৪-০-এর দিন
আজকের ম্যাচ নিয়ে দুটি সংশয় আছে। প্রথমত, ম্যাচটা হবে তো? আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্যি হলে দ্বিতীয় ম্যাচের মতো আজও খলনায়ক হতে পারে বৃষ্টি! আরেকটা সংশয়—ম্যাচ যদি হয় এবং এই ম্যাচেও জিতে বাংলাদেশ যদি সিরিজ জয়ের ব্যবধান ৪-০ করে ফেলে, ‘নিউজিল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ’ কথাটা কি বলা যাবে?
বৃষ্টি নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু শেষ ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ ‘হোয়াইটওয়াশ’ করার স্বাদ পাবে কি না—তা নিয়ে কাল বিকেলে বেশ ভাবনায়ই পড়ে গেল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। সাংবাদিকদের কৌতূহল, বোর্ড কর্মকর্তাদের প্রশ্ন, এমনকি জাতীয় দলের ওপেনার শাহরিয়ার নাফীসও জানতে চাইলেন, ‘আমরা ৪-০-তে জিতলে এটাকে কি হোয়াইটওয়াশ বলা হবে?’ যত দূর জানা গেছে, বাংলাদেশ জিতলে নিউজিল্যান্ড হোয়াইটওয়াশই হবে। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে যেহেতু টসটা পর্যন্ত হয়নি, সিরিজ তো কার্যত চার ম্যাচেরই। বাংলাদেশ চারে চার করতে পারলে, নিউজিল্যান্ডের হোয়াইটওয়াশের জ্বালায় পোড়ারই কথা।
তা হোয়াইটওয়াশের স্বাদ আজ নিতে পারবে তো বাংলাদেশ? ৪-০-এর দিন কি আজ হবে? দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বুদ্বুদ, ‘হবে’। বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক তো পাল্টা প্রশ্নই করলেন, ‘ভালো খেললে কেন হবে না?’ শাহরিয়ার নাফীসও অসম্ভব মনে করছেন না কিছুই, ‘৪-০ হতেই পারে। তবে ভালো খেলতে হবে সবাইকে। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে আমরা ভালো খেলব। এখন মাঠে সেটা করে দেখাতে হবে।’
ইনডোরে নেট প্র্যাকটিস শেষে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে মুশফিকুর রহিমের কথায় জেদই খুঁজে পাওয়া গেল একটা। যেন নিউজিল্যান্ডকে ৪-০-তে হারাতে না পারলে এত দিনের কষ্টটাই মাটি! ৩-০-তে জেতা নয়, সিরিজ জয় মানেই ৪-০, ‘আমাদের ৪-০-তেই জিততে হবে। বড় বড় দলের বিপক্ষে বহু সিরিজে আমাদের অবস্থাও নিউজিল্যান্ডের মতো হয়েছে। সিরিজ আগেই হেরে যাওয়ার পরও দেখেছি প্রতিপক্ষ আমাদের শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটে হারানোর জন্য খেলেছে। আমরাও তাই খেলব। শেষ ম্যাচেও জেতার জন্যই মাঠে নামব।’
মুশফিকুর রহিমের মতো ৪-০-এর স্বপ্ন গোটা বাংলাদেশ দলই দেখছে। টিম-বয় খোকন-নাসির থেকে শুরু করে কোচ জেমি সিডন্স—কার চোখে নেই সেটা? নিউজিল্যান্ডকে শেষ ম্যাচেও না হারানো গেলে যেন তৃপ্তির শেষ ঢেকুরটা তোলা যাচ্ছে না। সিডন্সের অবশ্য ৪-০-এর প্রত্যাশার সঙ্গে একটা অতৃপ্তি দূর করার ব্যাপারও আছে। বাংলাদেশ তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলেও কোচের চোখে এই তিন ম্যাচে অসংখ্য ভুল করেছে দল। শেষ ম্যাচে ৪-০-তে সিরিজ জয়ের সঙ্গে সেই ভুলগুলোর সংশোধন চান তিনি, ‘প্রথম তিন ম্যাচে আমরা অনেক ভুল করেছি। শেষ ম্যাচে সেগুলো শোধরাতে হবে। বিশ্বকাপ ও জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে আমাদের অনেক কাজ। তবে সবার আগে এই সিরিজটা ৪-০-তে জিততে হবে।’
