নেপালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রস্তুতি
রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল নেপালে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দ্বিতীয় মেয়াদের সময়সীমাও শেষ হচ্ছে। সে অনুযায়ী নেপালের পার্লামেন্ট একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। দুই বছরের মধ্যে দেশটিতে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হবে এটি। নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো এ ব্যাপারে কোনো মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি। গতকাল সোমবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মাধব কুমার নেপাল দ্রুত নতুন একটি সরকার গঠনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৩০ জুন মাধব কুমার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর থেকে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেপাল শাসন করছে। এই সময়ে বড় তিনটি দল সর্বদলীয় একটি সরকার গঠনের ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বকারী ২৫টি দলের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করতে পারেনি।
একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট রাম বরন যাদব চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে সময়সীমা বেঁধে দেন। এর আগে রাজনৈতিক দলগুলো প্রথম মেয়াদের সময়সীমার মধ্যে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়ে গত সপ্তাহে আরও সময় দেওয়ার অনুরোধ জানায়। বর্তমান মেয়াদের পর প্রেসিডেন্ট আরও এক দফা সময় বাড়াতে আগ্রহী না হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহেই ৬০১ সদস্যের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনের ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।
মাওবাদীরা নেপালের প্রধান বিরোধী দল। দলের উপপ্রধান নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ জানিয়েছেন, তাঁর দল অন্য দুই বড় দল নেপালি কংগ্রেস (এনসি) ও কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল—ইউনিফাইড মার্ক্সসিস্ট লেনিনিস্টের (ইউএমএল) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে বসবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, তিন দলের জন্য শেষ মুহূর্তে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব ।
দলের সামরিক শাখাকে আলাদা করে ফেলার নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর মাওবাদীদের সঙ্গে বাকি দুই বড় দলের সম্পর্কের অবনতি হয়। ক্ষমতাসীন জোট অভিযোগ করেছে, মাওবাদীরা শান্তির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে চাঁদাবাজি, সহিংসতা ও হত্যা অব্যাহত রেখেছে। বড় তিন দলের এই মতপার্থক্যের কারণে নেপালে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের কাজ স্থগিত রয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাও এ জন্য আটকে রয়েছে।
আগামী শুক্রবার দেশটির চলতি অর্থবছরের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গতকাল ১১০ কোটি রুপির একটি সীমিত আকারের বাজেট ঘোষণার করেছে। এই সীমিত বাজেটে বিদায়ী সরকার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবে। অর্থাৎ নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সে দেশে উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মসূচিগুলোও থমকে থাকবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেই নেপালের সমস্যা সমাধান হবে—এমন নিশ্চয়তা নেই। কারণ, পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা থাকার পরও মাওবাদীদের বিরোধিতায় তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
গত ৩০ জুন মাধব কুমার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর থেকে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেপাল শাসন করছে। এই সময়ে বড় তিনটি দল সর্বদলীয় একটি সরকার গঠনের ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বকারী ২৫টি দলের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করতে পারেনি।
একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট রাম বরন যাদব চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে সময়সীমা বেঁধে দেন। এর আগে রাজনৈতিক দলগুলো প্রথম মেয়াদের সময়সীমার মধ্যে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়ে গত সপ্তাহে আরও সময় দেওয়ার অনুরোধ জানায়। বর্তমান মেয়াদের পর প্রেসিডেন্ট আরও এক দফা সময় বাড়াতে আগ্রহী না হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহেই ৬০১ সদস্যের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনের ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।
মাওবাদীরা নেপালের প্রধান বিরোধী দল। দলের উপপ্রধান নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ জানিয়েছেন, তাঁর দল অন্য দুই বড় দল নেপালি কংগ্রেস (এনসি) ও কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল—ইউনিফাইড মার্ক্সসিস্ট লেনিনিস্টের (ইউএমএল) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে বসবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, তিন দলের জন্য শেষ মুহূর্তে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব ।
দলের সামরিক শাখাকে আলাদা করে ফেলার নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর মাওবাদীদের সঙ্গে বাকি দুই বড় দলের সম্পর্কের অবনতি হয়। ক্ষমতাসীন জোট অভিযোগ করেছে, মাওবাদীরা শান্তির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে চাঁদাবাজি, সহিংসতা ও হত্যা অব্যাহত রেখেছে। বড় তিন দলের এই মতপার্থক্যের কারণে নেপালে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের কাজ স্থগিত রয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাও এ জন্য আটকে রয়েছে।
আগামী শুক্রবার দেশটির চলতি অর্থবছরের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গতকাল ১১০ কোটি রুপির একটি সীমিত আকারের বাজেট ঘোষণার করেছে। এই সীমিত বাজেটে বিদায়ী সরকার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবে। অর্থাৎ নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সে দেশে উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মসূচিগুলোও থমকে থাকবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেই নেপালের সমস্যা সমাধান হবে—এমন নিশ্চয়তা নেই। কারণ, পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা থাকার পরও মাওবাদীদের বিরোধিতায় তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
No comments