বৃষ্টি এবং আফসোস
বাসা থেকে হোটেলে ফিরছিলেন। সাকিব আল হাসানকে দেখেই লবিতে বসে থাকা কয়েকজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ছুটে এলেন—প্লিজ, একটু ছবি তুলতে চাই। ছবি তুললেন, কিন্তু মুখে ট্রেডমার্ক হাসিটা নেই।
সাকিবের হাসি হারাল কী কারণে? এবার একটু ম্লান হেসে বললেন, ‘বললে বিশ্বাস করবেন? আসলেই মনে হচ্ছে একটা সুযোগ মিস হয়ে গেল। ম্যাচটা হলো না।’
নিম্নচাপজনিত টানা বৃষ্টিতে দ্বিতীয় ওয়ানডে যে হবে না, এটা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। তার পরও একটু আফসোস বাংলাদেশ দলের; নিউজিল্যান্ড দলেরও নিশ্চয়ই তাই। এই আফসোসের ম্যাচটা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল হলো কাল বেলা ১১টার দিকে। ম্যাচের ভাগ্য প্রকৃতি আগেই নির্ধারণ করে রেখেছে জেনেও মাঠে গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ম্যাচ রেফারি জানালেন, ম্যাচ হবে না।
তৃতীয় ম্যাচও যে হবেই, এমন নিশ্চয়তাই বা কী? বিবিসির আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সোমবার দিনটা ঢাকায় রৌদ্রোজ্জ্বলই থাকার কথা। কিন্তু ক্রিকেটের সবচেয়ে নামী ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো আবার অন্য কী একটা সূত্র থেকে বলছে, এদিনও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হবে!
তা সোমবার যা-ই হোক, কালকের ম্যাচ বাতিল হওয়ায় দর্শকেরও বিশেষ আফসোসের কারণ আছে। অন্তত যারা ম্যাচটির টিকিট কিনে ফেলেছিল, তাদের তো আফসোসটা বেশিই হওয়ার কথা। সেটিতে প্রলেপ দিতে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় ম্যাচের টিকিট দিয়েই ১১ তারিখের তৃতীয় ম্যাচটি দেখা যাবে।
বিসিবির টিকিট ও আসন ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জি এস হাসান তামিম জানান, ‘দ্বিতীয় ম্যাচের আড়াই হাজারের মতো গ্যালারির টিকিট বিক্রির পরই বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর তৃতীয় ম্যাচের জন্য আমরা আগে থেকেই একটু দর্শকসংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি। সব মিলিয়ে ১৬ থেকে ১৮ হাজার দর্শকের হাতে তৃতীয় ম্যাচের টিকিট থাকছে।’
দর্শকসংখ্যা পরিবর্তিত হলেও, পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। ম্যাচ গতকাল হলেও দর্শকেরা মাঠে আসত ফলাফল ১-০ জেনে, পরশু ম্যাচ হলেও দর্শকেরা সেই ফলাফল জেনেই আসবে। এখানেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আফসোস।
আফসোসের কথাটা বলছিলেন আবদুর রাজ্জাক, ‘আমি বলছি না যে, ম্যাচ হলেই আমরা জিতে যেতাম। কিন্তু প্রতিটি ম্যাচই তো জয়ের একটা সুযোগ, তাই না? সেদিক থেকে দেখতে গেলে, আমাদের সিরিজে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগই নষ্ট হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ম্যাচের দিন বৃষ্টির জন্য এমন বাইরে বসে থাকতে কার ভালো লাগে?’
এটাকেই আসল কথা বলছিলেন মাশরাফির ইনজুরিতে আবার অধিনায়কত্ব পাওয়া সাকিব। ম্যাচ না হওয়ায় আসল আক্ষেপের জায়গাটা সুনির্দিষ্টভাবে বললেন তিনি, ‘দেখুন, এখন আমাদের ক্রিকেটারদের মানসিকতাই বদলে গেছে। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে যাওয়া মানে, বেঁচে যাওয়া নয়। আমরা প্রত্যেকে আসলে খেলাটা খুব উপভোগ করি। হারি-জিতি, মাঠে লড়াই করেই সেটা মানতে চাই। হোটেলে শুয়ে-বসে দিন কাটানোটা বিন্দুমাত্র ভালো লাগে না।’
ভালো না লাগলেও শুয়ে-বসেই আসলে দিন কাটাতে হলো দুই দলকে। নিউজিল্যান্ড দলের কর্মকর্তাস্থানীয় কয়েকজন সকালে মাঠে গিয়েছিলেন। শাহরিয়ার নাফীস, মুশফিকুর রহিম, জুনায়েদ সিদ্দিকরা কয়েকজন মিরপুর ইনডোরে গিয়েছিলেন ব্যাটিং করতে। দুই দলের খেলোয়াড়ই দুপুরের দিকে হোটেল জিমনেসিয়ামে খানিকটা সময় কাটিয়ে রুমের দরজা আটকে দিলেন।
নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা যেভাবে নিজেদের ‘গৃহবন্দী’ করে ফেললেন; তাতে মনে হতে পারে, আবহাওয়ার ওপর খুব চটেছেন তাঁরা। বাংলাদেশে ১০ দিন কাটিয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পারার পর না চটাটাই হতো অস্বাভাবিক।
সাকিবের হাসি হারাল কী কারণে? এবার একটু ম্লান হেসে বললেন, ‘বললে বিশ্বাস করবেন? আসলেই মনে হচ্ছে একটা সুযোগ মিস হয়ে গেল। ম্যাচটা হলো না।’
নিম্নচাপজনিত টানা বৃষ্টিতে দ্বিতীয় ওয়ানডে যে হবে না, এটা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। তার পরও একটু আফসোস বাংলাদেশ দলের; নিউজিল্যান্ড দলেরও নিশ্চয়ই তাই। এই আফসোসের ম্যাচটা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল হলো কাল বেলা ১১টার দিকে। ম্যাচের ভাগ্য প্রকৃতি আগেই নির্ধারণ করে রেখেছে জেনেও মাঠে গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ম্যাচ রেফারি জানালেন, ম্যাচ হবে না।
তৃতীয় ম্যাচও যে হবেই, এমন নিশ্চয়তাই বা কী? বিবিসির আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সোমবার দিনটা ঢাকায় রৌদ্রোজ্জ্বলই থাকার কথা। কিন্তু ক্রিকেটের সবচেয়ে নামী ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো আবার অন্য কী একটা সূত্র থেকে বলছে, এদিনও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হবে!
