কল সেন্টারগুলো থেকে কৃষিতথ্য সরবরাহের নীতিমালা তৈরি হবে
কৃষকদের কাছে ভুল তথ্য সরবরাহ করলে কল সেন্টারগুলোকে শাস্তি পেতে হবে। একই সঙ্গে ভুল তথ্যের কারণে কৃষকের ক্ষতির দায়ভার কে নেবে, তা নির্ধারণের জন্য নীতিমালা তৈরি করবে সরকার।
এতে করে ভুল তথ্য সরবরাহে দেশের কৃষি তথা কৃষকদের ক্ষতি হলে তথ্য সরবরাহকারী কল সেন্টারগুলোকে আইনগতভাবে সাজা দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ভুলের দায়দায়িত্ব কার ওপর পড়বে, সে বিষয়ে নীতিমালা তৈরি হলে ভুল অনেক কমে আসবে। তাই কৃষিতথ্য সরবরাহের বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়সহ কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি-বেসরকারি কল সেন্টারগুলো কৃষকদের শতভাগ সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে না পারায় ব্যাপক আকারে ফসলের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এতে শুধু কৃষকই নয়, বরং সমগ্র দেশে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের কল সেন্টারগুলো শতভাগ সঠিক কৃষিতথ্য সরবরাহ করতে পারছে না। সম্প্রতি দেশের অন্যতম মুঠোফোন অপারেটর বাংলালিংক তথ্য অধিদপ্তরে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে কৃষি খাতে সরবরাহকৃত তথ্যের ৯৩ শতাংশ সঠিক বলে দাবি করা হয়েছে।
একই ধরনের ফলাফল পাওয়া গেছে দেশের বিভিন্ন সরকারি কৃষিতথ্য কার্যালয়েও।
এ প্রসঙ্গে বাংলালিংকের বিপণন পরিচালক শিহাব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশে কৃষি একটি বড় খাত। দেশের কৃষক ও এই খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই সহজে কৃষিতথ্য কৃষকের কাছে পৌঁছাতে মোবাইল ফোন-শিল্পের বিকল্প নেই।’
এসব বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বাজার উন্নয়ন সহযোগী ক্যাটালিস্টের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে এবং বাংলালিংকের পরিকল্পনায় কৃষিতথ্য সম্পর্কে আগ্রহী ব্যক্তিদের তথ্য সরবরাহ শুরু হয় বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে কৃষিসচিব সি কিউ মুশতাক আহমেদ ক্যাটালিস্টের তত্ত্বাবধানে কৃষিতথ্য সরবরাহের জন্য গ্রামীণফোনের কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার (সিআইসি) এবং বাংলালিংকের হেলপ লাইন ‘জিজ্ঞাসা ৭৬৭৬’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ প্রসঙ্গে কৃষিসচিব বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে কৃষি। কৃষি বিষয়ে অগণিত তথ্য রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। কল সেন্টারের মাধ্যমে ভুল তথ্য কৃষকের কাছে চলে যেতে পারে। কৃষকের ক্ষতি হতে পারে। কাজেই তথ্য সরবরাহের আগে সত্যতা যাচাই করতে হবে।
কৃষিসচিব ভুল তথ্য দেওয়ার চেয়ে, তা না দেওয়াই ভালো। তাই এ বিষয়ে একটি যথার্থ নীতিমালা থাকলে ভালো হয় বলে জানান তিনি।
কৃষিসচিব আরও জানান, সরকার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ও গবেষণার মাধ্যমে এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির মাধ্যমে তা যাচাই-বাছাই করে তবেই কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে কিছুটা সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশই কল সেন্টারের মাধ্যমে কৃষিতথ্য কৃষকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে এ খাতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। তাই সরকারিভাবেই বেসরকারি কল সেন্টারকে উৎসাহিত করতে হবে। তবে কৃষি বিষয়ে অনভিজ্ঞতা ও যান্ত্রিক ত্রুটি সম্পর্কে সরকারসহ সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
শতভাগ সঠিক তথ্যের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ফকরুল আহসান জানান, শতভাগ সঠিক তথ্য সরবরাহ করা কঠিন। শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশেই এখনো কৃষকদের শতভাগ তথ্য দিতে পারছে না। এ জন্য বরাদ্দ বেশি রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে আসবে।
