আরও কিছু পাওয়ার ম্যাচ
সিরিজ জয় হয়ে গেছে। আজ শেষ ম্যাচে তাহলে কী পাওয়ার আছে বাংলাদেশের?
সিরিজ ৪-০ করা, আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরে উঠে যাওয়া ছাড়াও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজও অনেক কিছুই চাইছে বাংলাদেশ দল। সংক্ষেপে বলতে পারেন, তারা এবার চাইছে নিজেদের ছাড়িয়ে যেতে।
সিরিজ হেরে যাওয়ার পরও শেষ ম্যাচে এসে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র ছাড় না পাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকই হয়েছে দলটার। অসহায়ের মতো মেনে নিতে হয়েছে সবলের ‘অত্যাচার’। নিউজিল্যান্ডকে উপলক্ষ করে ক্রিকেটের প্রথম বিশ্বের দেশগুলোকে এবার সেটাই ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। শেষ ম্যাচে আজ বাংলাদেশও নিউজিল্যান্ডকে এক রত্তি ছাড় দিতে রাজি নয়। কিউইদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেই বিজয়োল্লাসে মাততে তৈরি সাকিব আল হাসানের দল। অপরদিকে ড্যানিয়েল ভেট্টোরিদের জন্য এ ম্যাচ সান্ত্বনার জয় পাওয়ার চ্যালেঞ্জ। সিরিজ হারলেও বাংলাদেশ থেকে একেবারেই খালি হাতে দেশে ফেরাটা যে খারাপ দেখায়!
জেমি সিডন্স একটু একটু করে প্রত্যাশার সীমানা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি বলে সিরিজ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক-আধটা জয় দিয়েই উন্নতির পথে হাঁটাটা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ। এরপর যখন সাকিবরা জেতাই শুরু করলেন, সিরিজ জয়ের স্বপ্ন এঁকে দিলেন তিনি। এখন সিরিজ জয়ও হয়ে যাওয়ার পর কোচ বলছেন, ‘৪-০ চাই।’ এই চাওয়াটা শুধু কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করার জন্যই নয়, কোচ প্রমাণ করতে চান, দলের উন্নতির ধার ক্রমেই বাড়ছে।
টানা তিন ম্যাচ জিতলেও এর কোনোটাতেই বাংলাদেশ দল তাদের সেরা খেলা খেলেনি বলে ধারণা সিডন্সের। সেরা খেলা মানে নির্ভুল খেলা, সামর্থ্যের শেষবিন্দু উজাড় করে দিয়ে খেলা। মাইক্রোম্যাক্স ওডিআই কাপ সাকিব-শাহরিয়ারের জ্বলে ওঠা দেখেছে। দেখেছে মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর ভালো খেলার সামর্থ্য আর নাঈম-রাজ্জাকদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং। কিন্তু জুনায়েদ সিদ্দিক বা রকিবুল হাসানের কাছ থেকে প্রত্যাশা মেটেনি। আড়াই বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরা শাহরিয়ারও তো কেবল একটা ইনিংসই খেললেন বলার মতো! পাওয়ার প্লেতে শফিউল ইসলাম-রুবেল হোসেনের কাছ থেকেও আরও ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা আছে। এসব অপূর্ণতা দূর করে দল ভালো ক্রিকেট খেলবে, আজকের ম্যাচে এটাই চাওয়া সিডন্সের, ‘রান করা, উইকেট নেওয়া, ভালো ফিল্ডিং করা—এসবই আমরা চাই। যে তিনটা ম্যাচ হয়ে গেছে সেগুলো নিয়ে কেউই আর ভাবছে না। সবার একটাই চিন্তা, পরের ম্যাচে ভালো খেলতে হবে।’ ভুল শোধরানো আর অতৃপ্তি দূর করার জন্যই হয়তো শেষ ম্যাচেও আগের ম্যাচের দলটাই খেলাবে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ড যে এ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় চায়, সেটা তাদের দলের মুখপাত্র হয়ে কেউ না বললেও চলছে। আর বলবেন-ই বা কে? দ্বিতীয় হারটার পর থেকেই যে মুখে কলুপ এঁটেছে পুরো দল! কেউ তো কথা বলছেই না, সাংবাদিকেরা ধারেকাছে গেলেও যেন তাঁদের আপত্তি। নিউজিল্যান্ড কথা না বললেও বাংলাদেশ কোচই কাল তাদের পক্ষ থেকে বলে দিতে চেষ্টা করলেন, এ ম্যাচে আসলে কী চাইতে পারে ভেট্টোরির দল। ‘তারা যেন কিছুটা দমেই গেছে। মনে হচ্ছে, খেলা শেষ করে এখন সবাই দেশে ফেরার জন্য উন্মুখ। তবে আমরা আমাদের পা মাটিতেই রাখব এবং খুব ভালো ক্রিকেট খেলব। আশা করি, জয়ের জন্য সেটাই যথেষ্ট এবং তাতে ওদের হোয়াইটওয়াশও করা যাবে।’
কোচ-ক্রিকেটারদের মতো এই স্বপ্ন দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষেরও। সিরিজ জয় দেখার পর আজ সরকারি ছুটির দিনে মানুষ হোয়াইটওয়াশ দেখতেও স্টেডিয়ামের দিকে ছুটবে, আশাটা সিরিজ আয়োজক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আশরাফ হোসেনের। কিন্তু সেটা যে মধুর এক সমস্যাও! মাঠে দর্শকের ঢল নামুক, বিসিবি সব সময় তাই চেয়ে এলেও বিশ্বকাপের জন্য সংস্কারকাজের মধ্যে অত লোক জায়গা দেওয়ার সামর্থ্য কোথায় গ্যালারির? তার পরও আজকের ম্যাচের জন্য বিক্রীত-অবিক্রীত মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার টিকিট ছাড়া হচ্ছে বলে জানালেন গাজী আশরাফ। ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার বাসনা তো অনেকেরই থাকে!
সিরিজ ৪-০ করা, আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরে উঠে যাওয়া ছাড়াও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজও অনেক কিছুই চাইছে বাংলাদেশ দল। সংক্ষেপে বলতে পারেন, তারা এবার চাইছে নিজেদের ছাড়িয়ে যেতে।
সিরিজ হেরে যাওয়ার পরও শেষ ম্যাচে এসে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র ছাড় না পাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকই হয়েছে দলটার। অসহায়ের মতো মেনে নিতে হয়েছে সবলের ‘অত্যাচার’। নিউজিল্যান্ডকে উপলক্ষ করে ক্রিকেটের প্রথম বিশ্বের দেশগুলোকে এবার সেটাই ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। শেষ ম্যাচে আজ বাংলাদেশও নিউজিল্যান্ডকে এক রত্তি ছাড় দিতে রাজি নয়। কিউইদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেই বিজয়োল্লাসে মাততে তৈরি সাকিব আল হাসানের দল। অপরদিকে ড্যানিয়েল ভেট্টোরিদের জন্য এ ম্যাচ সান্ত্বনার জয় পাওয়ার চ্যালেঞ্জ। সিরিজ হারলেও বাংলাদেশ থেকে একেবারেই খালি হাতে দেশে ফেরাটা যে খারাপ দেখায়!
