এসিড-সন্ত্রাসীদের বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করতে হবে -অসহ্য যন্ত্রণা, কষ্ট আর আতঙ্কের দিন
এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণের ঘটনা বিরল নয়। তবে এ ধরনের সন্ত্রাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক দিক হলো, এতে বহু মানুষের জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। বহু জীবন ধ্বংস হয়ে যায়; অসহ্য যন্ত্রণা আর কষ্টকে সাথি করে পার করতে হয় জীবনের উল্লেখযোগ্য সময়। কিন্তু এসিডদগ্ধ ও তার পরিবারের ওপর যে বিপর্যয় নেমে আসে, সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁদের নতুন করে জীবনের স্বপ্ন তৈরি করতে সহায়তা করা সংবেদনশীল সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এসিড-সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তির ভবিষ্যতের জন্য তাই সুবিচারপ্রাপ্তি অতীব জরুরি।
গত সোমবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ গ্রামে এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হওয়ার প্রায় দুই বছর পরও চারজনের এখনো আতঙ্কে দিন কাটছে। এসিড ছোড়ার ঘটনায় তাঁরা যে মামলা করেছিলেন, সেটি তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। অভাবের কারণে তাঁরা প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছেন না, সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এভাবে এসিড-সন্ত্রাসের কারণে একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে না।
এসিড-সন্ত্রাস একটি পূর্বপরিকল্পিত অপরাধ, আর এর শিকার হওয়া মানুষের অধিকাংশই নারী। এসিড-সন্ত্রাস কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে আইন এবং সচেতনতা তৈরির নানা কার্যক্রম থাকা সত্ত্বেও এ অপরাধ অব্যাহত আছে। সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, মামলা গ্রহণে পুলিশের গড়িমসি, অভিযোগপত্র সঠিকভাবে না দেওয়া, সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া, নানামুখী তদবির প্রভৃতি কারণে মামলা প্রায়ই নিষ্পত্তি হয় না। দোষী ব্যক্তিদের বিচার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের অপরাধ অনেক কমে যাবে। চরফ্যাশনের এসিডদগ্ধদের যাঁরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি এসিডদগ্ধ হওয়ার কারণে কেউ যেন কোনো সামাজিক বাধার সম্মুখীন না হন, তা নিশ্চিত করাও জরুরি। সমাজ থেকে এসিড-সন্ত্রাসের মতো নৃশংস ঘৃণ্য অপরাধ নির্মূল করতে সন্ত্রাসীদের বিচার অবশ্যই দ্রুততম সময়ে শেষ করতে হবে।
গত সোমবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ গ্রামে এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হওয়ার প্রায় দুই বছর পরও চারজনের এখনো আতঙ্কে দিন কাটছে। এসিড ছোড়ার ঘটনায় তাঁরা যে মামলা করেছিলেন, সেটি তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। অভাবের কারণে তাঁরা প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছেন না, সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এভাবে এসিড-সন্ত্রাসের কারণে একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে না।
এসিড-সন্ত্রাস একটি পূর্বপরিকল্পিত অপরাধ, আর এর শিকার হওয়া মানুষের অধিকাংশই নারী। এসিড-সন্ত্রাস কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে আইন এবং সচেতনতা তৈরির নানা কার্যক্রম থাকা সত্ত্বেও এ অপরাধ অব্যাহত আছে। সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, মামলা গ্রহণে পুলিশের গড়িমসি, অভিযোগপত্র সঠিকভাবে না দেওয়া, সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া, নানামুখী তদবির প্রভৃতি কারণে মামলা প্রায়ই নিষ্পত্তি হয় না। দোষী ব্যক্তিদের বিচার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের অপরাধ অনেক কমে যাবে। চরফ্যাশনের এসিডদগ্ধদের যাঁরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি এসিডদগ্ধ হওয়ার কারণে কেউ যেন কোনো সামাজিক বাধার সম্মুখীন না হন, তা নিশ্চিত করাও জরুরি। সমাজ থেকে এসিড-সন্ত্রাসের মতো নৃশংস ঘৃণ্য অপরাধ নির্মূল করতে সন্ত্রাসীদের বিচার অবশ্যই দ্রুততম সময়ে শেষ করতে হবে।
No comments