সামুরাইয়ে বধ আর্জেন্টিনা
অক্টোবর মাসটা শিনজি ওকাজাকির জন্য খুবই পয়মন্ত। বিশেষ করে ৮ অক্টোবর। এ মাসেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল তাঁর দুই বছর আগে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দুটি হ্যাটট্রিকই এ মাসে। প্রথমটি গত বছরের ৮ অক্টোবরে। এক বছর পর ঠিক একই দিনে শিনজি তাঁর জীবনের স্মরণীয়তম গোলটি করলেন। যে গোলে বলা যায় ইতিহাস গড়ল জাপান। আর্জেন্টিনাকে বধ করল সূর্যোদয়ের দেশ!
১৯ মিনিটে করা এই গোলটি অবশ্যই অনেক দিন মনে রাখবেন শিনজি। কিন্তু প্রীতি ম্যাচ বলে এর জয়-পরাজয় নিয়ে আসলে কিছুই আসে-যায় না। তা-ই কি! এই পরাজয় কি সার্জিও বাতিস্তার ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ করল না। ডিয়েগো ম্যারাডোনার অনুসারীরা কি সোচ্চার হবে না! আর্জেন্টিনার মানুষ দ্রুতই ভুলে যাবে আগের ম্যাচেই স্পেনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দেওয়ার কথা। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের জন্য এই পরাজয় হতাশার হলেও ম্যারাডোনার অনুসারীরা হয়তো তাতেও খুঁজে নেবে আশার আলো!
এই জয়ে সবচেয়ে উপকার হলো আসলে আলবার্তো জাকেরনির। এসি মিলানের সাবেক কোচ জয় দিয়ে শুরু করলেন জাতীয় দলে। ‘আর্জেন্টিনাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই’—এই মন্ত্র তিনি পড়ে আসছিলেন কদিন থেকেই। হয়তো সেটি ছিল গোল কম হজম করার জন্যই সাহস দেওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল ব্লু সামুরাইরা।
অবশ্য ম্যাচের ফল হতে পারত অন্য রকম। স্বাভাবিকভাবেই আর্জেন্টিনার আক্রমণের ধার এ ম্যাচে ছিল বেশি। লিওনেল মেসি সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। ম্যাচের শুরুর দিকে তাঁর দুটো ভালো আক্রমণ প্রতিহত করে দেওয়ার ফাঁকেই দলকে এগিয়ে নেন শিনজি।
গোলদাতা হিসেবে অবশ্য শিনজির বদলে থাকতে পারত মাকোতো হাসেবের নাম। কেইসুকে হোন্ডার বাড়িয়ে দেওয়া বলে জোরাল শট নিয়েছিলেন মাকোতো। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো তা ঠেকিয়ে দিলে ফিরতি বল জালে পাঠিয়ে সাইতামা স্টেডিয়ামকে উল্লাসে মাতিয়ে দেন শিনজি। ২৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কার্লোস তেভেজ।
আক্রমণের ধার বাড়াতে ৩৫ মিনিটেই গঞ্জালো হিগুয়েইনকে নামিয়ে দেন বাতিস্তা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জাপানি রক্ষণেরই জয় হয়েছে। হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছে রাফায়েল নাদালকে! হ্যাঁ, নাদালই। পাশের শহরেই টেনিস খেলতে যাওয়া নাদাল গিয়েছিলেন বন্ধু মেসির খেলা দেখতে। জাপান ওপেনে নাদাল কালই জয় পেয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। মেসির সঙ্গে ডিনার করার কথাও ছিল তাঁর।
ডিনার নাদালের যেমনই লাগুক, মেসির বিস্বাদই লাগার কথা!
১৯ মিনিটে করা এই গোলটি অবশ্যই অনেক দিন মনে রাখবেন শিনজি। কিন্তু প্রীতি ম্যাচ বলে এর জয়-পরাজয় নিয়ে আসলে কিছুই আসে-যায় না। তা-ই কি! এই পরাজয় কি সার্জিও বাতিস্তার ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ করল না। ডিয়েগো ম্যারাডোনার অনুসারীরা কি সোচ্চার হবে না! আর্জেন্টিনার মানুষ দ্রুতই ভুলে যাবে আগের ম্যাচেই স্পেনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দেওয়ার কথা। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের জন্য এই পরাজয় হতাশার হলেও ম্যারাডোনার অনুসারীরা হয়তো তাতেও খুঁজে নেবে আশার আলো!
এই জয়ে সবচেয়ে উপকার হলো আসলে আলবার্তো জাকেরনির। এসি মিলানের সাবেক কোচ জয় দিয়ে শুরু করলেন জাতীয় দলে। ‘আর্জেন্টিনাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই’—এই মন্ত্র তিনি পড়ে আসছিলেন কদিন থেকেই। হয়তো সেটি ছিল গোল কম হজম করার জন্যই সাহস দেওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল ব্লু সামুরাইরা।
অবশ্য ম্যাচের ফল হতে পারত অন্য রকম। স্বাভাবিকভাবেই আর্জেন্টিনার আক্রমণের ধার এ ম্যাচে ছিল বেশি। লিওনেল মেসি সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। ম্যাচের শুরুর দিকে তাঁর দুটো ভালো আক্রমণ প্রতিহত করে দেওয়ার ফাঁকেই দলকে এগিয়ে নেন শিনজি।
গোলদাতা হিসেবে অবশ্য শিনজির বদলে থাকতে পারত মাকোতো হাসেবের নাম। কেইসুকে হোন্ডার বাড়িয়ে দেওয়া বলে জোরাল শট নিয়েছিলেন মাকোতো। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো তা ঠেকিয়ে দিলে ফিরতি বল জালে পাঠিয়ে সাইতামা স্টেডিয়ামকে উল্লাসে মাতিয়ে দেন শিনজি। ২৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কার্লোস তেভেজ।
আক্রমণের ধার বাড়াতে ৩৫ মিনিটেই গঞ্জালো হিগুয়েইনকে নামিয়ে দেন বাতিস্তা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জাপানি রক্ষণেরই জয় হয়েছে। হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছে রাফায়েল নাদালকে! হ্যাঁ, নাদালই। পাশের শহরেই টেনিস খেলতে যাওয়া নাদাল গিয়েছিলেন বন্ধু মেসির খেলা দেখতে। জাপান ওপেনে নাদাল কালই জয় পেয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। মেসির সঙ্গে ডিনার করার কথাও ছিল তাঁর।
ডিনার নাদালের যেমনই লাগুক, মেসির বিস্বাদই লাগার কথা!
No comments