শেষ ষোলোয় চেলসি বায়ার্ন রিয়াল
তাঁর জার্সি নম্বর ৯। কিন্তু পরশু আরও দুটি জার্সি বানিয়ে নিয়ে এসেছিলেন ফিলিপ্পো ইনজাগি। ৬৮ মিনিটে প্রথম গোল করেই ছুটলেন বানিয়ে আনা সেই জার্সির একটি দেখাতে। তাতে জার্সি নম্বর খেলা ৬৯। ১০ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল। এবার জার্সি নম্বর ৭০।
রিয়াল মাদ্রিদের প্রান্তে রাউল আর নেই। থাকলে ভালো করতেন। তাঁর জন্যই তো আসলে ওই জার্সি দুটি বানিয়ে রেখেছিলেন এসি মিলান স্ট্রাইকার। এতক্ষণে নিশ্চয়ই আসল ঘটনা খোলাসা হয়ে গেছে। ক্লাব পর্যায়ে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ গোল নিয়ে রাউল-ইনজাগির দ্বৈরথ চলছেই। আগের মাসেই হ্যাপোয়েল তেল আবিবের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ইনজাগিকে টপকে গিয়েছিলেন রাউল (৬৯)। পরশু জোড়া গোলেই পাল্টা জবাব দিলেন ইনজাগি (৭০)।
শুধু এই ব্যক্তিগত প্রাপ্তিটাই অবশ্য শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হয়েছে বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখিয়ে চলা ইনজাগির। ৩৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের দল ২-২ গোলে ড্র করেছে রিয়ালের সঙ্গে। জয়ই পেতে পারত। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার একদম আগ মুহূর্তে পেদ্রো লিওনের গোলে সান সিরো থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে রিয়াল। প্রথমার্ধের শেষ প্রান্তে প্রথম গোলটি করেছিলেন গঞ্জালো হিগুয়েইন।
এই ড্রই অবশ্য রিয়ালকে তুলে দিয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। স্পার্তাক মস্কোকে নিজেদের মাঠে চেলসি আর সিএফআর ক্লুজ তাদেরই মাঠে উড়িয়ে দিয়ে নকআউট পর্বে চলে গেছে বায়ার্ন মিউনিখও। শাখতার দোনেৎস্কের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়ায় আর্সেনালকে এখনো আটকে থাকতে হলো। তবে পরশু সত্যিকারের গোল-উৎসব করেছে মার্শেই। গিগন্যাকের হ্যাটট্রিকে জিলিনাকে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ৭-০ গোলে।
তবে সবার চোখ আটকে ছিল আসলে মিলান-রিয়াল ম্যাচে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা দুই দল, যাদের মধ্যে আছে ষোলোটি শিরোপা—তাদের খেলা দেখার জন্য তৃষিত চোখেই তাকিয়ে থাকে ফুটবল-দুনিয়া। ফুটবল-পিয়াসীদের চাওয়াটা সার্থক হয়েছে। আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণে ঠাসা দুর্দান্ত এক ম্যাচই হয়েছে সান সিরোতে।
বায়ার্ন খুদে ক্লুজকে দাঁড়ানোর সুযোগই দেয়নি। ১২ ও ২৪ মিনিটে মারিও গোমেজ জোড়া গোল করে প্রথমার্ধেই যেন ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল হজম করে ক্লুজ। ৭১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন গোমেজ। শেষে গোল করেছেন টমাস মুলার।
স্টামফোর্ড ব্রিজে কিন্তু প্রথমার্ধে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল মস্কো। চেলসিকে গোলের খাতা খুলতেই দেয়নি রুশ ক্লাবটি। কিন্তু ৪৯ মিনিটে নিকোলাস আনেলকাকে দিয়ে শুরু, এরপর ৬২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দিদিয়ের দ্রগবা; ৬৬ ও ৯০ মিনিটে ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচের জোড়া গোল দ্বিতীয় রাউন্ডে তুলে দেয় চেলসিকে।
দ্বিতীয়ার্ধে এই তিন ‘বড়’র সঙ্গী হতে পারত আর্সেনালও। থিও ওয়ালকটের গোলে মাত্র ১০ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পেছনে কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার দায়ী করেছেন শিষ্যদের আত্মতৃপ্তিকেই।
ওদিকে রিয়াল কোচ মরিনহো আবার তুলাধোনা করেছেন রেফারিকে। ইনজাগির দ্বিতীয় গোলটি অফসাইড থেকেই হয়েছে দাবি তাঁর। যদিও রেফারির আনুকূল্য রিয়াল বেশি পেয়েছে কি না—এমন প্রশ্ন উঠেছে মিলান শিবিরি থেকেও। মিলানের জন্য আক্ষেপ হতে পারে পাঁচ মিনিটের ইনজুরি সময়ও। ওই বাড়তি সময়েই তো সমতা ফেরাল রিয়াল। যদিও মরিনহো বলছেন, ‘আমরা এই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছি। অতিরিক্ত সময়ে পাওয়া গোলটি আমাদের প্রাপ্যই ছিল।’
গ্রুপ পর্বে হাতে দুটি ম্যাচ, তার পরও চাইলে মরিনহো দ্বিতীয় রাউন্ডের ছক কষা শুরু করে দিতে পারেন। ‘স্পেশাল ওয়ান’ জেনে হয়তো তাগিদ অনুভব করতে পারেন, তাঁরই উত্তরসূরি কার্লো আনচেলত্তি এখনই ফাইনালের ছক কষছেন!