তা সোমবার যা-ই হোক, কালকের ম্যাচ বাতিল হওয়ায় দর্শকেরও বিশেষ আফসোসের কারণ আছে। অন্তত যারা ম্যাচটির টিকিট কিনে ফেলেছিল, তাদের তো আফসোসটা বেশিই হওয়ার কথা। সেটিতে প্রলেপ দিতে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় ম্যাচের টিকিট দিয়েই ১১ তারিখের তৃতীয় ম্যাচটি দেখা যাবে।
বিসিবির টিকিট ও আসন ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জি এস হাসান তামিম জানান, ‘দ্বিতীয় ম্যাচের আড়াই হাজারের মতো গ্যালারির টিকিট বিক্রির পরই বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর তৃতীয় ম্যাচের জন্য আমরা আগে থেকেই একটু দর্শকসংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি। সব মিলিয়ে ১৬ থেকে ১৮ হাজার দর্শকের হাতে তৃতীয় ম্যাচের টিকিট থাকছে।’
দর্শকসংখ্যা পরিবর্তিত হলেও, পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। ম্যাচ গতকাল হলেও দর্শকেরা মাঠে আসত ফলাফল ১-০ জেনে, পরশু ম্যাচ হলেও দর্শকেরা সেই ফলাফল জেনেই আসবে। এখানেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আফসোস।
আফসোসের কথাটা বলছিলেন আবদুর রাজ্জাক, ‘আমি বলছি না যে, ম্যাচ হলেই আমরা জিতে যেতাম। কিন্তু প্রতিটি ম্যাচই তো জয়ের একটা সুযোগ, তাই না? সেদিক থেকে দেখতে গেলে, আমাদের সিরিজে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগই নষ্ট হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ম্যাচের দিন বৃষ্টির জন্য এমন বাইরে বসে থাকতে কার ভালো লাগে?’
এটাকেই আসল কথা বলছিলেন মাশরাফির ইনজুরিতে আবার অধিনায়কত্ব পাওয়া সাকিব। ম্যাচ না হওয়ায় আসল আক্ষেপের জায়গাটা সুনির্দিষ্টভাবে বললেন তিনি, ‘দেখুন, এখন আমাদের ক্রিকেটারদের মানসিকতাই বদলে গেছে। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে যাওয়া মানে, বেঁচে যাওয়া নয়। আমরা প্রত্যেকে আসলে খেলাটা খুব উপভোগ করি। হারি-জিতি, মাঠে লড়াই করেই সেটা মানতে চাই। হোটেলে শুয়ে-বসে দিন কাটানোটা বিন্দুমাত্র ভালো লাগে না।’
ভালো না লাগলেও শুয়ে-বসেই আসলে দিন কাটাতে হলো দুই দলকে। নিউজিল্যান্ড দলের কর্মকর্তাস্থানীয় কয়েকজন সকালে মাঠে গিয়েছিলেন। শাহরিয়ার নাফীস, মুশফিকুর রহিম, জুনায়েদ সিদ্দিকরা কয়েকজন মিরপুর ইনডোরে গিয়েছিলেন ব্যাটিং করতে। দুই দলের খেলোয়াড়ই দুপুরের দিকে হোটেল জিমনেসিয়ামে খানিকটা সময় কাটিয়ে রুমের দরজা আটকে দিলেন।
নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা যেভাবে নিজেদের ‘গৃহবন্দী’ করে ফেললেন; তাতে মনে হতে পারে, আবহাওয়ার ওপর খুব চটেছেন তাঁরা। বাংলাদেশে ১০ দিন কাটিয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পারার পর না চটাটাই হতো অস্বাভাবিক।
No comments