লোডশেডিং ও ষড়যন্ত্র - বিদ্যুতের ঘাটতি দূর করাই আসল কথা
‘মধ্যরাতে মানুষ যখন ঘুমায়, যখন বিদ্যুৎ ব্যবহার কম হয়, তখনো লোডশেডিং হয়। আমি একটা উদাহরণ দিলাম। এমন আরও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং মাঝরাতে যে লোডশেডিং হচ্ছে, তার পেছনেও ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যখন এমন অভিযোগ তুলেছেন, তখন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই।
সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী তুলেছেন, তার একটি রাজনৈতিক দিক রয়েছে। যেকোনো রাষ্ট্রে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় এমন অপশক্তি তৎপর থাকতে পারে এবং সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। সরকার যদি সত্যিই ষড়যন্ত্রের কোনো আভাস পেয়ে থাকে, তবে তা সামাল দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং কারা এই ষড়যন্ত্র করছে, দেশবাসীর কাছে তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। কারণ, আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারের সময়ে ‘ষড়যন্ত্র’ নিয়ে এত অভিযোগ তোলা হয়েছে যে ষড়যন্ত্রের মতো গুরুতর একটি বিষয় অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্ব হারিয়েছে।
বিদ্যুৎ-সমস্যায় দেশ বিপর্যস্ত এবং দেশবাসীকে প্রতিদিন এর ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংকট সমাধানের নানা আশ্বাস দিয়েছে। বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের বড় ধরনের ঘাটতি রয়ে গেছে। আমরা জানি, বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং একই সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। সবকিছু মিলিয়ে দিনে-রাতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ের অত্যাচার থেকে দেশবাসী মুক্তি পায়নি। এখন প্রধানমন্ত্রী গভীর রাতে লোডশেডিংয়ের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। খুবই গুরুতর অভিযোগ। বিদ্যুৎসংকটের বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া ছাড়া দেশবাসীর সামনে কোনো পথ নেই। যদি কারও ষড়যন্ত্রের কারণে জনগণকে গভীর রাতে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগের পর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে যারা বিদ্যুৎসংকটের কারণে এমনিতেই দুর্ভোগের মধ্যে থাকা জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে তুলছে, সেই চক্রকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা আশা করব, সরকার দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে প্রমাণ করবে যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের যথার্থতা রয়েছে।
কোনো চক্র যদি সত্যিই ষড়যন্ত্র করে থাকে, তবে সেটা করা সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি ও সংকটের সুযোগে। সুতরাং বিদ্যুতের ঘাটতি দূর করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। গভীর রাতের লোডশেডিং নাহয় ষড়যন্ত্র, কিন্তু দিনে-রাতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় যে লোডশেডিং হচ্ছে, তার কারণ তো বিদ্যুতের ঘাটতি। এই ঘাটতি দূর করতে পারলে জনগণ যেমন দুর্ভোগ
থেকে মুক্তি পাবে, তেমনি কোনো ষড়যন্ত্রকারীও এর সুযোগ নিতে পারবে না।
সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী তুলেছেন, তার একটি রাজনৈতিক দিক রয়েছে। যেকোনো রাষ্ট্রে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় এমন অপশক্তি তৎপর থাকতে পারে এবং সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। সরকার যদি সত্যিই ষড়যন্ত্রের কোনো আভাস পেয়ে থাকে, তবে তা সামাল দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং কারা এই ষড়যন্ত্র করছে, দেশবাসীর কাছে তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। কারণ, আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারের সময়ে ‘ষড়যন্ত্র’ নিয়ে এত অভিযোগ তোলা হয়েছে যে ষড়যন্ত্রের মতো গুরুতর একটি বিষয় অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্ব হারিয়েছে।
বিদ্যুৎ-সমস্যায় দেশ বিপর্যস্ত এবং দেশবাসীকে প্রতিদিন এর ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংকট সমাধানের নানা আশ্বাস দিয়েছে। বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের বড় ধরনের ঘাটতি রয়ে গেছে। আমরা জানি, বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং একই সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। সবকিছু মিলিয়ে দিনে-রাতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ের অত্যাচার থেকে দেশবাসী মুক্তি পায়নি। এখন প্রধানমন্ত্রী গভীর রাতে লোডশেডিংয়ের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। খুবই গুরুতর অভিযোগ। বিদ্যুৎসংকটের বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া ছাড়া দেশবাসীর সামনে কোনো পথ নেই। যদি কারও ষড়যন্ত্রের কারণে জনগণকে গভীর রাতে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগের পর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে যারা বিদ্যুৎসংকটের কারণে এমনিতেই দুর্ভোগের মধ্যে থাকা জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে তুলছে, সেই চক্রকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা আশা করব, সরকার দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে প্রমাণ করবে যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের যথার্থতা রয়েছে।
কোনো চক্র যদি সত্যিই ষড়যন্ত্র করে থাকে, তবে সেটা করা সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি ও সংকটের সুযোগে। সুতরাং বিদ্যুতের ঘাটতি দূর করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। গভীর রাতের লোডশেডিং নাহয় ষড়যন্ত্র, কিন্তু দিনে-রাতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় যে লোডশেডিং হচ্ছে, তার কারণ তো বিদ্যুতের ঘাটতি। এই ঘাটতি দূর করতে পারলে জনগণ যেমন দুর্ভোগ
থেকে মুক্তি পাবে, তেমনি কোনো ষড়যন্ত্রকারীও এর সুযোগ নিতে পারবে না।
No comments