প্রিয় মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সমতার লড়াই
ইতিহাসে ঠাঁই পাওয়া এক ম্যাচের অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে’—মোহালি টেস্ট শেষে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো একই সুর ছিল রিকি পন্টিংয়ের কণ্ঠেও। তবে আসল কথাটা বলেছেন মাইক হাসি। ঐতিহাসিক ম্যাচের অংশ হওয়ার তৃপ্তি আছে, কিন্তু তাতে পরাজয়ের জ্বালাটা যে অনেক বেশি! অস্ট্রেলীয়রা তাই নাকি টগবগ করে ফুটছে। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিটা এবারও অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না, কিন্তু একটা সম্মান নিয়ে তো ফিরতে হবে। দ্বিতীয় টেস্ট হারলে যে হোয়াইটওয়াশ হয়ে মানটাও যাবে!
সমতা ফেরানোর লড়াইয়ে অনেক কিছুই অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। ‘ভারতের মাটিতে টেস্ট খেললে কোন মাঠে খেলতে চাও?’ অস্ট্রেলিয়াকে এই সুযোগ দিলে তারা যে মাঠকে বিনা দ্বিধায় বেছে নেবে, সেখানেই দ্বিতীয় টেস্ট। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, যেখানে চার টেস্ট খেলে একটিতেও হারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৮ সালে প্রথম দুই টেস্টে হারার পর এখানেই পেয়েছিল সান্ত্বনার জয়। ২০০৪ সালে এখানে জিতেই শুরু হয়েছিল ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পথে যাত্রা।
এর ঠিক উল্টো অবস্থানে আবার ভারত। দেশের মাটিতে একমাত্র এই মাঠেই ভারতের রেকর্ড স্বাগতিকের মতো নয়, জয়ের চেয়ে হার বেশি! চিন্নাস্বামীতে টেস্ট জয়ের অনুভূতির সঙ্গে পরিচয় আছে এই দলের শুধু শচীন টেন্ডুলকারের। সর্বশেষ সেই জয়ের বয়সও ১৫ বছর হতে চলল! শুধু পরিসংখ্যান নয়, ভারতের বাধা নিয়তিও। মোহালি তাদের শুধু স্মরণীয় এই জয়ই উপহার দেয়নি, কিছু কেড়েও নিয়েছে। মোহালিতে পাওয়া চোট এই টেস্ট খেলতে দিচ্ছে না ওপেনার গৌতম গম্ভীর ও ব্যাটে-বলে মোহালি জয়ের অন্যতম নায়ক ইশান্ত শর্মাকে। জয়দেব উনাদকাট ও অভিনব মুকুন্দকে ডাকা হয়েছে স্কোয়াডে, তবে একাদশে নিশ্চিতভাবেই ঢুকবেন মুরালি বিজয় ও শ্রীশান্ত।
ভারতের মতো না হলেও চোট-দুশ্চিন্তা আছে অস্ট্রেলিয়া শিবিরেও। চোটের কারণে ডগ বলিঞ্জারের মাঠ ছাড়াকে মোহালিতে হারের অন্যতম কারণ বলেছিলেন পন্টিং। বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে শঙ্কা আছে এই টেস্টেও। সর্বশেষ দুটো প্র্যাকটিস সেশনের একটিতেও বোলিং করতে দেখা যায়নি তাঁকে। পয়মন্ত ভেন্যুও তাই পন্টিংয়ের কপালের ভাঁজ কমাতে পারছে না। দুশ্চিন্তা আছে আরও। যে নিম্নচাপ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডের অপমৃত্যু ঘটাল, সেই নিম্নচাপের প্রভাবেই তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, এই টেস্টের পাঁচ দিনেও যথেষ্ট বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি। সেটা সত্যি হলে, অস্ট্রেলিয়ারই বেশি শঙ্কিত হওয়ার কথা। ম্যাচ জেতার তাগিদ তো তাদেরই বেশি!
অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ—সুস্থ হয়ে উঠছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। মোহালি টেস্টের পর যাঁকে নিয়ে পন্টিং একটু ঘুরিয়ে প্রশস্তি গেয়েছিলেন লক্ষ্মণের, ‘আশা করি, ওর পিঠের ব্যথা ভালো হবে না, পরের টেস্টে ও খেলতে পারবে না।’ বাবরি মসজিদ রায়ের সঙ্গে মিলিয়ে একটা রসিকতা নাকি চালু হয়ে গেছে ভারতজুড়ে, ‘ভারতজুড়ে প্রশ্ন রামের জন্ম কোথায়, আর অস্ট্রেলিয়া-জুড়ে প্রশ্ন, লক্ষ্মণটার জন্ম হলো কেন!’
