মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরগরম
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে সরগরম যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির মাঠ। নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ২ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ৩৯ আসনে জয় নিশ্চিত করতে চায় রিপাবলিকান পার্টি। কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য এ কয়টি আসনে জয়ী হতে হবে তাদের। অন্যদিকে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মরিয়া ডেমোক্রেটিক পার্টি। জোরেশোরে প্রচারণায় নেমেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ডেমোক্র্যাট দলের ঝানু নেতা ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও চষে বেড়াচ্ছেন এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্য।
ডেমোক্র্যাট দলের নির্বাচনী কৌশল মূলত আত্মরক্ষামূলক। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের প্রচারণা আক্রমণাত্মক, যা রাজনীতির মাঠকে রীতিমতো উত্তপ্ত করে তুলেছে।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে যুদ্ধনীতির বিষয়টি মোটেই প্রাধান্য পাচ্ছে না। আফগানিস্তান ও ইরাকে এখনো মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। আফগান রণাঙ্গন থেকে আসছে মার্কিন সেনাদের মৃতদেহ। তার পরও এবারের নির্বাচনে আফগান যুদ্ধ কোনো ইস্যু হয়ে ওঠেনি দেশের কোথাও। মন্দাগ্রস্ত অর্থনীতি, ব্যাপক কর্মহীনতা আর সমকামীদের অধিকারের মতো কয়েকটি বিষয়ই প্রাধান্য পাচ্ছে প্রচারণা ও বিতর্কে। নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিবিএস নিউজ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক অর্থনৈতিক মন্দাকেই দেশের প্রধান সমস্যা হিসেবে মনে করেন। জরিপে মাত্র তিন শতাংশ নাগরিক আফগান যুদ্ধকে একটি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতিবিজ্ঞানের অধ্যাপক জন মুয়েলার বলেছেন, মার্কিন জনগণ এখন অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েই বেশি উদগ্রীব। ব্যাপক কর্মহীনতা, আবাসনশিল্পের সংকট, স্বাস্থ্যবীমা ও অবসর ভাতার মতো ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়েই জনগণকে এখন বেশি ভাবতে হচ্ছে।
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা পড়েছেন কঠিন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জে। এরই মধ্যে পরিচালিত বেশ কিছু জরিপে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বেশি কটি আসন ডেমোক্র্যাটদের হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম। রাজ্য গভর্নর হিসেবেও রিপাবলিকানদের জয়ী হয়ে আসার সম্ভাবনা বেশ কটি ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত রাজ্যে। কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকান পার্টির হাতে গেলে প্রেসিডেন্ট ওবামার সংস্কার উদ্যোগ ব্যাহত হবে। আর তাই ২০১২ সালে নিজের পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে ওবামাকে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে—এ আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠছে।
এদিকে নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ডেমোক্রেটিক পার্টি তাদের প্রচারণার কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। যেসব আসনে প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা নেই, সেখানে প্রচারণা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্তত ৪০টি আসনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের পাল্লা চলছে। প্রতিটি টিভি চ্যানেলে পাল্টাপাল্টি প্রচারণা চলছে এগুলো নিয়ে। এ আসনগুলো ডেমোক্র্যাটদের দখলে ছিল। তারা এ ৪০টি আসন ধরে রাখতে মরিয়া। তবে রিপাবলিকানরা আরও অন্তত ১২টি আসনে আক্রমণাত্মক প্রচারণায় নেমেছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এসব আসনে জনমত জরিপের ফল ডেমোক্র্যাট দলের অনুকূলে নয়। ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওর সর্বশেষ এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর ৪৭ শতাংশ ভোটার রিপাবলিকান প্রার্থীকে জয়ী দেখতে চান। ৪৪ শতাংশ ভোটার ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর বিজয়ের পক্ষে।
ডেমোক্র্যাট দলের নির্বাচনী কৌশলবিদ মার্ক ম্যালসেন বলেছেন, ‘আত্মরক্ষার জন্যই এখন ধরে রাখা সম্ভব এমন সব নির্বাচনী আসনকেই ডেমোক্র্যাট দলের গুরুত্ব দিতে হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাট দলের নির্বাচনী কৌশল মূলত আত্মরক্ষামূলক। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের প্রচারণা আক্রমণাত্মক, যা রাজনীতির মাঠকে রীতিমতো উত্তপ্ত করে তুলেছে।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে যুদ্ধনীতির বিষয়টি মোটেই প্রাধান্য পাচ্ছে না। আফগানিস্তান ও ইরাকে এখনো মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। আফগান রণাঙ্গন থেকে আসছে মার্কিন সেনাদের মৃতদেহ। তার পরও এবারের নির্বাচনে আফগান যুদ্ধ কোনো ইস্যু হয়ে ওঠেনি দেশের কোথাও। মন্দাগ্রস্ত অর্থনীতি, ব্যাপক কর্মহীনতা আর সমকামীদের অধিকারের মতো কয়েকটি বিষয়ই প্রাধান্য পাচ্ছে প্রচারণা ও বিতর্কে। নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিবিএস নিউজ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক অর্থনৈতিক মন্দাকেই দেশের প্রধান সমস্যা হিসেবে মনে করেন। জরিপে মাত্র তিন শতাংশ নাগরিক আফগান যুদ্ধকে একটি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতিবিজ্ঞানের অধ্যাপক জন মুয়েলার বলেছেন, মার্কিন জনগণ এখন অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েই বেশি উদগ্রীব। ব্যাপক কর্মহীনতা, আবাসনশিল্পের সংকট, স্বাস্থ্যবীমা ও অবসর ভাতার মতো ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়েই জনগণকে এখন বেশি ভাবতে হচ্ছে।
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা পড়েছেন কঠিন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জে। এরই মধ্যে পরিচালিত বেশ কিছু জরিপে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বেশি কটি আসন ডেমোক্র্যাটদের হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম। রাজ্য গভর্নর হিসেবেও রিপাবলিকানদের জয়ী হয়ে আসার সম্ভাবনা বেশ কটি ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত রাজ্যে। কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকান পার্টির হাতে গেলে প্রেসিডেন্ট ওবামার সংস্কার উদ্যোগ ব্যাহত হবে। আর তাই ২০১২ সালে নিজের পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে ওবামাকে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে—এ আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠছে।
এদিকে নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ডেমোক্রেটিক পার্টি তাদের প্রচারণার কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। যেসব আসনে প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা নেই, সেখানে প্রচারণা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্তত ৪০টি আসনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের পাল্লা চলছে। প্রতিটি টিভি চ্যানেলে পাল্টাপাল্টি প্রচারণা চলছে এগুলো নিয়ে। এ আসনগুলো ডেমোক্র্যাটদের দখলে ছিল। তারা এ ৪০টি আসন ধরে রাখতে মরিয়া। তবে রিপাবলিকানরা আরও অন্তত ১২টি আসনে আক্রমণাত্মক প্রচারণায় নেমেছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এসব আসনে জনমত জরিপের ফল ডেমোক্র্যাট দলের অনুকূলে নয়। ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওর সর্বশেষ এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর ৪৭ শতাংশ ভোটার রিপাবলিকান প্রার্থীকে জয়ী দেখতে চান। ৪৪ শতাংশ ভোটার ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর বিজয়ের পক্ষে।
ডেমোক্র্যাট দলের নির্বাচনী কৌশলবিদ মার্ক ম্যালসেন বলেছেন, ‘আত্মরক্ষার জন্যই এখন ধরে রাখা সম্ভব এমন সব নির্বাচনী আসনকেই ডেমোক্র্যাট দলের গুরুত্ব দিতে হচ্ছে।
No comments