জেমি সিডন্স একটু একটু করে প্রত্যাশার সীমানা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি বলে সিরিজ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক-আধটা জয় দিয়েই উন্নতির পথে হাঁটাটা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ। এরপর যখন সাকিবরা জেতাই শুরু করলেন, সিরিজ জয়ের স্বপ্ন এঁকে দিলেন তিনি। এখন সিরিজ জয়ও হয়ে যাওয়ার পর কোচ বলছেন, ‘৪-০ চাই।’ এই চাওয়াটা শুধু কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করার জন্যই নয়, কোচ প্রমাণ করতে চান, দলের উন্নতির ধার ক্রমেই বাড়ছে।
টানা তিন ম্যাচ জিতলেও এর কোনোটাতেই বাংলাদেশ দল তাদের সেরা খেলা খেলেনি বলে ধারণা সিডন্সের। সেরা খেলা মানে নির্ভুল খেলা, সামর্থ্যের শেষবিন্দু উজাড় করে দিয়ে খেলা। মাইক্রোম্যাক্স ওডিআই কাপ সাকিব-শাহরিয়ারের জ্বলে ওঠা দেখেছে। দেখেছে মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর ভালো খেলার সামর্থ্য আর নাঈম-রাজ্জাকদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং। কিন্তু জুনায়েদ সিদ্দিক বা রকিবুল হাসানের কাছ থেকে প্রত্যাশা মেটেনি। আড়াই বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরা শাহরিয়ারও তো কেবল একটা ইনিংসই খেললেন বলার মতো! পাওয়ার প্লেতে শফিউল ইসলাম-রুবেল হোসেনের কাছ থেকেও আরও ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা আছে। এসব অপূর্ণতা দূর করে দল ভালো ক্রিকেট খেলবে, আজকের ম্যাচে এটাই চাওয়া সিডন্সের, ‘রান করা, উইকেট নেওয়া, ভালো ফিল্ডিং করা—এসবই আমরা চাই। যে তিনটা ম্যাচ হয়ে গেছে সেগুলো নিয়ে কেউই আর ভাবছে না। সবার একটাই চিন্তা, পরের ম্যাচে ভালো খেলতে হবে।’ ভুল শোধরানো আর অতৃপ্তি দূর করার জন্যই হয়তো শেষ ম্যাচেও আগের ম্যাচের দলটাই খেলাবে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ড যে এ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় চায়, সেটা তাদের দলের মুখপাত্র হয়ে কেউ না বললেও চলছে। আর বলবেন-ই বা কে? দ্বিতীয় হারটার পর থেকেই যে মুখে কলুপ এঁটেছে পুরো দল! কেউ তো কথা বলছেই না, সাংবাদিকেরা ধারেকাছে গেলেও যেন তাঁদের আপত্তি। নিউজিল্যান্ড কথা না বললেও বাংলাদেশ কোচই কাল তাদের পক্ষ থেকে বলে দিতে চেষ্টা করলেন, এ ম্যাচে আসলে কী চাইতে পারে ভেট্টোরির দল। ‘তারা যেন কিছুটা দমেই গেছে। মনে হচ্ছে, খেলা শেষ করে এখন সবাই দেশে ফেরার জন্য উন্মুখ। তবে আমরা আমাদের পা মাটিতেই রাখব এবং খুব ভালো ক্রিকেট খেলব। আশা করি, জয়ের জন্য সেটাই যথেষ্ট এবং তাতে ওদের হোয়াইটওয়াশও করা যাবে।’
কোচ-ক্রিকেটারদের মতো এই স্বপ্ন দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষেরও। সিরিজ জয় দেখার পর আজ সরকারি ছুটির দিনে মানুষ হোয়াইটওয়াশ দেখতেও স্টেডিয়ামের দিকে ছুটবে, আশাটা সিরিজ আয়োজক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আশরাফ হোসেনের। কিন্তু সেটা যে মধুর এক সমস্যাও! মাঠে দর্শকের ঢল নামুক, বিসিবি সব সময় তাই চেয়ে এলেও বিশ্বকাপের জন্য সংস্কারকাজের মধ্যে অত লোক জায়গা দেওয়ার সামর্থ্য কোথায় গ্যালারির? তার পরও আজকের ম্যাচের জন্য বিক্রীত-অবিক্রীত মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার টিকিট ছাড়া হচ্ছে বলে জানালেন গাজী আশরাফ। ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার বাসনা তো অনেকেরই থাকে!
No comments