যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে নতুন কৌশল
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে নতুন কৌশল বেছে নেওয়া হচ্ছে। বাড়িঘরের বদলে কর্মস্থলে চালানো হচ্ছে অভিযান। অবৈধ অভিবাসীকে কাজ দিলে জরিমানা করা হচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানকে। এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলছে নীরব অভিযান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তাদের নিয়মিত করা নিয়ে সাধারণ সমঝোতার অভাবও সব মহলে তীব্র।
নতুন কর্মী নিয়োগের আগে অভিবাসনের বৈধতা যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মন্দা অর্থনীতির এ সময়ে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজ পাওয়া দুরূহ হয়ে উঠেছে। অভিবাসন আইন ও অর্থনৈতিক চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। সম্প্রতি অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী আইন প্রণয়নের পর এ নিয়ে চরম হতাশায় অভিবাসী গোষ্ঠীগুলো।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ। প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। গত ১০ বছরে অবৈধ অভিবাসনের হার ব্যাপক হারে বেড়েছে।
মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এবং সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার করে অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে গড়ে তিন লাখ অবৈধ অভিবাসীকে জোর করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ব্যয়বহুল এ বিতাড়ন-প্রক্রিয়ার বিকল্প উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজ বন্ধ করে স্বেচ্ছায় চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে অবৈধ অভিবাসীদের।
গত এক বছরে প্রায় তিন হাজার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়েছে সরকার। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের ব্যক্তিগত কাগজপত্র যাচাই করা হয়েছে। গত ছয় মাসে অবৈধ কর্মী নিয়োগের অভিযোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়। বৈধতা না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠান কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়।
ওয়াশিংটন গ্রোয়ার্স গ্রুপ নামের খামারপ্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মাইক গ্যাম্পলার বলেন, কর্মস্থলে আকস্মিক তল্লাশির চেয়ে নথিপত্র তল্লাশির পরিণাম ভয়াবহ। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময় কৃষি খামার, গরু ও মুরগির খামারে আকস্মিক তল্লাশি চালানো হতো। এভাবে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার করে তাড়ানো হতো। এখন নথিপত্র নিরীক্ষা করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধ অভিবাসীদের চাকরিচ্যুত করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
আলাবামা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা সিনেটর জেফ সেশনস বলেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া কথা বলেছেন ঠিকই, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কড়াকড়ি যথার্থ নয়। এদিকে কর্মস্থলে তল্লাশির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খামারগুলোতে তীব্র কর্মীসংকট সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তাদের নিয়মিত করা নিয়ে সাধারণ সমঝোতার অভাবও সব মহলে তীব্র।
নতুন কর্মী নিয়োগের আগে অভিবাসনের বৈধতা যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মন্দা অর্থনীতির এ সময়ে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজ পাওয়া দুরূহ হয়ে উঠেছে। অভিবাসন আইন ও অর্থনৈতিক চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। সম্প্রতি অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী আইন প্রণয়নের পর এ নিয়ে চরম হতাশায় অভিবাসী গোষ্ঠীগুলো।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ। প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। গত ১০ বছরে অবৈধ অভিবাসনের হার ব্যাপক হারে বেড়েছে।
মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এবং সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার করে অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে গড়ে তিন লাখ অবৈধ অভিবাসীকে জোর করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ব্যয়বহুল এ বিতাড়ন-প্রক্রিয়ার বিকল্প উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজ বন্ধ করে স্বেচ্ছায় চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে অবৈধ অভিবাসীদের।
গত এক বছরে প্রায় তিন হাজার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়েছে সরকার। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের ব্যক্তিগত কাগজপত্র যাচাই করা হয়েছে। গত ছয় মাসে অবৈধ কর্মী নিয়োগের অভিযোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়। বৈধতা না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠান কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়।
ওয়াশিংটন গ্রোয়ার্স গ্রুপ নামের খামারপ্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মাইক গ্যাম্পলার বলেন, কর্মস্থলে আকস্মিক তল্লাশির চেয়ে নথিপত্র তল্লাশির পরিণাম ভয়াবহ। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময় কৃষি খামার, গরু ও মুরগির খামারে আকস্মিক তল্লাশি চালানো হতো। এভাবে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার করে তাড়ানো হতো। এখন নথিপত্র নিরীক্ষা করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধ অভিবাসীদের চাকরিচ্যুত করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
আলাবামা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা সিনেটর জেফ সেশনস বলেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া কথা বলেছেন ঠিকই, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কড়াকড়ি যথার্থ নয়। এদিকে কর্মস্থলে তল্লাশির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খামারগুলোতে তীব্র কর্মীসংকট সৃষ্টি হয়েছে।
No comments