কেউ করেন যে কিছু বেসরকারি সংস্থা চাকরির বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে অর্থ আয় করে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফি হিসেবে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার ইত্যাদি আকারে জমা দিতে বলা হয়। বেকারের দেশে একেকটি পদের জন্য হাজার হাজার প্রার্থী আবেদন করেন; বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকারী চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছে হাজার হাজার ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার জমা হয়, যা অফেরতযোগ্য। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের আয়োজনই করে না। এ ধরনের প্রতারণা থেকে বেকার যুবসমাজকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ফি ছাড়াই চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেয়, তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। যদি সেটা একেবারেই অসম্ভব হয়, তাহলে যেন টাকার অঙ্ক হয় ন্যূনতম। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও একই নিয়ম হওয়া উচিত। আর যেসব প্রতিষ্ঠান সব আবেদনকারীকে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকে না, শুধু বাছাই করা প্রার্থীদের ডাকে, তাদের উচিত বাকি সব আবেদনকারীর ফির টাকা ফেরত দেওয়া।
No comments