উগান্ডায় বোমায় নিহত ৭৪
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় গত রোববার রাতে পৃথক বোমা হামলায় মার্কিন নাগরিকসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছে। একটি রাগবি ক্লাব ও একটি হোটেলে এই বোমা হামলা চালানো হয়। এ সময় বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখতে সেখানে বহু লোক জড়ো হয়।
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার মদদপুষ্ট সোমালিয়ার কট্টরপন্থী গোষ্ঠী আল-সাবাব এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে উগান্ডা। তবে হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
উগান্ডার পুলিশপ্রধান জানান, কাম্পালায় একটি রাগবি ক্লাব এবং এর ১০ কিলোমিটার দূরে ইথিওপীয় এক হোটেলে পৃথক বোমা হামলা চালানো হয়। হামলার জন্য তিনি সোমালিয়ার আল-সাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করেন। পুলিশের মুখপাত্র জুডিথ নাবাকোবা বলেন, ‘ভয়াবহ এই হামলায় ৭৪ জন নিহত ও ৬৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রাগবি ক্লাবে নিহত হয় ৪৯ জন।’ ওই সময় রাগবি ক্লাবে খেলা দেখছিলেন জুমা সেইকো। তিনি বলেন, ‘আমরা খেলা দেখছিলাম। ম্যাচটি শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফেলিক্স কুলাইজি বলেন, তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে একজন সোমালীয় নাগরিকের দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মস্তক শনাক্ত করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হামলাকারী। তিনি আরও বলেন, হামলার জন্য আল-সাবাবকে দায়ী করা হচ্ছে। কারণ সংগঠনটি উগান্ডায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছিল।
কাম্পালায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বোমা বিস্ফোরণে একজন মার্কিনির নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বোমা বিস্ফোরণের পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। আশপাশের সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেন।
আহতদের মধ্যে অধিকাংশকেই কাম্পালার মুলাগু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিনজন মার্কিন নাগরিক রয়েছে। গুরুতর আহত মার্কিন ক্রিস স্লেজ (১৮) বলেন, ‘আমরা ফাইনাল খেলা দেখার জন্য ইথিওপীয় ওই হোটেলে গিয়েছিলাম। সেটাই আমাদের জন্য কাল হলো।’ ক্রিস পায়ে ও চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন।
এদিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে আল-সাবাবের কমান্ডার শেখ ইউসুফ ইসে ওই হামলার প্রশংসা করেন। তবে এই হামলার জন্য কারা দায়ী তিনি তা জানেন না বলে উল্লেখ করেন। শেখ ইউসুফ বলেন, ‘উগান্ডা একটি নাস্তিক দেশ। তারা সোমালিয়ার তথাকথিত সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।’
সোমালিয়ার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসলামি জঙ্গিরা। তারা বিশ্বকাপ ফুটবলের কোনো খেলা না দেখার জন্য তরুণদের কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়েছিল। তাদের মতে, পাগলদের লাফালাফি দেখে সময় ও অর্থ নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। এই নির্দেশ অমান্য করায় আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার মধ্যে খেলা চলার সময় রাজধানী মোগাদিসুতেই দুই জনকে হত্যাও করা হয়। হিজবুল ইসলাম নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে জঙ্গিরা জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খেলা দেখার সময় ৩০ জনকে আটক করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের নিন্দা
কাম্পালায় বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শরিফ শেখ আহমেদ।
প্রেসিডেন্ট ওবামা হতাহত মার্কিন নাগরিকদের জন্য শোক প্রকাশ করে এই হামলাকে দুঃখজনক ও কাপুরুষোচিত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, উগান্ডা চাইলে হামলার জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত রয়েছে।
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শরিফ শেখ এক বিবৃতিতে হামলাকে ঘৃণ্য কাজ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের এই অঞ্চল থেকে মূলোৎপাটন করতে হবে।
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার মদদপুষ্ট সোমালিয়ার কট্টরপন্থী গোষ্ঠী আল-সাবাব এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে উগান্ডা। তবে হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
উগান্ডার পুলিশপ্রধান জানান, কাম্পালায় একটি রাগবি ক্লাব এবং এর ১০ কিলোমিটার দূরে ইথিওপীয় এক হোটেলে পৃথক বোমা হামলা চালানো হয়। হামলার জন্য তিনি সোমালিয়ার আল-সাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করেন। পুলিশের মুখপাত্র জুডিথ নাবাকোবা বলেন, ‘ভয়াবহ এই হামলায় ৭৪ জন নিহত ও ৬৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রাগবি ক্লাবে নিহত হয় ৪৯ জন।’ ওই সময় রাগবি ক্লাবে খেলা দেখছিলেন জুমা সেইকো। তিনি বলেন, ‘আমরা খেলা দেখছিলাম। ম্যাচটি শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফেলিক্স কুলাইজি বলেন, তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে একজন সোমালীয় নাগরিকের দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মস্তক শনাক্ত করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হামলাকারী। তিনি আরও বলেন, হামলার জন্য আল-সাবাবকে দায়ী করা হচ্ছে। কারণ সংগঠনটি উগান্ডায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছিল।
কাম্পালায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বোমা বিস্ফোরণে একজন মার্কিনির নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বোমা বিস্ফোরণের পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। আশপাশের সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেন।
আহতদের মধ্যে অধিকাংশকেই কাম্পালার মুলাগু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিনজন মার্কিন নাগরিক রয়েছে। গুরুতর আহত মার্কিন ক্রিস স্লেজ (১৮) বলেন, ‘আমরা ফাইনাল খেলা দেখার জন্য ইথিওপীয় ওই হোটেলে গিয়েছিলাম। সেটাই আমাদের জন্য কাল হলো।’ ক্রিস পায়ে ও চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন।
এদিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে আল-সাবাবের কমান্ডার শেখ ইউসুফ ইসে ওই হামলার প্রশংসা করেন। তবে এই হামলার জন্য কারা দায়ী তিনি তা জানেন না বলে উল্লেখ করেন। শেখ ইউসুফ বলেন, ‘উগান্ডা একটি নাস্তিক দেশ। তারা সোমালিয়ার তথাকথিত সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।’
সোমালিয়ার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসলামি জঙ্গিরা। তারা বিশ্বকাপ ফুটবলের কোনো খেলা না দেখার জন্য তরুণদের কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়েছিল। তাদের মতে, পাগলদের লাফালাফি দেখে সময় ও অর্থ নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। এই নির্দেশ অমান্য করায় আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার মধ্যে খেলা চলার সময় রাজধানী মোগাদিসুতেই দুই জনকে হত্যাও করা হয়। হিজবুল ইসলাম নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে জঙ্গিরা জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খেলা দেখার সময় ৩০ জনকে আটক করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের নিন্দা
কাম্পালায় বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শরিফ শেখ আহমেদ।
প্রেসিডেন্ট ওবামা হতাহত মার্কিন নাগরিকদের জন্য শোক প্রকাশ করে এই হামলাকে দুঃখজনক ও কাপুরুষোচিত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, উগান্ডা চাইলে হামলার জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত রয়েছে।
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শরিফ শেখ এক বিবৃতিতে হামলাকে ঘৃণ্য কাজ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের এই অঞ্চল থেকে মূলোৎপাটন করতে হবে।
No comments