ভ্লাদিমির মায়াকভস্কি ও আন্দ্রেই ভজ্নেসেন্স্কির দুটি কবিতা
ভিন্নরুচির্হিঃ লোকাঃ
ভ্লাদিমির মায়াকভস্কি
ঘোড়াটি
দেখে উটটিকে
নিজস্ব কর্কশ অট্টহাস্যে লুটোপুটি
ফেটে প’ড়ে বলে, “মন,
চেয়ে দ্যাখ্,
ঘোড়াত্বের কী-সাঙ্ঘাতিক এ-
অতিরঞ্জন!”
বিরক্ত উটটি তখন:
“তুই — ঘোড়া!
নাহ্!
তুই তো অপরিণত এক
উটই।”
শুধু বিধাতাই,
সর্বজ্ঞ যে-জন,
জানত, ওরা
স্তন্যপায়ী
দু’টি
ভিন্ন ঘরানার।
------------------
নাক
আন্দ্রেই ভজ্নেসেন্স্কি
নাক নাকি বাড়ে মানুষের আজীবন
(বৈজ্ঞানিকের গবেষণা অনুযায়ী)।
এই গতকাল বললেন ডাক্তার:
‘মাথায় তোমার যত বুদ্ধিই থাক্,
নাসাটা তোমার পুরো জ’মে গেছে, ভাই।’
তবে ঠাণ্ডায় বাইরে যাস্ নে আর,
নাক!
আমার উপরে, তোমার উপরে, আর ঐ কাপুচিন
মঠবাসীদের ’পরে
চিকিৎসা-বিদ্যার কিছু জানা সূত্রের নির্ভরে,
ঘড়ির মতন নাগাড়ে, বিরতিহীন
সোল্লাসে বাড়ে নাসাতরু দিনদিন।
রাতারাতি তারা বেড়ে চলে অনুখন
প্রতি নাগরিকে, বিশেষ বা সাধারণ,
সান্ত্রির তথা মন্ত্রীর ’পরে, ধনী তথা গরিবের,
প্যাঁচার মতন নিশি-ডাক ছেড়ে ছেড়ে,
ঠাণ্ডা এবং প্রায়-নিষ্ক্রিয়, মেরে
ফাটিয়ে দিয়েছে মুষ্টিযোদ্ধা যাকে,
অথবা থেঁৎলে গিয়েছে যা দরোজায়,
আর আমাদের স্ত্রী-জাতি পড়োশিদের
সেগুলি যে, আহা, তুরপুন হয়ে ঢোকে
কত দুয়ারের চাবির ছিদ্রে, হায়!
গোগল-মরমি, ঝঞ্ঝেটে আত্মাটি
ধ্যানে জেনেছিল ইহাদের খুঁটিনাটি।
আমার ইয়ার বুগিন্্স্, মদের ঘোরে
স্বপ্ন দেখল, যেন গির্জার চূড়ার মতন চোখা
হয়ে, ঝাড়বাতি-বালতি-গামলা টুটে,
জাগিয়ে এবং বিঁধে ফেলে যত অবাক্ সিলিং, পরে
গেঁথে মেঝেগুলি-খোঁটে
রিসিট যেমন গেঁথে রাখা হয়-তারপর একরোখা
উঠে গেল নির্বাক্
উপরে, আরও উপরে
তার আপনার নাক।
‘এর মানেটা কী?’ পরদিন প্রাতে আমাকেই শুধাল সে।
‘হুশিয়ারি কেয়ামতের: হয়তো,’ আমি বলি, ‘তোর বই-
পত্রের হ’তে পারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শীঘ্রই।’
তিরিশ তারিখে বন্ধু-বেচারা ঢুকে গেল কারাগারে।
কেন, হে প্রধান নাক-বিধায়ক, কেন
বাড়ে আমাদের নাকগুলি, আর কমে আয়ু আমাদের?
কেন এই ছোট মাংসপিণ্ড রাতের অন্ধকারে
আমাদের শুষে ভ্যাম্পায়ার বা সাক্শন-পাম্প্-হেন
খালি করে একেবারে?
এস্কিমো জাতি, এরকম শোনা যায়,
মুখের বদলে নাক দিয়ে চুমু খায়।
আমাদের মাঝে এখন অবধি চলন হয় নি এর।
(ডব্ল্যু এইচ অডেনের ইংরেজি অনুবাদ থেকে)
================
ভাদিমির মায়াকভস্কি (জন্ম. বাঘদাতি, জর্জিয়া ১৯/৭/১৮৯৩ — ১৪/৫/১৯৩০)
---------------------
bdnews24 এর সৌজন্যে
অনুবাদ: সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ
এই কবিতা গুলো পড়া হয়েছে...
