ইরানের জুনদাল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র গত বুধবার ইরানের সুন্নি বিদ্রোহী গোষ্ঠী জুনদাল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ইরানের সিরিজ বোমা হামলার জন্য জুনদাল্লাহকে দায়ী করা হয়। ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।
জুনদাল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দেওয়ার ফলে কোনো মার্কিন নাগরিক বা সংগঠন জুনদাল্লাহকে সহায়তা দিতে বা কোনো রকম সম্পর্ক রাখতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠনটির সব সম্পদ বা তহবিল আটকে দেওয়া হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জুনদাল্লাহ ২০০৩ সাল থেকে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো শুরু করে। এ পর্যন্ত গোষ্ঠীটির হামলায় ইরানের বহু বেসামরিক নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হতাহত হয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুনদাল্লাহ সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। এর মধ্যে প্রধান কৌশলগুলো হলো আত্মঘাতী হামলা, অতর্কিত আক্রমণ, অপহরণ প্রভৃতি।
জুনদাল্লাহর মতে, তারা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের জাতিগত বালুচ সম্প্রদায়ের স্বার্থের জন্য লড়াই করছে। গত জুলাইয়ে সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদানের প্রধান মসজিদে হামলা চালায় গোষ্ঠীটি। ইরানের এলিট ফোর্স রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যদের লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় ২৮ জন নিহত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এই হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে জুনদাল্লাহর মতো অনেক সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাস্ত বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সব দেশের সাধারণ দায়িত্ব। জুনদাল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়াকে আমরা স্বাগত জানাই।’
চার ব্যক্তিকে আটক করেছে ইরান: ইরান ‘ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চার সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মারিভান থেকে চার ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে গত দুই বছরে অর্থের বিনিময়ে পাঁচজনকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন, ইরাকের সুলায়মানিয়া শহরে জলিল ফাত্তাহি নামের এক ব্যক্তির নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড চালান। প্রতি হত্যাকাণ্ডের জন্য ২০ হাজার করে মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা তা পাননি। জলিল ফাত্তাহি যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ খবর প্রচারের পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জুনদাল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দেওয়ার ফলে কোনো মার্কিন নাগরিক বা সংগঠন জুনদাল্লাহকে সহায়তা দিতে বা কোনো রকম সম্পর্ক রাখতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠনটির সব সম্পদ বা তহবিল আটকে দেওয়া হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জুনদাল্লাহ ২০০৩ সাল থেকে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো শুরু করে। এ পর্যন্ত গোষ্ঠীটির হামলায় ইরানের বহু বেসামরিক নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হতাহত হয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুনদাল্লাহ সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। এর মধ্যে প্রধান কৌশলগুলো হলো আত্মঘাতী হামলা, অতর্কিত আক্রমণ, অপহরণ প্রভৃতি।
জুনদাল্লাহর মতে, তারা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের জাতিগত বালুচ সম্প্রদায়ের স্বার্থের জন্য লড়াই করছে। গত জুলাইয়ে সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদানের প্রধান মসজিদে হামলা চালায় গোষ্ঠীটি। ইরানের এলিট ফোর্স রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যদের লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় ২৮ জন নিহত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এই হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে জুনদাল্লাহর মতো অনেক সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাস্ত বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সব দেশের সাধারণ দায়িত্ব। জুনদাল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়াকে আমরা স্বাগত জানাই।’
চার ব্যক্তিকে আটক করেছে ইরান: ইরান ‘ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চার সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মারিভান থেকে চার ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে গত দুই বছরে অর্থের বিনিময়ে পাঁচজনকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন, ইরাকের সুলায়মানিয়া শহরে জলিল ফাত্তাহি নামের এক ব্যক্তির নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড চালান। প্রতি হত্যাকাণ্ডের জন্য ২০ হাজার করে মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা তা পাননি। জলিল ফাত্তাহি যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ খবর প্রচারের পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
No comments