মুম্বাই হামলা সম্পর্কে আগেই হুঁশিয়ারি পেয়েছিল এফবিআই
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার তিন বছর আগেই এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। ওই হামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ডেভিড হেডলির স্ত্রী এফবিআইকে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে জড়িত এবং তিনি হামলার লক্ষ্য নির্ধারণে কাজ করছেন।
প্রোপাবলিকা নামের একটি সংবাদপত্রের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হামলার তিন বছর আগেই এফবিআই জানতে পারে, এক আমেরিকান ব্যবসায়ী পাকিস্তানে লস্কর-ই-তাইয়েবার জঙ্গিদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এফবিআই তখন এ বিষয়ে নিউইয়র্কে খোঁজখবর নিয়েছিল।’
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিল ১৬৬ জন। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাকে দায়ী করে আসছে ভারত।
জনস্বার্থে বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রোপাবলিকা। তাদের প্রতিবেদনটি গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাও ওই প্রতিবেদনের আংশিক প্রকাশ করেছে। তবে এই প্রতিবেদনের বক্তব্যের সত্যতা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি এফবিআই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে প্রোপাবলিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘পারিবারিক কলহের কারণে ডেভিড হেডলির জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি এফবিআইকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী।’
এফবিআইকে দেওয়া তিনটি সাক্ষাৎকারে হেডলির স্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি (হেডলি) লস্কর-ই-তাইয়েবার সক্রিয় জঙ্গি। পাকিস্তানে ওই জঙ্গি সংগঠনের শিবিরে তিনি অনেক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাতের বেলা দেখা যায়, এমন চশমা ও অন্যান্য সরঞ্জাম তিনি কিনেছেন।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে হেডলির স্ত্রীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি প্রোপাবলিকা। তিনি এফবিআইকে জানান, পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় হেডলি চর হিসেবে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অর্থ পেতেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হেডলির এ বিষয়টি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মান উন্নয়ন এবং তাদের নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একই সঙ্গে একজন আত্মস্বীকৃত সন্ত্রাসীর সঙ্গে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সম্পর্কের বিষয় নিয়েও প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।’
মুম্বাই হামলায় জড়িত সন্দেহে গত বছর হেডলিকে গ্রেপ্তার করে এফবিআই। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি স্বীকারও করেছেন। তিনি বর্তমানে শিকাগোর একটি কারাগারে।
প্রোপাবলিকা লিখেছে, ‘কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হেডলির দিকে নজর রেখেছিল এফবিআই। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, বা আদৌ নেওয়া হয়েছিল কি না, তা জানাতে অস্বীকার করেন তাঁরা। পারিবারিক কারণে ২০০৫ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কয়েক দিন জেল খেটেছিলেন তিনি। তবে তাঁর বিচার করা হয়নি। মুম্বাই হামলার ১১ মাস পর ব্রিটিশ গোয়েন্দারা সতর্ক করে দেন হেডলির সঙ্গে ইউরোপে আল-কায়েদার জঙ্গিদের যোগাযোগ আছে। এর পরই কেবল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, তার আগে নয়।’
প্রোপাবলিকা জানিয়েছে, স্ত্রী প্রথম জানানোর পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত চার বছর হেডলি বিভিন্ন দেশে লস্কর-ই-তাইয়েবার পক্ষে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন। এই সময়ে তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী পরিচয়ে পাঁচবার মুম্বাই সফর করেন এবং হামলার লক্ষ্যস্থল নির্ধারণ করেন।
হেডলির বাবা ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক। তাঁর শৈশবও কেটেছে পাকিস্তানে। পরিবারের দেওয়া নাম ছিল দাউদ গিলানি। তবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সুবিধার জন্য ২০০৫ সালে তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ডেভিড হেডলি।
প্রোপাবলিকা নামের একটি সংবাদপত্রের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হামলার তিন বছর আগেই এফবিআই জানতে পারে, এক আমেরিকান ব্যবসায়ী পাকিস্তানে লস্কর-ই-তাইয়েবার জঙ্গিদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এফবিআই তখন এ বিষয়ে নিউইয়র্কে খোঁজখবর নিয়েছিল।’
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিল ১৬৬ জন। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাকে দায়ী করে আসছে ভারত।
জনস্বার্থে বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রোপাবলিকা। তাদের প্রতিবেদনটি গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাও ওই প্রতিবেদনের আংশিক প্রকাশ করেছে। তবে এই প্রতিবেদনের বক্তব্যের সত্যতা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি এফবিআই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে প্রোপাবলিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘পারিবারিক কলহের কারণে ডেভিড হেডলির জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি এফবিআইকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী।’
এফবিআইকে দেওয়া তিনটি সাক্ষাৎকারে হেডলির স্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি (হেডলি) লস্কর-ই-তাইয়েবার সক্রিয় জঙ্গি। পাকিস্তানে ওই জঙ্গি সংগঠনের শিবিরে তিনি অনেক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাতের বেলা দেখা যায়, এমন চশমা ও অন্যান্য সরঞ্জাম তিনি কিনেছেন।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে হেডলির স্ত্রীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি প্রোপাবলিকা। তিনি এফবিআইকে জানান, পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় হেডলি চর হিসেবে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অর্থ পেতেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হেডলির এ বিষয়টি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মান উন্নয়ন এবং তাদের নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একই সঙ্গে একজন আত্মস্বীকৃত সন্ত্রাসীর সঙ্গে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সম্পর্কের বিষয় নিয়েও প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।’
মুম্বাই হামলায় জড়িত সন্দেহে গত বছর হেডলিকে গ্রেপ্তার করে এফবিআই। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি স্বীকারও করেছেন। তিনি বর্তমানে শিকাগোর একটি কারাগারে।
প্রোপাবলিকা লিখেছে, ‘কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হেডলির দিকে নজর রেখেছিল এফবিআই। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, বা আদৌ নেওয়া হয়েছিল কি না, তা জানাতে অস্বীকার করেন তাঁরা। পারিবারিক কারণে ২০০৫ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কয়েক দিন জেল খেটেছিলেন তিনি। তবে তাঁর বিচার করা হয়নি। মুম্বাই হামলার ১১ মাস পর ব্রিটিশ গোয়েন্দারা সতর্ক করে দেন হেডলির সঙ্গে ইউরোপে আল-কায়েদার জঙ্গিদের যোগাযোগ আছে। এর পরই কেবল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, তার আগে নয়।’
প্রোপাবলিকা জানিয়েছে, স্ত্রী প্রথম জানানোর পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত চার বছর হেডলি বিভিন্ন দেশে লস্কর-ই-তাইয়েবার পক্ষে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন। এই সময়ে তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী পরিচয়ে পাঁচবার মুম্বাই সফর করেন এবং হামলার লক্ষ্যস্থল নির্ধারণ করেন।
হেডলির বাবা ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক। তাঁর শৈশবও কেটেছে পাকিস্তানে। পরিবারের দেওয়া নাম ছিল দাউদ গিলানি। তবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সুবিধার জন্য ২০০৫ সালে তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ডেভিড হেডলি।
No comments