ভ্লাদিমির মায়াকভস্কি
ঘোড়াটি
দেখে উটটিকে
নিজস্ব কর্কশ অট্টহাস্যে লুটোপুটি
ফেটে প’ড়ে বলে, “মন,
চেয়ে দ্যাখ্,
ঘোড়াত্বের কী-সাঙ্ঘাতিক এ-
অতিরঞ্জন!”
বিরক্ত উটটি তখন:
“তুই — ঘোড়া!
নাহ্!
তুই তো অপরিণত এক
উটই।”
শুধু বিধাতাই,
সর্বজ্ঞ যে-জন,
জানত, ওরা
স্তন্যপায়ী
দু’টি
ভিন্ন ঘরানার।
------------------
নাক
আন্দ্রেই ভজ্নেসেন্স্কি
নাক নাকি বাড়ে মানুষের আজীবন
(বৈজ্ঞানিকের গবেষণা অনুযায়ী)।
এই গতকাল বললেন ডাক্তার:
‘মাথায় তোমার যত বুদ্ধিই থাক্,
নাসাটা তোমার পুরো জ’মে গেছে, ভাই।’
তবে ঠাণ্ডায় বাইরে যাস্ নে আর,
নাক!
আমার উপরে, তোমার উপরে, আর ঐ কাপুচিন
মঠবাসীদের ’পরে
চিকিৎসা-বিদ্যার কিছু জানা সূত্রের নির্ভরে,
ঘড়ির মতন নাগাড়ে, বিরতিহীন
সোল্লাসে বাড়ে নাসাতরু দিনদিন।
রাতারাতি তারা বেড়ে চলে অনুখন
প্রতি নাগরিকে, বিশেষ বা সাধারণ,
সান্ত্রির তথা মন্ত্রীর ’পরে, ধনী তথা গরিবের,
প্যাঁচার মতন নিশি-ডাক ছেড়ে ছেড়ে,
ঠাণ্ডা এবং প্রায়-নিষ্ক্রিয়, মেরে
ফাটিয়ে দিয়েছে মুষ্টিযোদ্ধা যাকে,
অথবা থেঁৎলে গিয়েছে যা দরোজায়,
আর আমাদের স্ত্রী-জাতি পড়োশিদের
সেগুলি যে, আহা, তুরপুন হয়ে ঢোকে
কত দুয়ারের চাবির ছিদ্রে, হায়!
গোগল-মরমি, ঝঞ্ঝেটে আত্মাটি
ধ্যানে জেনেছিল ইহাদের খুঁটিনাটি।
আমার ইয়ার বুগিন্্স্, মদের ঘোরে
স্বপ্ন দেখল, যেন গির্জার চূড়ার মতন চোখা
হয়ে, ঝাড়বাতি-বালতি-গামলা টুটে,
জাগিয়ে এবং বিঁধে ফেলে যত অবাক্ সিলিং, পরে
গেঁথে মেঝেগুলি-খোঁটে
রিসিট যেমন গেঁথে রাখা হয়-তারপর একরোখা
উঠে গেল নির্বাক্
উপরে, আরও উপরে
তার আপনার নাক।
‘এর মানেটা কী?’ পরদিন প্রাতে আমাকেই শুধাল সে।
‘হুশিয়ারি কেয়ামতের: হয়তো,’ আমি বলি, ‘তোর বই-
পত্রের হ’তে পারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শীঘ্রই।’
তিরিশ তারিখে বন্ধু-বেচারা ঢুকে গেল কারাগারে।
কেন, হে প্রধান নাক-বিধায়ক, কেন
বাড়ে আমাদের নাকগুলি, আর কমে আয়ু আমাদের?
কেন এই ছোট মাংসপিণ্ড রাতের অন্ধকারে
আমাদের শুষে ভ্যাম্পায়ার বা সাক্শন-পাম্প্-হেন
খালি করে একেবারে?
এস্কিমো জাতি, এরকম শোনা যায়,
মুখের বদলে নাক দিয়ে চুমু খায়।
আমাদের মাঝে এখন অবধি চলন হয় নি এর।
(ডব্ল্যু এইচ অডেনের ইংরেজি অনুবাদ থেকে)
================
ভাদিমির মায়াকভস্কি (জন্ম. বাঘদাতি, জর্জিয়া ১৯/৭/১৮৯৩ — ১৪/৫/১৯৩০)
---------------------
আন্দ্রেই ভজ্নেসেন্স্কি (জন্ম. মস্কো, ১২/৫/১৯৩৩)
------------------
bdnews24 এর সৌজন্যে
অনুবাদ: সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ
এই কবিতা গুলো পড়া হয়েছে...
No comments