১৪টি হলুদ একটি লাল
শুরু করেছিলেন ম্যাচের ১৫ মিনিটে, রবিন ফন পার্সিকে দিয়ে। ১২১ মিনিটে জাভিকে দিয়ে থামলেন যখন, রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব ততক্ষণে দেখিয়ে ফেলেছেন ১৪টি হলুদ কার্ড! বিশ্বকাপের ফাইনালে এটি রেকর্ড তো বটেই, বিশ্বকাপের যেকোনো পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি কার্ড দেখার জন্য ‘কুখ্যাত’ হয়ে আছে যে ম্যাচটি, সেটিও হলুদ কার্ড এর চেয়ে বেশি দেখেছে মাত্র দুটি।
১৪ হলুদ কার্ডের নয়টিই দেখেছেন হল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা। এর মধ্যে জন হেইটিঙ্গা একাই দেখেছেন দুটো। যোগফল হিসাবে একটি লাল কার্ডও দেখতে হয়েছে এই ডিফেন্ডারকে। রেফারিকে দুষছেন অনেকেই। কিন্তু ৪৭টি ফাউল হয় যে ম্যাচে, তাতে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যে হয়নি, তাতে ওয়েবকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। সব মিলে ১৫টি কার্ড আর ফাউলের হাফসেঞ্চুরি করে ফেলা এই ম্যাচটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘নোংরা’ ফাইনাল কি না, সেই প্রশ্নও এখন উঠছে।
বিশ্বকাপে কার্ডের প্রচলন হয়েছে ১৯৭০ এর আসরে। তবে সেবার কার্ড বের করার প্রয়োজনই বোধ করেননি কোনো রেফারি। ফলে হলুদ আর লাল কার্ডের অভিষেক আসলে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে। এর আগে খেলোয়াড়দের সতর্ক এবং বহিষ্কার করতেন রেফারিরা। পরশু ম্যাচের আগ পর্যন্ত ১৮টি ফাইনালে (১৯৫০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটি ধরে) মোট হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল ১৪টি। পরশু এক ফাইনালই দেখে ফেলল তার সমান!
ফাইনালে সর্বোচ্চ হলুদ কার্ডের রেকর্ড এর আগে ছিল ছয়টি, ১৯৮৬ আর্জেন্টিনা-পশ্চিম জার্মানি ফাইনালে। পরশু এর দ্বিগুণেরও বেশি হলুদ কার্ড বের করতে হলো রেফারিকে। পুরো টুর্নামেন্টে আগের ছয় ম্যাচে মাত্র তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছিল যে স্পেন, তাদেরও পাঁচ খেলোয়াড়ের নাম উঠে গেল রেফারির হলুদ খাতায়। ‘কিছুতেই স্পেনকে ছন্দ নিয়ে খেলতে দেব না’ পণ করে মাঠে নামা হল্যান্ডের ভাগেই হলুদ কার্ডের সংখ্যা পড়ল বেশি। লাল কার্ডটিও তাদের খেলোয়াড়েরই। এমনিতে ফাইনালে লাল কার্ড দেখা খেলোয়াড়দের সংখ্যাও বিরল। পরশু হেইটিঙ্গাকে নিয়ে সংখ্যাটি ৫। হেইটিঙ্গার সঙ্গী হয়ে মাঠের বাইরে যেতে পারতেন নাইজেল ডি ইয়ংও। নিজের কুংফু-কারাতে প্রতিভা দেখাতে শূন্যে ভেসে কিক মেরে বসেছেন জাবি আলোনসোর বুকে। ফাইনালটি যে ফাইনালের মতো হয়নি, তাতে ২৮টি ফাউল করা হল্যান্ডের দায়ই বেশি। ১৯টি ফাউল করা স্পেনকেও এর ভার নিতে হবে। গোটা পঞ্চাশেক ফ্রি-কিক নিতে হয় যে ম্যাচে, সেটার আধা ঘণ্টাই তো ফ্রি-কিক নিতে ব্যয় হয়ে যায়!
১৪ হলুদ কার্ডের নয়টিই দেখেছেন হল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা। এর মধ্যে জন হেইটিঙ্গা একাই দেখেছেন দুটো। যোগফল হিসাবে একটি লাল কার্ডও দেখতে হয়েছে এই ডিফেন্ডারকে। রেফারিকে দুষছেন অনেকেই। কিন্তু ৪৭টি ফাউল হয় যে ম্যাচে, তাতে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যে হয়নি, তাতে ওয়েবকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। সব মিলে ১৫টি কার্ড আর ফাউলের হাফসেঞ্চুরি করে ফেলা এই ম্যাচটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘নোংরা’ ফাইনাল কি না, সেই প্রশ্নও এখন উঠছে।
বিশ্বকাপে কার্ডের প্রচলন হয়েছে ১৯৭০ এর আসরে। তবে সেবার কার্ড বের করার প্রয়োজনই বোধ করেননি কোনো রেফারি। ফলে হলুদ আর লাল কার্ডের অভিষেক আসলে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে। এর আগে খেলোয়াড়দের সতর্ক এবং বহিষ্কার করতেন রেফারিরা। পরশু ম্যাচের আগ পর্যন্ত ১৮টি ফাইনালে (১৯৫০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটি ধরে) মোট হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল ১৪টি। পরশু এক ফাইনালই দেখে ফেলল তার সমান!
ফাইনালে সর্বোচ্চ হলুদ কার্ডের রেকর্ড এর আগে ছিল ছয়টি, ১৯৮৬ আর্জেন্টিনা-পশ্চিম জার্মানি ফাইনালে। পরশু এর দ্বিগুণেরও বেশি হলুদ কার্ড বের করতে হলো রেফারিকে। পুরো টুর্নামেন্টে আগের ছয় ম্যাচে মাত্র তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছিল যে স্পেন, তাদেরও পাঁচ খেলোয়াড়ের নাম উঠে গেল রেফারির হলুদ খাতায়। ‘কিছুতেই স্পেনকে ছন্দ নিয়ে খেলতে দেব না’ পণ করে মাঠে নামা হল্যান্ডের ভাগেই হলুদ কার্ডের সংখ্যা পড়ল বেশি। লাল কার্ডটিও তাদের খেলোয়াড়েরই। এমনিতে ফাইনালে লাল কার্ড দেখা খেলোয়াড়দের সংখ্যাও বিরল। পরশু হেইটিঙ্গাকে নিয়ে সংখ্যাটি ৫। হেইটিঙ্গার সঙ্গী হয়ে মাঠের বাইরে যেতে পারতেন নাইজেল ডি ইয়ংও। নিজের কুংফু-কারাতে প্রতিভা দেখাতে শূন্যে ভেসে কিক মেরে বসেছেন জাবি আলোনসোর বুকে। ফাইনালটি যে ফাইনালের মতো হয়নি, তাতে ২৮টি ফাউল করা হল্যান্ডের দায়ই বেশি। ১৯টি ফাউল করা স্পেনকেও এর ভার নিতে হবে। গোটা পঞ্চাশেক ফ্রি-কিক নিতে হয় যে ম্যাচে, সেটার আধা ঘণ্টাই তো ফ্রি-কিক নিতে ব্যয় হয়ে যায়!
No comments