রিয়াল মাদ্রিদের প্রান্তে রাউল আর নেই। থাকলে ভালো করতেন। তাঁর জন্যই তো আসলে ওই জার্সি দুটি বানিয়ে রেখেছিলেন এসি মিলান স্ট্রাইকার। এতক্ষণে নিশ্চয়ই আসল ঘটনা খোলাসা হয়ে গেছে। ক্লাব পর্যায়ে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ গোল নিয়ে রাউল-ইনজাগির দ্বৈরথ চলছেই। আগের মাসেই হ্যাপোয়েল তেল আবিবের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ইনজাগিকে টপকে গিয়েছিলেন রাউল (৬৯)। পরশু জোড়া গোলেই পাল্টা জবাব দিলেন ইনজাগি (৭০)।
শুধু এই ব্যক্তিগত প্রাপ্তিটাই অবশ্য শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হয়েছে বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখিয়ে চলা ইনজাগির। ৩৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের দল ২-২ গোলে ড্র করেছে রিয়ালের সঙ্গে। জয়ই পেতে পারত। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার একদম আগ মুহূর্তে পেদ্রো লিওনের গোলে সান সিরো থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে রিয়াল। প্রথমার্ধের শেষ প্রান্তে প্রথম গোলটি করেছিলেন গঞ্জালো হিগুয়েইন।
এই ড্রই অবশ্য রিয়ালকে তুলে দিয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। স্পার্তাক মস্কোকে নিজেদের মাঠে চেলসি আর সিএফআর ক্লুজ তাদেরই মাঠে উড়িয়ে দিয়ে নকআউট পর্বে চলে গেছে বায়ার্ন মিউনিখও। শাখতার দোনেৎস্কের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়ায় আর্সেনালকে এখনো আটকে থাকতে হলো। তবে পরশু সত্যিকারের গোল-উৎসব করেছে মার্শেই। গিগন্যাকের হ্যাটট্রিকে জিলিনাকে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ৭-০ গোলে।
তবে সবার চোখ আটকে ছিল আসলে মিলান-রিয়াল ম্যাচে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা দুই দল, যাদের মধ্যে আছে ষোলোটি শিরোপা—তাদের খেলা দেখার জন্য তৃষিত চোখেই তাকিয়ে থাকে ফুটবল-দুনিয়া। ফুটবল-পিয়াসীদের চাওয়াটা সার্থক হয়েছে। আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণে ঠাসা দুর্দান্ত এক ম্যাচই হয়েছে সান সিরোতে।
বায়ার্ন খুদে ক্লুজকে দাঁড়ানোর সুযোগই দেয়নি। ১২ ও ২৪ মিনিটে মারিও গোমেজ জোড়া গোল করে প্রথমার্ধেই যেন ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল হজম করে ক্লুজ। ৭১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন গোমেজ। শেষে গোল করেছেন টমাস মুলার।
স্টামফোর্ড ব্রিজে কিন্তু প্রথমার্ধে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল মস্কো। চেলসিকে গোলের খাতা খুলতেই দেয়নি রুশ ক্লাবটি। কিন্তু ৪৯ মিনিটে নিকোলাস আনেলকাকে দিয়ে শুরু, এরপর ৬২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দিদিয়ের দ্রগবা; ৬৬ ও ৯০ মিনিটে ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচের জোড়া গোল দ্বিতীয় রাউন্ডে তুলে দেয় চেলসিকে।
দ্বিতীয়ার্ধে এই তিন ‘বড়’র সঙ্গী হতে পারত আর্সেনালও। থিও ওয়ালকটের গোলে মাত্র ১০ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পেছনে কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার দায়ী করেছেন শিষ্যদের আত্মতৃপ্তিকেই।
ওদিকে রিয়াল কোচ মরিনহো আবার তুলাধোনা করেছেন রেফারিকে। ইনজাগির দ্বিতীয় গোলটি অফসাইড থেকেই হয়েছে দাবি তাঁর। যদিও রেফারির আনুকূল্য রিয়াল বেশি পেয়েছে কি না—এমন প্রশ্ন উঠেছে মিলান শিবিরি থেকেও। মিলানের জন্য আক্ষেপ হতে পারে পাঁচ মিনিটের ইনজুরি সময়ও। ওই বাড়তি সময়েই তো সমতা ফেরাল রিয়াল। যদিও মরিনহো বলছেন, ‘আমরা এই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছি। অতিরিক্ত সময়ে পাওয়া গোলটি আমাদের প্রাপ্যই ছিল।’
গ্রুপ পর্বে হাতে দুটি ম্যাচ, তার পরও চাইলে মরিনহো দ্বিতীয় রাউন্ডের ছক কষা শুরু করে দিতে পারেন। ‘স্পেশাল ওয়ান’ জেনে হয়তো তাগিদ অনুভব করতে পারেন, তাঁরই উত্তরসূরি কার্লো আনচেলত্তি এখনই ফাইনালের ছক কষছেন!
No comments