ন্যায়বিচারের পক্ষে নিম্ন আদালত -কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন
কোনো নাগরিকই যে আইনের ঊর্ধ্বে নন, সে কথাই প্রমাণিত হলো নাটোরের সিংড়ার ব্যবসায়ী আনসার আলী হত্যা মামলায়। পুলিশ বিভাগের লোক বলে আসামিরা এত দিন আদালতের নির্দেশও অগ্রাহ্য করে আসছিলেন। রোববার প্রথম আলোয় এ-সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হলে আসামিরা নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং বিজ্ঞ বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। এতে অন্তত মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
নিম্ন আদালত সম্পর্কে জনগণের মধ্যে যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, এ রায় নিঃসন্দেহে তা অপনোদনে সহায়ক হবে। মানুষ ন্যায়বিচারের জন্য থানা-পুলিশ ও আদালতের আশ্রয় নেয়। পুলিশের দায়িত্ব অভিযোগ তদন্ত করা এবং তার ভিত্তিতে আদালত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করলে ফরিয়াদির প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ তিরোহিত হয়ে যায়। ব্যবসায়ী আনসার আলী হত্যা মামলার ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ও অভিযোগ তদন্তকারী ব্যক্তি উভয়ই পুলিশ বিভাগের লোক। সে কারণেই কি সিংড়া থানার কর্মকর্তারা আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করেছেন? অর্থাৎ তাঁরা বিচারপ্রার্থীর আদেশ আমলে না নিয়ে অভিযুক্তকে রক্ষা করতে সচেষ্ট ছিলেন।
২০০৮ সালের ২৩ জুলাই আনসার আলী পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর সেই একই গল্প ফাঁদা হয়েছিল। ২৭ জুলাই কাকিয়ান বাজারে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের দাবি, তিনি ক্রসফায়ারে মারা গেছেন। কিন্তু গত বছরের ১৮ আগস্ট নিহত আনসার আলীর বাবা সিংড়া থানার ১৪ পুলিশসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে নাটোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বিচার বিভাগীয় তদন্ত করেন এবং তদন্তে থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জন পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় নয়জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
নিরাপত্তা হেফাজতে আসামির নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কোনোভাবেই এ দায় তারা এড়াতে পারে না। সিংড়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া স্পষ্ট আদালত অবমাননা। মামলার আসামি ছিলেন ২৩ জন, আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন ১১ জন। বাকিদের গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব সিংড়া থানার পুলিশের। সে ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
কেবল সিংড়ায় কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই যে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তা নয়। ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারের নামে নিরাপত্তা হেফাজতে আসামির মৃত্যুর ঘটনা অহরহই ঘটছে। সবার পক্ষে মামলা করাও সম্ভব নয়। সম্প্রতি রাজধানীতে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে তিন আসামির মৃত্যুর ঘটনা শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে গড়িয়েছে। আদালত ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, যেহেতু পুলিশ এখানে অভিযুক্ত. সেহেতু তাদের এ দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। আশা করি, এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বোধোদয় ঘটবে এবং তাঁরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন। অন্যথায় সিংড়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১১ পুলিশ সদস্যের ভাগ্য তাঁদেরও বরণ করতে হবে।
নিম্ন আদালত সম্পর্কে জনগণের মধ্যে যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, এ রায় নিঃসন্দেহে তা অপনোদনে সহায়ক হবে। মানুষ ন্যায়বিচারের জন্য থানা-পুলিশ ও আদালতের আশ্রয় নেয়। পুলিশের দায়িত্ব অভিযোগ তদন্ত করা এবং তার ভিত্তিতে আদালত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করলে ফরিয়াদির প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ তিরোহিত হয়ে যায়। ব্যবসায়ী আনসার আলী হত্যা মামলার ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ও অভিযোগ তদন্তকারী ব্যক্তি উভয়ই পুলিশ বিভাগের লোক। সে কারণেই কি সিংড়া থানার কর্মকর্তারা আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করেছেন? অর্থাৎ তাঁরা বিচারপ্রার্থীর আদেশ আমলে না নিয়ে অভিযুক্তকে রক্ষা করতে সচেষ্ট ছিলেন।
২০০৮ সালের ২৩ জুলাই আনসার আলী পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর সেই একই গল্প ফাঁদা হয়েছিল। ২৭ জুলাই কাকিয়ান বাজারে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের দাবি, তিনি ক্রসফায়ারে মারা গেছেন। কিন্তু গত বছরের ১৮ আগস্ট নিহত আনসার আলীর বাবা সিংড়া থানার ১৪ পুলিশসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে নাটোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বিচার বিভাগীয় তদন্ত করেন এবং তদন্তে থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জন পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় নয়জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
নিরাপত্তা হেফাজতে আসামির নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কোনোভাবেই এ দায় তারা এড়াতে পারে না। সিংড়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া স্পষ্ট আদালত অবমাননা। মামলার আসামি ছিলেন ২৩ জন, আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন ১১ জন। বাকিদের গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব সিংড়া থানার পুলিশের। সে ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
কেবল সিংড়ায় কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই যে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তা নয়। ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারের নামে নিরাপত্তা হেফাজতে আসামির মৃত্যুর ঘটনা অহরহই ঘটছে। সবার পক্ষে মামলা করাও সম্ভব নয়। সম্প্রতি রাজধানীতে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে তিন আসামির মৃত্যুর ঘটনা শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে গড়িয়েছে। আদালত ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, যেহেতু পুলিশ এখানে অভিযুক্ত. সেহেতু তাদের এ দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। আশা করি, এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বোধোদয় ঘটবে এবং তাঁরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন। অন্যথায় সিংড়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১১ পুলিশ সদস্যের ভাগ্য তাঁদেরও বরণ করতে হবে।
No comments