সিডন্সের চোখে শেষ ম্যাচটা এক অর্থে ‘সংশোধনের ম্যাচ’ই। সিরিজে এখন পর্যন্ত যে যেটা করতে পারেননি, তাঁর কাছ থেকে সে অসমাপ্ত কাজের পূর্ণতা চান কোচ। রকিবুল-জুনায়েদ রান পাননি, গত ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও ২৬০-২৭০ রান করতে পারেনি দল, পাওয়ার প্লেটাকে ভালোভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না—সিডন্সের উন্নতি পরিকল্পনায় সবই আছে। তবে পাওয়ার প্লের ব্যাটিংয়ে উন্নতি আনাটাকে আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ, ‘আমরা ভালো সময়ে পাওয়ার প্লে নেওয়ারই পরিকল্পনা করি। কিন্তু যখনই আমরা সেটা নিই তখনই তিন-চারটা উইকেট পড়ে যায়। সেজন্য খুব বেশি রানও হয় না। এ জায়গায় অবশ্যই উন্নতি করতে হবে। উন্নতিটা পরের ম্যাচেই কীভাবে আনা যায়, তা নিয়ে আমি কথা বলেছি।’
বাংলাদেশ দলের জন্য পরিস্থিতিটা নতুন। শেষ ম্যাচে এসে এখন তারাও বলতে পারছে ‘কোনো ছাড় নয়’ ‘আরও উন্নতি চাই’ ‘ভুল শোধরানোর ম্যাচ...’ ইত্যাদি ইত্যাদি। ৪-০-এর দিন না হয়ে যদি এটা নিউজিল্যান্ডের জন্য সান্ত্বনার ৩-১-এর দিনও হয়ে যায়, প্রাপ্তির খাতাটা কিন্তু ভরাই থাকল।
সামনে যত মাইলফলক
আজ জিতলে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ উঠে যাবে আটে। গত আগস্টে শ্রীলঙ্কার ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ও দুইয়ে ছিল যারা, সেই নিউজিল্যান্ড নেমে যাবে সাতে
এই ম্যাচ জিতলে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে প্রথম টানা চার ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ।
আর দুটি উইকেট পেলে মোহাম্মদ রফিককে (১১৯) টপকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তিনে উঠে যাবেন সাকিব আল হাসান।
তিন উইকেট পেলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে দেড় শ উইকেট হয়ে যাবে আবদুর রাজ্জাকের।
৩৫ রান করলে পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে দুই হাজার রান হবে শাহরিয়ার নাফীসের।
৭৫ রান করলে ওয়ানডেতে এক হাজার রান হবে জুনায়েদ সিদ্দিকের।
বৃষ্টি নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু শেষ ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ ‘হোয়াইটওয়াশ’ করার স্বাদ পাবে কি না—তা নিয়ে কাল বিকেলে বেশ ভাবনায়ই পড়ে গেল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। সাংবাদিকদের কৌতূহল, বোর্ড কর্মকর্তাদের প্রশ্ন, এমনকি জাতীয় দলের ওপেনার শাহরিয়ার নাফীসও জানতে চাইলেন, ‘আমরা ৪-০-তে জিতলে এটাকে কি হোয়াইটওয়াশ বলা হবে?’ যত দূর জানা গেছে, বাংলাদেশ জিতলে নিউজিল্যান্ড হোয়াইটওয়াশই হবে। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে যেহেতু টসটা পর্যন্ত হয়নি, সিরিজ তো কার্যত চার ম্যাচেরই। বাংলাদেশ চারে চার করতে পারলে, নিউজিল্যান্ডের হোয়াইটওয়াশের জ্বালায় পোড়ারই কথা।
তা হোয়াইটওয়াশের স্বাদ আজ নিতে পারবে তো বাংলাদেশ? ৪-০-এর দিন কি আজ হবে? দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বুদ্বুদ, ‘হবে’। বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক তো পাল্টা প্রশ্নই করলেন, ‘ভালো খেললে কেন হবে না?’ শাহরিয়ার নাফীসও অসম্ভব মনে করছেন না কিছুই, ‘৪-০ হতেই পারে। তবে ভালো খেলতে হবে সবাইকে। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে আমরা ভালো খেলব। এখন মাঠে সেটা করে দেখাতে হবে।’
