যত দোষ রেফারির!
বিশ্বকাপ আরও একবার ডাচদের উপহার দিল স্বপ্নভঙ্গের বেদনা। হতাশ রোবেন, কিউটরা পরাজয়ের জন্য সরাসরিই দায়ী করেছেন রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েবকে। শিষ্যদের মতো সরাসরি না হলেও আকারে-ইঙ্গিতে রেফারির ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন বার্ট ফন মারউইকও। তবে স্পেনকে প্রাপ্য কৃতিত্বটাও দিতে ভোলেননি হল্যান্ড কোচ।
‘রেফারি কী করল, সেটা নিয়ে ভাবার লোক আমি নই। আমি বিশ্বাস করি, সেরা দলটাই সাধারণত জেতে। তবে আমার মনে হয়, রোবেনকে করা ফাউলটার জন্য পুয়োলের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওনা ছিল। আমার মনে হয়, রেফারি ম্যাচ ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি’—ম্যাচ শেষে ফন মারউইকের কণ্ঠে একটু যেন স্ববিরোধী কথা। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে জন হেইটিঙ্গা মাঠ ছাড়ার পর হল্যান্ডের মূল লক্ষ্য ছিল ম্যাচটাকে টাইব্রেকারে টেনে নেওয়া। সেটার খুব কাছাকাছি চলেও গিয়েছিল তারা, শেষ রক্ষা হয়নি। তবে স্পেন যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে, ডাচ কোচ স্বীকার করেছেন এটাও, ‘চার মিনিট বাকি থাকতে ফাইনাল হারাটা খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা। ভেবেছিলাম, ১০ জন নিয়েও অন্তত টাইব্রেকার পর্যন্ত যাওয়া যাবে। বিস্বাদময় অভিজ্ঞতা, তবে এটাই খেলা। আমাকে বলতেই হবে, যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে স্পেন।’
কোচের মতো এত ভদ্রোচিত বক্তব্য শোনা যায়নি শিষ্যদের কণ্ঠে। ক্ষুব্ধ ডাচরা ইংলিশ রেফারির সমালোচনায় কোনো রাখঢাক রাখেননি। সিলভার বল ও ব্রোঞ্জ বুটজয়ী তারকা ওয়েসলি স্নাইডার বলেছেন, ‘রেফারি ডাকাতি করেছে। এটা ফুটবলের জন্য একটা লজ্জা।’ স্নাইডারের সঙ্গে যাঁর শীতল যুদ্ধ চলছে বলে জোর গুজব, সেই রবিন ফন পার্সির কণ্ঠও ছিল একই রকম ঝাঁঝালো, ‘ওই লোকটা (রেফারি) মাঠে কী করছিল? বিশ্বকাপ ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে সে তিনটা বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এটা খুব বেদনাদায়ক।’
ফাইনালের একমাত্র গোলদাতা ইনিয়েস্তার গোলের সময়টায় মাঠেই থাকা উচিত ছিল না বলে মনে করেন ফন পার্সি, ‘ইনিয়েস্তাকে অনেক আগেই বের করে দেওয়া উচিত ছিল, কারণ সে ফন বোমেলকে লাথি মেরেছিল। রোবেনকে ফেলে দেওয়ার জন্য পুয়োলেরও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওনা ছিল। তবে শুধু রেফারিই দায়ী, আমি তা বলব না। আমরাও অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি, তবে রেফারির ভুলগুলো পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’ হারের পর ডাচ ড্রেসিংরুমেও প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল রেফারিং, জানাচ্ছেন আরিয়েন রোবেন, ‘ড্রেসিংরুমে আমাদের শুধু রেফারিং নিয়েই কথা হয়েছে। সবাই হতাশ। কিছু কিছু বিষয় আছে, মেনে নেওয়া খুব কঠিন। এখন অবশ্য এসব নিয়ে কথা বলার কোনো মানে হয় না।’
রেফারিং নিয়ে এত অভিযোগ ডাচদের, কিন্তু রেফারির কল্যাণে হেইটিঙ্গার অনেক আগেই আরেকটি লাল কার্ড দেখা থেকে বেঁচে গেছে হল্যান্ড। ম্যাচের সবচেয়ে কুৎসিততম ফাউলটি করেছিলেন নাইজেল ডি ইয়ং, জাবি আলোনসোর বুকে খুব বাজেভাবে লাথি মেরেও বেঁচে যান স্রেফ হলুদ কার্ড দেখে। এ জন্যই বোধহয় একটু নরম শোনা গেল এই মিডফিল্ডারের কণ্ঠ, ‘ওয়েব কিছু কৌতূহলী সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে রেফারিকে দোষ দেওয়া সব সময়ই সহজ। আমরাই ঠিকভাবে ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।’
হল্যান্ডের খেলার ধরন নিয়ে প্রশ্ন ছিল পুরো টুর্নামেন্টেই। ফাইনালে ২৮টি ফাউল করার পর আবারও উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। রেফারিংয়ের মতো এই ব্যাপারেও ডাচ কোচের বক্তব্যকে মনে হলো স্ববিরোধী, ‘আমরা এখনো সুন্দর ফুটবল খেলতে চাই। কিন্তু আজ (পরশু) আমরা খুব ভালো একটা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলছিলাম। ওদের হারাতে আরও কৌশলী হওয়া প্রয়োজন ছিল। এটা হয়তো আমাদের খেলার স্টাইল নয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়টাই তো আসল।’
সুন্দর ফুটবল কিংবা শিরোপা, বিশ্বকাপ থেকে হল্যান্ড শেষ পর্যন্ত পেল না কিছুই!
