পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে যাচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা
পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য যে গড়া যাবে না, তা এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনরত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা। কারণ পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের তেমন সমর্থন এখনো তাঁরা পাননি। তার পরও এই মোর্চা পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি জেলা দার্জিলিংকে আন্দোলনে আন্দোলনে অশান্ত করে রেখেছে।
বন্ধ হরতালে বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে দার্জিলিং। এ আন্দোলনের জেরে পাহাড়ে পর্যটকসংখ্যা কমেছে। বেকারত্ব বেড়েছে। জনমুক্তি নেতারা বিভিন্ন দলের কাছে গিয়ে ধরনা দিয়েও পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবির প্রতি সমর্থন আদায় করতে পারেননি। ফলে এখন জনমুক্তি নেতারাই চাইছেন, পৃথক রাজ্য না চেয়ে বরং অন্তর্বর্তীকালের জন্য দার্জিলিং, শিলিগুড়ি এবং ডুয়ার্সকে নিয়ে পৃথক একটি স্বশাসিত অঞ্চল গড়তে। যদিও আশির দশকে এই দার্জিলিংকে ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের প্রথম দাবি তুলেছিলেন গোর্খাল্যান্ড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (জিএনএলএফ) নেতা সুভাষ ঘিষিং। সে সময় রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার কেউই সুভাষ ঘিষিংয়ের পৃথক রাজ্য গড়ার আন্দোলনে সমর্থন জানায়নি। অগত্যা সুভাষকে প্রধান করে গড়ে তোলা হয়েছিল দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ।
এরপর সুভাষ ঘিষিংয়ের জিএনএলএফ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন সাবেক জিএনএলএফ নেতা বিমল গুরুং। ২০০৭ সালের ৭ অক্টোবর তিনি গড়েন জনমুক্তি মোর্চা। এর পরেই বিমল গুরুং এক ধাপ এগিয়ে এসে ঘোষণা দেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি থেকে তাঁরা এক পাও সরবেন না। আন্দোলন চলবে।
জনমুক্তি মোর্চার নেতারা এবার বিকল্প পথে চলার গোপন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা এখন চাইছেন দার্জিলিং, শিলিগুড়ি ও ডুয়ার্স নিয়ে পৃথক স্বশাসিত একটি পর্ষদ গড়তে। আর এই লক্ষ্যে তাঁরা গোর্খাল্যান্ডের নামও বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বলা হয়েছে, এই স্বশাসিত পর্ষদের নাম হবে ‘গোর্খা আদিবাসী পরিষদ’। তবে তাঁদের পৃথক রাজ্যের আন্দোলনও চলবে।
একই সঙ্গে জনমুক্তি মোর্চা রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্য এ কথাও বলছে, আগামী বছরের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনের পরই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মোর্চার নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছেন। মোর্চার নেতা বিমল গুরুং দার্জিলিংয়ে প্রকাশ্য জনসভা করে আগামী ১৫ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রকাশ্য ঘোষণা দেবেন। আর ১৮ মার্চ এই নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক বসছে নয়াদিল্লিতে। এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্র, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ও জনমুক্তি মোর্চার নেতারা।
বন্ধ হরতালে বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে দার্জিলিং। এ আন্দোলনের জেরে পাহাড়ে পর্যটকসংখ্যা কমেছে। বেকারত্ব বেড়েছে। জনমুক্তি নেতারা বিভিন্ন দলের কাছে গিয়ে ধরনা দিয়েও পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবির প্রতি সমর্থন আদায় করতে পারেননি। ফলে এখন জনমুক্তি নেতারাই চাইছেন, পৃথক রাজ্য না চেয়ে বরং অন্তর্বর্তীকালের জন্য দার্জিলিং, শিলিগুড়ি এবং ডুয়ার্সকে নিয়ে পৃথক একটি স্বশাসিত অঞ্চল গড়তে। যদিও আশির দশকে এই দার্জিলিংকে ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের প্রথম দাবি তুলেছিলেন গোর্খাল্যান্ড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (জিএনএলএফ) নেতা সুভাষ ঘিষিং। সে সময় রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার কেউই সুভাষ ঘিষিংয়ের পৃথক রাজ্য গড়ার আন্দোলনে সমর্থন জানায়নি। অগত্যা সুভাষকে প্রধান করে গড়ে তোলা হয়েছিল দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ।
এরপর সুভাষ ঘিষিংয়ের জিএনএলএফ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন সাবেক জিএনএলএফ নেতা বিমল গুরুং। ২০০৭ সালের ৭ অক্টোবর তিনি গড়েন জনমুক্তি মোর্চা। এর পরেই বিমল গুরুং এক ধাপ এগিয়ে এসে ঘোষণা দেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি থেকে তাঁরা এক পাও সরবেন না। আন্দোলন চলবে।
জনমুক্তি মোর্চার নেতারা এবার বিকল্প পথে চলার গোপন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা এখন চাইছেন দার্জিলিং, শিলিগুড়ি ও ডুয়ার্স নিয়ে পৃথক স্বশাসিত একটি পর্ষদ গড়তে। আর এই লক্ষ্যে তাঁরা গোর্খাল্যান্ডের নামও বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বলা হয়েছে, এই স্বশাসিত পর্ষদের নাম হবে ‘গোর্খা আদিবাসী পরিষদ’। তবে তাঁদের পৃথক রাজ্যের আন্দোলনও চলবে।
একই সঙ্গে জনমুক্তি মোর্চা রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্য এ কথাও বলছে, আগামী বছরের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনের পরই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মোর্চার নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছেন। মোর্চার নেতা বিমল গুরুং দার্জিলিংয়ে প্রকাশ্য জনসভা করে আগামী ১৫ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রকাশ্য ঘোষণা দেবেন। আর ১৮ মার্চ এই নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক বসছে নয়াদিল্লিতে। এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্র, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ও জনমুক্তি মোর্চার নেতারা।
No comments