এতে করে ভুল তথ্য সরবরাহে দেশের কৃষি তথা কৃষকদের ক্ষতি হলে তথ্য সরবরাহকারী কল সেন্টারগুলোকে আইনগতভাবে সাজা দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ভুলের দায়দায়িত্ব কার ওপর পড়বে, সে বিষয়ে নীতিমালা তৈরি হলে ভুল অনেক কমে আসবে। তাই কৃষিতথ্য সরবরাহের বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়সহ কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি-বেসরকারি কল সেন্টারগুলো কৃষকদের শতভাগ সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে না পারায় ব্যাপক আকারে ফসলের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এতে শুধু কৃষকই নয়, বরং সমগ্র দেশে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের কল সেন্টারগুলো শতভাগ সঠিক কৃষিতথ্য সরবরাহ করতে পারছে না। সম্প্রতি দেশের অন্যতম মুঠোফোন অপারেটর বাংলালিংক তথ্য অধিদপ্তরে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে কৃষি খাতে সরবরাহকৃত তথ্যের ৯৩ শতাংশ সঠিক বলে দাবি করা হয়েছে।
একই ধরনের ফলাফল পাওয়া গেছে দেশের বিভিন্ন সরকারি কৃষিতথ্য কার্যালয়েও।
এ প্রসঙ্গে বাংলালিংকের বিপণন পরিচালক শিহাব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশে কৃষি একটি বড় খাত। দেশের কৃষক ও এই খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই সহজে কৃষিতথ্য কৃষকের কাছে পৌঁছাতে মোবাইল ফোন-শিল্পের বিকল্প নেই।’
এসব বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বাজার উন্নয়ন সহযোগী ক্যাটালিস্টের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে এবং বাংলালিংকের পরিকল্পনায় কৃষিতথ্য সম্পর্কে আগ্রহী ব্যক্তিদের তথ্য সরবরাহ শুরু হয় বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে কৃষিসচিব সি কিউ মুশতাক আহমেদ ক্যাটালিস্টের তত্ত্বাবধানে কৃষিতথ্য সরবরাহের জন্য গ্রামীণফোনের কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার (সিআইসি) এবং বাংলালিংকের হেলপ লাইন ‘জিজ্ঞাসা ৭৬৭৬’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ প্রসঙ্গে কৃষিসচিব বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে কৃষি। কৃষি বিষয়ে অগণিত তথ্য রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। কল সেন্টারের মাধ্যমে ভুল তথ্য কৃষকের কাছে চলে যেতে পারে। কৃষকের ক্ষতি হতে পারে। কাজেই তথ্য সরবরাহের আগে সত্যতা যাচাই করতে হবে।
কৃষিসচিব ভুল তথ্য দেওয়ার চেয়ে, তা না দেওয়াই ভালো। তাই এ বিষয়ে একটি যথার্থ নীতিমালা থাকলে ভালো হয় বলে জানান তিনি।
কৃষিসচিব আরও জানান, সরকার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ও গবেষণার মাধ্যমে এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির মাধ্যমে তা যাচাই-বাছাই করে তবেই কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে কিছুটা সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশই কল সেন্টারের মাধ্যমে কৃষিতথ্য কৃষকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে এ খাতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। তাই সরকারিভাবেই বেসরকারি কল সেন্টারকে উৎসাহিত করতে হবে। তবে কৃষি বিষয়ে অনভিজ্ঞতা ও যান্ত্রিক ত্রুটি সম্পর্কে সরকারসহ সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
শতভাগ সঠিক তথ্যের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ফকরুল আহসান জানান, শতভাগ সঠিক তথ্য সরবরাহ করা কঠিন। শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশেই এখনো কৃষকদের শতভাগ তথ্য দিতে পারছে না। এ জন্য বরাদ্দ বেশি রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে আসবে।
No comments