কে জানে, ব্যাঙ্গালোর টেস্ট শেষে নতুন কোনো রসিকতা চালু হয়ে যায় কি না!
সমতা ফেরানোর লড়াইয়ে অনেক কিছুই অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। ‘ভারতের মাটিতে টেস্ট খেললে কোন মাঠে খেলতে চাও?’ অস্ট্রেলিয়াকে এই সুযোগ দিলে তারা যে মাঠকে বিনা দ্বিধায় বেছে নেবে, সেখানেই দ্বিতীয় টেস্ট। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, যেখানে চার টেস্ট খেলে একটিতেও হারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৮ সালে প্রথম দুই টেস্টে হারার পর এখানেই পেয়েছিল সান্ত্বনার জয়। ২০০৪ সালে এখানে জিতেই শুরু হয়েছিল ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পথে যাত্রা।
এর ঠিক উল্টো অবস্থানে আবার ভারত। দেশের মাটিতে একমাত্র এই মাঠেই ভারতের রেকর্ড স্বাগতিকের মতো নয়, জয়ের চেয়ে হার বেশি! চিন্নাস্বামীতে টেস্ট জয়ের অনুভূতির সঙ্গে পরিচয় আছে এই দলের শুধু শচীন টেন্ডুলকারের। সর্বশেষ সেই জয়ের বয়সও ১৫ বছর হতে চলল! শুধু পরিসংখ্যান নয়, ভারতের বাধা নিয়তিও। মোহালি তাদের শুধু স্মরণীয় এই জয়ই উপহার দেয়নি, কিছু কেড়েও নিয়েছে। মোহালিতে পাওয়া চোট এই টেস্ট খেলতে দিচ্ছে না ওপেনার গৌতম গম্ভীর ও ব্যাটে-বলে মোহালি জয়ের অন্যতম নায়ক ইশান্ত শর্মাকে। জয়দেব উনাদকাট ও অভিনব মুকুন্দকে ডাকা হয়েছে স্কোয়াডে, তবে একাদশে নিশ্চিতভাবেই ঢুকবেন মুরালি বিজয় ও শ্রীশান্ত।
ভারতের মতো না হলেও চোট-দুশ্চিন্তা আছে অস্ট্রেলিয়া শিবিরেও। চোটের কারণে ডগ বলিঞ্জারের মাঠ ছাড়াকে মোহালিতে হারের অন্যতম কারণ বলেছিলেন পন্টিং। বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে শঙ্কা আছে এই টেস্টেও। সর্বশেষ দুটো প্র্যাকটিস সেশনের একটিতেও বোলিং করতে দেখা যায়নি তাঁকে। পয়মন্ত ভেন্যুও তাই পন্টিংয়ের কপালের ভাঁজ কমাতে পারছে না। দুশ্চিন্তা আছে আরও। যে নিম্নচাপ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডের অপমৃত্যু ঘটাল, সেই নিম্নচাপের প্রভাবেই তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, এই টেস্টের পাঁচ দিনেও যথেষ্ট বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি। সেটা সত্যি হলে, অস্ট্রেলিয়ারই বেশি শঙ্কিত হওয়ার কথা। ম্যাচ জেতার তাগিদ তো তাদেরই বেশি!
অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ—সুস্থ হয়ে উঠছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। মোহালি টেস্টের পর যাঁকে নিয়ে পন্টিং একটু ঘুরিয়ে প্রশস্তি গেয়েছিলেন লক্ষ্মণের, ‘আশা করি, ওর পিঠের ব্যথা ভালো হবে না, পরের টেস্টে ও খেলতে পারবে না।’ বাবরি মসজিদ রায়ের সঙ্গে মিলিয়ে একটা রসিকতা নাকি চালু হয়ে গেছে ভারতজুড়ে, ‘ভারতজুড়ে প্রশ্ন রামের জন্ম কোথায়, আর অস্ট্রেলিয়া-জুড়ে প্রশ্ন, লক্ষ্মণটার জন্ম হলো কেন!’
কে জানে, ব্যাঙ্গালোর টেস্ট শেষে নতুন কোনো রসিকতা চালু হয়ে যায় কি না!
No comments