‘রেফারি কী করল, সেটা নিয়ে ভাবার লোক আমি নই। আমি বিশ্বাস করি, সেরা দলটাই সাধারণত জেতে। তবে আমার মনে হয়, রোবেনকে করা ফাউলটার জন্য পুয়োলের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওনা ছিল। আমার মনে হয়, রেফারি ম্যাচ ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি’—ম্যাচ শেষে ফন মারউইকের কণ্ঠে একটু যেন স্ববিরোধী কথা। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে জন হেইটিঙ্গা মাঠ ছাড়ার পর হল্যান্ডের মূল লক্ষ্য ছিল ম্যাচটাকে টাইব্রেকারে টেনে নেওয়া। সেটার খুব কাছাকাছি চলেও গিয়েছিল তারা, শেষ রক্ষা হয়নি। তবে স্পেন যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে, ডাচ কোচ স্বীকার করেছেন এটাও, ‘চার মিনিট বাকি থাকতে ফাইনাল হারাটা খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা। ভেবেছিলাম, ১০ জন নিয়েও অন্তত টাইব্রেকার পর্যন্ত যাওয়া যাবে। বিস্বাদময় অভিজ্ঞতা, তবে এটাই খেলা। আমাকে বলতেই হবে, যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে স্পেন।’
কোচের মতো এত ভদ্রোচিত বক্তব্য শোনা যায়নি শিষ্যদের কণ্ঠে। ক্ষুব্ধ ডাচরা ইংলিশ রেফারির সমালোচনায় কোনো রাখঢাক রাখেননি। সিলভার বল ও ব্রোঞ্জ বুটজয়ী তারকা ওয়েসলি স্নাইডার বলেছেন, ‘রেফারি ডাকাতি করেছে। এটা ফুটবলের জন্য একটা লজ্জা।’ স্নাইডারের সঙ্গে যাঁর শীতল যুদ্ধ চলছে বলে জোর গুজব, সেই রবিন ফন পার্সির কণ্ঠও ছিল একই রকম ঝাঁঝালো, ‘ওই লোকটা (রেফারি) মাঠে কী করছিল? বিশ্বকাপ ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে সে তিনটা বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এটা খুব বেদনাদায়ক।’
ফাইনালের একমাত্র গোলদাতা ইনিয়েস্তার গোলের সময়টায় মাঠেই থাকা উচিত ছিল না বলে মনে করেন ফন পার্সি, ‘ইনিয়েস্তাকে অনেক আগেই বের করে দেওয়া উচিত ছিল, কারণ সে ফন বোমেলকে লাথি মেরেছিল। রোবেনকে ফেলে দেওয়ার জন্য পুয়োলেরও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওনা ছিল। তবে শুধু রেফারিই দায়ী, আমি তা বলব না। আমরাও অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি, তবে রেফারির ভুলগুলো পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’ হারের পর ডাচ ড্রেসিংরুমেও প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল রেফারিং, জানাচ্ছেন আরিয়েন রোবেন, ‘ড্রেসিংরুমে আমাদের শুধু রেফারিং নিয়েই কথা হয়েছে। সবাই হতাশ। কিছু কিছু বিষয় আছে, মেনে নেওয়া খুব কঠিন। এখন অবশ্য এসব নিয়ে কথা বলার কোনো মানে হয় না।’
রেফারিং নিয়ে এত অভিযোগ ডাচদের, কিন্তু রেফারির কল্যাণে হেইটিঙ্গার অনেক আগেই আরেকটি লাল কার্ড দেখা থেকে বেঁচে গেছে হল্যান্ড। ম্যাচের সবচেয়ে কুৎসিততম ফাউলটি করেছিলেন নাইজেল ডি ইয়ং, জাবি আলোনসোর বুকে খুব বাজেভাবে লাথি মেরেও বেঁচে যান স্রেফ হলুদ কার্ড দেখে। এ জন্যই বোধহয় একটু নরম শোনা গেল এই মিডফিল্ডারের কণ্ঠ, ‘ওয়েব কিছু কৌতূহলী সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে রেফারিকে দোষ দেওয়া সব সময়ই সহজ। আমরাই ঠিকভাবে ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।’
হল্যান্ডের খেলার ধরন নিয়ে প্রশ্ন ছিল পুরো টুর্নামেন্টেই। ফাইনালে ২৮টি ফাউল করার পর আবারও উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। রেফারিংয়ের মতো এই ব্যাপারেও ডাচ কোচের বক্তব্যকে মনে হলো স্ববিরোধী, ‘আমরা এখনো সুন্দর ফুটবল খেলতে চাই। কিন্তু আজ (পরশু) আমরা খুব ভালো একটা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলছিলাম। ওদের হারাতে আরও কৌশলী হওয়া প্রয়োজন ছিল। এটা হয়তো আমাদের খেলার স্টাইল নয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়টাই তো আসল।’
সুন্দর ফুটবল কিংবা শিরোপা, বিশ্বকাপ থেকে হল্যান্ড শেষ পর্যন্ত পেল না কিছুই!
No comments