ইনডোরে নেট প্র্যাকটিস শেষে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে মুশফিকুর রহিমের কথায় জেদই খুঁজে পাওয়া গেল একটা। যেন নিউজিল্যান্ডকে ৪-০-তে হারাতে না পারলে এত দিনের কষ্টটাই মাটি! ৩-০-তে জেতা নয়, সিরিজ জয় মানেই ৪-০, ‘আমাদের ৪-০-তেই জিততে হবে। বড় বড় দলের বিপক্ষে বহু সিরিজে আমাদের অবস্থাও নিউজিল্যান্ডের মতো হয়েছে। সিরিজ আগেই হেরে যাওয়ার পরও দেখেছি প্রতিপক্ষ আমাদের শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটে হারানোর জন্য খেলেছে। আমরাও তাই খেলব। শেষ ম্যাচেও জেতার জন্যই মাঠে নামব।’
মুশফিকুর রহিমের মতো ৪-০-এর স্বপ্ন গোটা বাংলাদেশ দলই দেখছে। টিম-বয় খোকন-নাসির থেকে শুরু করে কোচ জেমি সিডন্স—কার চোখে নেই সেটা? নিউজিল্যান্ডকে শেষ ম্যাচেও না হারানো গেলে যেন তৃপ্তির শেষ ঢেকুরটা তোলা যাচ্ছে না। সিডন্সের অবশ্য ৪-০-এর প্রত্যাশার সঙ্গে একটা অতৃপ্তি দূর করার ব্যাপারও আছে। বাংলাদেশ তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলেও কোচের চোখে এই তিন ম্যাচে অসংখ্য ভুল করেছে দল। শেষ ম্যাচে ৪-০-তে সিরিজ জয়ের সঙ্গে সেই ভুলগুলোর সংশোধন চান তিনি, ‘প্রথম তিন ম্যাচে আমরা অনেক ভুল করেছি। শেষ ম্যাচে সেগুলো শোধরাতে হবে। বিশ্বকাপ ও জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে আমাদের অনেক কাজ। তবে সবার আগে এই সিরিজটা ৪-০-তে জিততে হবে।’
সিডন্সের চোখে শেষ ম্যাচটা এক অর্থে ‘সংশোধনের ম্যাচ’ই। সিরিজে এখন পর্যন্ত যে যেটা করতে পারেননি, তাঁর কাছ থেকে সে অসমাপ্ত কাজের পূর্ণতা চান কোচ। রকিবুল-জুনায়েদ রান পাননি, গত ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও ২৬০-২৭০ রান করতে পারেনি দল, পাওয়ার প্লেটাকে ভালোভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না—সিডন্সের উন্নতি পরিকল্পনায় সবই আছে। তবে পাওয়ার প্লের ব্যাটিংয়ে উন্নতি আনাটাকে আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ, ‘আমরা ভালো সময়ে পাওয়ার প্লে নেওয়ারই পরিকল্পনা করি। কিন্তু যখনই আমরা সেটা নিই তখনই তিন-চারটা উইকেট পড়ে যায়। সেজন্য খুব বেশি রানও হয় না। এ জায়গায় অবশ্যই উন্নতি করতে হবে। উন্নতিটা পরের ম্যাচেই কীভাবে আনা যায়, তা নিয়ে আমি কথা বলেছি।’
বাংলাদেশ দলের জন্য পরিস্থিতিটা নতুন। শেষ ম্যাচে এসে এখন তারাও বলতে পারছে ‘কোনো ছাড় নয়’ ‘আরও উন্নতি চাই’ ‘ভুল শোধরানোর ম্যাচ...’ ইত্যাদি ইত্যাদি। ৪-০-এর দিন না হয়ে যদি এটা নিউজিল্যান্ডের জন্য সান্ত্বনার ৩-১-এর দিনও হয়ে যায়, প্রাপ্তির খাতাটা কিন্তু ভরাই থাকল।
সামনে যত মাইলফলক
আজ জিতলে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ উঠে যাবে আটে। গত আগস্টে শ্রীলঙ্কার ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ও দুইয়ে ছিল যারা, সেই নিউজিল্যান্ড নেমে যাবে সাতে
এই ম্যাচ জিতলে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে প্রথম টানা চার ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ।
আর দুটি উইকেট পেলে মোহাম্মদ রফিককে (১১৯) টপকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তিনে উঠে যাবেন সাকিব আল হাসান।
তিন উইকেট পেলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে দেড় শ উইকেট হয়ে যাবে আবদুর রাজ্জাকের।
৩৫ রান করলে পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে দুই হাজার রান হবে শাহরিয়ার নাফীসের।
৭৫ রান করলে ওয়ানডেতে এক হাজার রান হবে জুনায়েদ সিদ্দিকের।
No comments