দাম বাড়ার পেছনে জোগান সংকট ও সিন্ডিকেশন দায়ী
দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ চাহিদার তুলনায় স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত পণ্যের জোগান অনেক কম হওয়া।
পাশাপাশি অপ্রতুল পণ্য পরিবহনব্যবস্থা ও মাত্রাতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়, মালামাল পরিবহনে চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও তাদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের চেষ্টায় পণ্য সামগ্রীর দর বেড়ে যায়। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেশন ও আমদানি করা পণ্য থেকে অতি মুনাফা অর্জন দাম বাড়ানোয় ভূমিকা রাখে।
‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি’ নিয়ে বেসরকারি খাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাইডাসের এক সমীক্ষায় এসব কথা বলা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর্থিক এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সহযোগিতায় এ সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
গতকাল রোববার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় সমীক্ষার খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এফবিসিসিআই ও মাইডাস যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন। সমীক্ষাটি উপস্থাপন করেন মাইডাসের বিশেষজ্ঞ ফিরোজ ইকবাল ফারুক।
আলোচনায় অংশ নেন প্রথম সহসভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী, বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, মাইডাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, এমসিসিআইয়ের মহাসচিব ফারুক আহমেদ, সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মওলা, ডিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক কে এইচ এম শহীদুল হক, ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সমীক্ষায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উত্পাদক, ভোক্তা, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে তারা সরবরাহ স্বল্পতা, সিন্ডিকেশন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, উচ্চ পরিবহন ব্যয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সরকারি নীতি ও ঘুষ প্রভৃতিকে দায়ী করেছেন।
সমীক্ষার জন্য পরিচালিত জরিপে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ স্বল্পতাকে দায়ী করেছেন ১৬ শতাংশ উত্পাদক, ১৭ শতাংশ ভোক্তা, ১৮ শতাংশ আমদানিকারক, ২০ শতাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী ও ১৭ শতাংশ খুচরা ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেশনের কারণে দাম বাড়ছে বলে মনে করেন ১৭ শতাংশ উত্পাদক, ১৬ শতাংশ ভোক্তা, ৯ শতাংশ আমদানিকারক, ১৭ শতাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী ও ২০ শতাংশ খুচরা ব্যবসায়ী।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ে বলে জানিয়েছেন ১৬ শতাংশ উত্পাদক, ৯ শতাংশ ভোক্তা, ১৬ শতাংশ আমদানিকারক, ১৭ শতাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী ও ১৬ শতাংশ খুচরা ব্যবসায়ী।
অবশ্য আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা সমীক্ষায় ব্যবহূত বিভিন্ন তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন, দেশে ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেশন নেই। তাই সমীক্ষার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
কেউ কেউ বলেন, প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে এ ধরনের নিম্নমানের একটা সমীক্ষা করার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সঠিক তথ্য পাবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পাশাপাশি অপ্রতুল পণ্য পরিবহনব্যবস্থা ও মাত্রাতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়, মালামাল পরিবহনে চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও তাদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের চেষ্টায় পণ্য সামগ্রীর দর বেড়ে যায়। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেশন ও আমদানি করা পণ্য থেকে অতি মুনাফা অর্জন দাম বাড়ানোয় ভূমিকা রাখে।
‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি’ নিয়ে বেসরকারি খাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাইডাসের এক সমীক্ষায় এসব কথা বলা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর্থিক এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সহযোগিতায় এ সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
গতকাল রোববার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় সমীক্ষার খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এফবিসিসিআই ও মাইডাস যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন। সমীক্ষাটি উপস্থাপন করেন মাইডাসের বিশেষজ্ঞ ফিরোজ ইকবাল ফারুক।
আলোচনায় অংশ নেন প্রথম সহসভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী, বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, মাইডাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, এমসিসিআইয়ের মহাসচিব ফারুক আহমেদ, সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মওলা, ডিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক কে এইচ এম শহীদুল হক, ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সমীক্ষায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উত্পাদক, ভোক্তা, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে তারা সরবরাহ স্বল্পতা, সিন্ডিকেশন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, উচ্চ পরিবহন ব্যয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সরকারি নীতি ও ঘুষ প্রভৃতিকে দায়ী করেছেন।
সমীক্ষার জন্য পরিচালিত জরিপে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ স্বল্পতাকে দায়ী করেছেন ১৬ শতাংশ উত্পাদক, ১৭ শতাংশ ভোক্তা, ১৮ শতাংশ আমদানিকারক, ২০ শতাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী ও ১৭ শতাংশ খুচরা ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেশনের কারণে দাম বাড়ছে বলে মনে করেন ১৭ শতাংশ উত্পাদক, ১৬ শতাংশ ভোক্তা, ৯ শতাংশ আমদানিকারক, ১৭ শতাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী ও ২০ শতাংশ খুচরা ব্যবসায়ী।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ে বলে জানিয়েছেন ১৬ শতাংশ উত্পাদক, ৯ শতাংশ ভোক্তা, ১৬ শতাংশ আমদানিকারক, ১৭ শতাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী ও ১৬ শতাংশ খুচরা ব্যবসায়ী।
অবশ্য আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা সমীক্ষায় ব্যবহূত বিভিন্ন তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন, দেশে ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেশন নেই। তাই সমীক্ষার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
কেউ কেউ বলেন, প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে এ ধরনের নিম্নমানের একটা সমীক্ষা করার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সঠিক তথ্য পাবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
No comments